ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবিস্মরণীয় জয়

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অবিস্মরণীয় জয়

স্বদেশের মাটিতে সফরকারী শক্তিশালী ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে টাইগাররা। এই অবিস্মরণীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, এই জয় জাতির জন্য ঈদের উপহার। উল্লেখ্য, ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ সফরে আসতে এর আগে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তারা এসেছে এবং একটি উত্তেজনাপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ উপহার দিয়েছে। টেস্ট ম্যাচও যে সীমিত ওভারের মতো রুদ্ধশ্বাসপূর্ণ হতে পারে দুই দলের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি তার উজ্জ্বল উদাহরণ। এজন্য উভয় দলই ক্রিকেটভক্তদের ধন্যবাদ পাবে। বাংলাদেশের টেস্ট সাফল্য ধীরে ধীরে ধরা দিতে শুরু করেছে। এখন আর কেউ টেস্টে বাংলাদেশকে বাঁকা কথা শোনাতে পারছে না। স্মরণে রাখতে হবে চলতি বছরেই নিউজিল্যান্ডে টাইগাররা যে কৃতিত্ব দেখিয়েছিল তাতে বাংলাদেশের টেস্ট শক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বসেছিল বিশ্বের টেস্ট খেলুড়ে বাঘা বাঘা দেশগুলো। বলাবহুল্য, দেশের জন্য এটা বড় অর্জন। এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। বাইরের দুনিয়া বাংলাদেশকে যে কয়টি ইতিবাচক অর্জনের জন্য চিনছে তার ভেতর প্রথম সারিতে রয়েছে ক্রিকেট। মেধা ও প্রতিভা যদি জন্মগত বলে মেনেও নিই, তারপরও থাকে তার চর্চা, অনুশীলন ও সাধনার বিষয়টি। টাইগারদের শক্তি ও যোগ্যতা রয়েছে এটা প্রমাণিত। শুধু প্রয়োজন ছিল আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যাভিসারী হওয়া। অস্ট্রেলিয়াকে দারুণভাবে হারিয়ে সেটিও তারা অর্জন করেছে। এখন আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি আরও তাক লাগানো বিজয়ের। প্রথম টেস্ট ম্যাচটির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে গেলে বলতেই হবে, বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা পুরোপুুরি পূরণ করতে পারেনি। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে টাইগাররা যে স্কোর গড়েছে প্রথম ইনিংসে সেটি আশানুরূপ না হলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ দল। বরং উল্টো তার লিড নিয়েছে। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট, পক্ষান্তরে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫৬ রান। এই রান যে সফরকারীরা করতে ব্যর্থ হলো তার পুরো কৃতিত্ব সাকিব-তাইজুল-মিরাজের নিয়ন্ত্রিত ও আক্রমণাত্মক বোলিং। এই বোলিং শক্তি দিয়ে বিশ্বের যে কোন ক্রিকেট দলকেই এখন চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে টাইগাররা। আমরা তাই তাকিয়ে আছি অস্ট্রেলিয়ার বাংলা ওয়াশ হওয়ার দিনটির দিকে। টাইগারদের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
×