ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরও ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৩১ আগস্ট ২০১৭

আরও ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জরুরীভিতিত্তে আরও ৩ লাখ মে. টন চাল আমদানি করছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, মেগা প্রকল্পগুলোতে জাপান বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চাল ক্রয়সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। এর আগে সকালে তিনি জাপানী প্রতিষ্ঠান সামিটোমো মিটসুই ব্যাংকিং কর্পোরেশনের সিঙ্গাপুর শাখার এশিয়া অঞ্চলের বিনিয়োগ প্রধান রাজিব কাননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময় তিনি জানান, এ মুহূর্তে আমাদের বিদ্যুত ও অবকাঠামো খাতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। রেলওয়ে খাতে প্রায় ১০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ দরকার হবে। এসব বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তবে এসব ঋণে সুদের হার কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুদের দিক থেকে সবচেয়ে কম কোরিয়া। তারপরই রয়েছে জাপান। এদিকে পরপর দু’বার বন্যার কারণে দেশে ব্যাপক ফসলহানি হয়েছে। এ অবস্থায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর আগে চালের সঙ্কট কাটাতে কয়েক দফা চাল আমদানি করেছে সরকার। একই সঙ্গে বেসরকারী খাতে চাল আমদানিকে উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে সরকার। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। বৈঠকে দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত চাহিদা মেটাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন, বিদ্যমান কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং বিদ্যুত সাব-স্টেশন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে বেসরকরীখাতে জামালপুরে ১১৫ মেগাওয়াট এইচএফও ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বৈঠকে চলতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ ব্যারেল অকটেন আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি ব্যারেল অকটেনের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ ডলার।
×