ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উবাচ

কত কথা বলেরে........ স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন কত কথা বলেরে। তিনি মনে করেন ‘অতিকথনে দুষ্ট’ এই নেতা শালীনতা বজায় রেখে কথা বলেন না। তার বক্তব্যর কোথাও শালীনতার লেশমাত্রই ছিল না। ওবায়দুল কাদেরকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি কৌশলে টেলিভিশন সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িবহর নিয়ে তার ঘোরাঘুরি এবং সেখানে টেলিভিশন সাংবাদিকদের পেছনে যে অর্থ ব্যয় হয় তা দিয়ে ৫০ মাইল রাস্তা বানানো যায়। তিনি বলেন, উনি সেতুমন্ত্রী, উনি রাস্তার মন্ত্রী। আরে বাংলাদেশটা বাদ দিলাম, ঢাকা শহরে রাস্তায় যত গর্ত আছে আজিমপুর কবরস্থানেও এত গর্ত নাই। তিনি বলেন, বাংলালিংকের একটা বিজ্ঞাপন ছিল- কত কথা বলেরে। এটা ওবায়দুল কাদেরকে দেখলে মনে হয় ‘কত কথা বলেরে’। ভোট চাইছেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একজন মানুষও অনাহারে থাকবে না। দুর্গতদের যারা ঘর হারিয়েছে তাদের নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতিতে দুর্গত এলাকার মানুষ আশার আলো দেখছে। বিএনপি এতে করে রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কায় দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের নেত্রী বন্যা পরিস্থিতিতে দেশেই নাই। সেখানে সরকার প্রধান ছুটে যাচ্ছেন দুর্গত মানুষের পাশে। পরম মমতায় তাদের বুকে আগলে ধরছেন। এটা বিএনপির বড় লেগেছে। আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মানুষ বন্যায় ভাসছে ত্রাণ পাচ্ছে না অথচ প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চাইতে ব্যস্ত। রাজনৈতিকভাবে বিএনপির বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার এই সংবাদ সম্মেলনে নোমান দাবি করেন তার দলের নেত্রী কোনদিন এ ধরনের কাজ করেননি। যদিও দেশে এত বড় বন্যার মধ্যে তার দলের নেত্রী কেন এখনও মানুষের কাছে ছুটে আসেননি সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। শপিং! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যা পরিস্থিতিতে সরকার একেবারেই কিছু করতে পারছে না বিএনপি বরাবরই এই অভিযোগ করে আসছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাজ এটিই হওয়া উচিত। এতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং সরকার বাধ্য হয় সঠিক কাজটি করতে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলেরও একটি ভূমিকা থাকতে হয়। নিতান্তই দেশে বন্যার মতো এত বড় দুর্যোগ যখন আসে তখন আর কিছু না পারলেও মানুষের পাশে গিয়ে অন্তত দাঁড়াতে হয়। কিন্তু যে মানুষটি মানুষের পাশে গিয়েই দাঁড়াননি, তার মুখে বা তার অনুসারীদের মুখে এই শব্দ বা সংশ্লিষ্ট বাক্য মানায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি যখন নানা অভিযোগ করছেন এবং দুর্গত মানুষদের দুর্গতির জন্য সরকারকে দায়ী করছেন তখন তাদের দলীয় প্রধান কোথায় এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অতীতে শেখ হাসিনাকে বিরোধী দলে থাকতে বহুবার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে ছুটে যেতে দেখা গেছে। এমনকী বিএনপি সরকারের সময়ের বন্যা পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনাই আগে গেছেন দুর্গত এলাকায়। এখনকার প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এইচএম এরশাদকেও একই ভূমিকায় দেখা গেছে বরাবর। কিন্তু বিএনপির নেত্রী কী এই দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছেন না। টুইট আর বিবৃতি ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উনি আর কিছু কি করেছেন? বন্যা যখন শেষ তখন উনি দেশে ফিরবেন! বিএনপি চেয়ারপার্সন কোথায় এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের প্রচার এবং প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি লন্ডনে শপিং করছেন। আসন্ন ঈদ বিএনপি চেয়ারপার্সন তা করতেই পারেন বলে অনেকে মনেও করছেন।
×