অনলাইন ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে এমন কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ আসেন, যারা জ্বলে ওঠেন আপন মহিমায়। তাদেরই একজন ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা। আজ তার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৯৭ সালের এই দিনে ফ্রান্সে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।
ডায়ানার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেসের গেটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি।
এদিন ডায়ানার ভক্তরাও সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আজ প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি লন্ডনের ডায়ানা মেমোরিয়াল গার্ডেন পরিদর্শনে যাবেন। নিজের মায়ের সম্পর্কে ৩৫ বছর বয়সী উইলিয়াম বলেন, ‘ধূসর এ পৃথিবীতে উজ্জ্বল আলোর রশ্মি ছিলেন তিনি।’
প্রিন্সেস ডায়ানা মানে রাজবধূ, ক্যামেরার অবিরাম ক্লিক। ডায়ানা মানে আর্তমানবতা আর সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন। তার ৩৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন নানাভাবে আলোচিত ছিল। ১৯৮১ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে তার বিয়ে ছিল বিশ্বের আলোচিত বিয়ের অন্যতম।
বিয়ের পর থেকে সব সময়ই ছিলেন ক্যামেরাবন্দি। যেখানেই যেতেন ক্যামেরা কখনও তার পিছু ছাড়েনি। হোক সে সন্তানের জন্ম কিংবা জনকল্যাণে চ্যারিটির কাজ। রাজপরিবারের প্রথা ভেঙে মিশতেন সবার সঙ্গে।
বর্ণাঢ্য রাজকীয় জীবন কাটালেও স্বামী প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ছিলো মনোমালিন্য। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। ১৯৯৭ সালে বন্ধু দোদি আল ফায়েদকে নিয়ে ফ্রান্সে বেড়াতে গিয়ে প্যারিসের পোন্ত দ্য ল্য-অ্যালমা টানেলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চিরবিদায় নেন পৃথিবী থেকে। তার মৃত্যুর খবর মুহূর্তে স্তব্ধ করে দেয় গোটা বিশ্বকে।
ডায়ানা যখন মারা যান, তখন উইলিয়াম ১৫ ও হ্যারি মাত্র ১২ বছরের কিশোর। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসের গভীর কষ্টের দিন। দিনটিকে এখনও স্বাভাবিকভাবে মেনে নেননি ব্রিটেনের জনগণ। আজও তিনি রয়েছেন মানুষের মণিকোঠায়। সবার মনে এখনও বেঁচে আছেন, অপূর্ব-সুন্দরী আর হাস্যোজ্জ্বল প্রিন্সেস অব ওয়েলস হিসেবেই।
প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটিতে ডায়ানার সমাধি আর তার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানান শত শত ভক্ত। বুধবার ফুল দিতে আসা ৬২ বছর বয়সী হেলেন বলেন, আমি প্রতিবছরই এখানে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি। কারণ আমি ডায়ানাকে ভালোবাসি। এএফপি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: