ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কোনোকিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর যানজট এড়াতে কোরবানির পশুর চামড়াবাহী যানবাহনকে নিরাপদে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর দিকে পাঠানো হবে। ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, কূটনীতিক, উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মুসল্লিগণ নামাজে অংশ নিচ্ছেন। এজন্য নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ ও তার আশপাশের এলাকা বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। ময়দানের চারদিকে থাকা উঁচু ভবনগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার বসছে। পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন ও জনসাধারণকে তল্লাশি চালাতে একাধিক চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঈদের সময় রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ায় চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য রাজধানীতে ঈদের আগে ও পরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। ডিএমপি কমিশনার যা বলেন ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কোনোকিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহে কোন ধরনের ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, দিয়াশলাই ও দাহ্যপদার্থ সঙ্গে না আনার অনুরোধ করছি। আমরা আশা করছি মুসল্লিরা তল্লাশির কাজে পুলিশকে সহায়তা করবেন। আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, জাতীয় ঈদগাহে পুলিশ, র‌্যাব ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ঈদগাহকেন্দ্রিক চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ময়দানে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ময়দানে স্থাপিত ডিএমপির অস্থায়ী কন্ট্রোলরুম থেকে ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হবে। শুক্রবার রাত থেকে ময়দানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে পুরো ময়দান মেশিন দিয়ে সুইপিং করা হবে। ডিএমপি কমিশনার জানান, ঈদগাহে প্রবেশের আগে আর্চওয়ে গেট স্থাপন করে তল্লাশি করা হবে। হাইকোর্ট ও মৎস্য ভবন এলাকা থেকে গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সেখানে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হবে। পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ঈদ উযাপনকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোন হামলার হুমকি নেই। তবে আমরা সজাগ আছি। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে এবারের ঈদে পুলিশের ছুটি কমানো হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেয়া হয়নি। ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি প্রবেশ ও পার্কিং এলাকা ॥ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহ পার্কিং এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিকটবর্তী নির্ধারিত পার্কিংয়ে শুধুমাত্র ভিভিআইপি ও ভিআইপিগণের গাড়িসমূহ মৎস্য ভবন হয়ে প্রবেশ করবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে সুপ্রীমকোর্টের অভ্যন্তরে গোল চত্বরের নিকট রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর (ভিভিআইপি এ্যালাইটিংয়ের পশ্চিম পার্শ্ব)। সুপ্রীমকোর্টের ভেতরে দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে (মাজারসংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে) বিচারপতিগণের গাড়ি পার্কিং। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর-পশ্চিম দিকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিং। গণপূর্ত ভবনের আঙ্গিনা ও অভ্যন্তরে সরকারী কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের গাড়ি পার্কিং। সাধারণ গাড়ি চলাচল ও পার্কিং ॥ জিরো পয়েন্ট ও ইউবিএল ক্রসিংয়ের (মুক্তাঙ্গন) উভয় পার্শ্ব, দোয়েল চত্বরের দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল থেকে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্ব, মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড ক্রর্সিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্ব। এছাড়া অন্য ব্যক্তিদের গাড়ি এবং বাণিজ্যিক যানবাহনসমূহ সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল মোড়-প্রেসক্লাব লিংক রোড-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি-সাব কন্ট্রোলরুম গ্যাপ-ইউবিএল ক্রসিং-দোয়েল চত্বর ক্রসিং-মৎস্য ভবন ক্রসিং এ স্থাপিত ব্যারিকেডের বাইরে পার্কিং ও চলাচল করবে।
×