ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস দেয়া হয়েছে ॥ বিজিএমইএ

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সব পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস দেয়া হয়েছে ॥ বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল-আযহার আগে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সব পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অধিকাংশ কারখানায় আগস্ট মাসের অগ্রিম বেতনও দেয়া হয়েছে হয়েছে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিএমইএ অফিসের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এ কথা বলেন। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরর জানামতে উৎসব ভাতা ও জুলাই মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে শতভাগ কারখানায়। শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা করে অধিকাংশ কারখানায় আগস্ট মাসের অগ্রিম বেতন আংশিক ও পূর্ণ প্রদান করা হয়েছে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিজিএমইএর অধীনে তিন হাজার ১০০টি কারখানা চালু আছে। আমরা এসব কারখানার কথা বলছি। সদস্য নয় এমন কারখানার কথা আমরা বলতে পারব না। সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়।’ এ সময় সিদ্দিকুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ছুটি হয়েছে ৯০ শতাংশ কারখানায়। আজকের মধ্যেই অবশিষ্ট কারখানাগুলোয় ছুটি দেয়া হবে। প্রতি বছরই ঈদের আগে পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাসের বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের দোলাচল তৈরি হয়। ঈদের কথা তো আগে থেকেই জানা থাকে, তারপরও এমন কেন হয়Ñ সাংবাদিকদের এম প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আসলে সব মালিকের হাতেই তো নগদ টাকা থাকে না। অনেক সময় তাদের কোন অর্ডারের টাকা হাতে পেয়ে বেতন দিতে হয়। এবারও দুটি কারখানার মালিককে কারখানার মেশিন বিক্রি করে বেতন পরিশোধ করতে হয়েছে। ৪০ লাখ শ্রমিককে হাজার হাজার কোটি টাকা বেতন দিতে কিছু সমস্যা হয়ওয়া তো স্বাভাবিক। তবে আমাদের জানামতে এখন আমাদের হাতে বেতন-ভাতা পরিশোধ বিষয় সমাধান করা হয়নি এ রকম একটি কারখানাও নেই। চট্টগ্রাম বন্দরের সমস্যা তুলে ধরে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে মালামাল আমদানি-রফতানির কাজ ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে কিছুটা গতি এলেও সামগ্রিকভাবে টার্ন এ্যারাউন্ড টাইম এখনও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বহির্নোঙ্গরে জাহাজের অবস্থানকাল এখনও ৪-৯ দিন, যা আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দরে জেটির সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ইয়ার্ড সম্প্রসারণ, কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ইক্যুইপমেন্ট ও ক্রেন সংগ্রহ করার দাবি আবারও জানাচ্ছি।
×