ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিমুলিয়ায় সাড়ে ৪ শতাধিক যান পরাপারের অপেক্ষায়

প্রকাশিত: ২২:২৭, ৩১ আগস্ট ২০১৭

শিমুলিয়ায় সাড়ে ৪ শতাধিক যান পরাপারের অপেক্ষায়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভীড়। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাক পরাপার বন্ধ থাকায় ১৯টি ফেরি শুধু যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার পার করছে। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশী। তীব্র স্রোত ও বাতাসের কারণে নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ এবং ফেরি স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পারায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়াঘাটে এখন যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি দেখা যায় সকল ঘাট পয়েন্টেই। ১৯টি ফেরি, ৮৭ টি লঞ্চ এবং তিনশতাধিক স্পীড বোটে করে পাড় হচ্ছে যাত্রীরা। ঘাট এবং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জেলা পুলিশের সাড়ে ছয়শ’ সদস্য কাজ করছে। তবে ঘাটে পারাপারের ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেন যাত্রীরা। লঞ্চ এবং স্পীড বোট অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে। স্পীডবোট যাত্রী মনির হোসেন জানান, পদ্মা পারাপারে আগে স্পিডবোটে দেড়শ টাকা করে নেয়া হতো এখন দুইশত টাকা করে আদায় করছে। আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা জানান, যাত্রী নিরাপত্তায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের কাছে যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নিব। অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাত্রীদের নিরাপদে ঘর ফেরা ক্ষেত্রে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদিকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়ের কারণে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে পরিবহন সঙ্কটে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিরপুর, গুলিস্তান, পোস্তাগোলা থেকে শিমুলিয়াগামী গণপরিবহনেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শিমুলিয়া পর্যন্ত নির্ধারিত বাস ভাড়া ৭০টাকার স্থলে ১০০টাকা আদায় করছে। শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার উপচে পড়া ভীড় বেশী। নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাস রয়েছে। তারপরও পরাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। শিমুলিয়া প্রান্তে সাড়ে ৪ শ’ যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিাবাগত রাত ১২টা থেকে ট্রাক পারাপার বন্ধ করা হয়েছে। ট্রাকগুলো শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সিরাজদিখান কুচিয়ামোড়া সিটি মাঠে রাখা হয়েছে । ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তিন দিন এই নৌরুটে সকল পন্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। অনুরূপ বন্ধ থাকবে ঈদের পরের তিন দিনও। পুলিশ সুপর মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের নৌরুট নির্বিঘ্নে পারাপারের লক্ষ্যে শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার, কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। চাপ বেশী থাকলে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, সার্বক্ষনিক মনিটরিং চলছে। ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপারে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহরে ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক ঘাটে রয়েছে। কোন অনিয়ম হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাওয়া মানুষের পথে বিড়ম্বনা সৃষ্টি কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।
×