ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় পশুর দাম কম

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৩১ আগস্ট ২০১৭

পাবনায় পশুর দাম কম

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৩০ আগস্ট ॥ হাটবাজারে কোরবানির পশুর প্রচুর আমদানি হলেও ক্রেতা কম থাকার কারণে বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে গরু পালনের সঙ্গে জড়িত কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আবদুল গফুর জানান, এবারের জন্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পাবনা জেলায় এবার ২৭ হাজার ৭৫৬ খামারি কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করেছেন। জেলায় হাজিরহাট, অরণখোলা, বোয়ালমারী, চতুরহাটসহ ২২টি গবাদিপশুর বড় হাট রয়েছে। এবারেও বড় হাটগুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু আমদানি হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতার অভাবে বিক্রি কম। অপরদিকে গরু পালনের সঙ্গে জড়িত কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, বন্যার প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে।একই অবস্থা বিরাজ করছে, পুষ্পপাড়া, দাপুনিয়া, আতাইকুলা, সুজানগর, চিনাখড়া, কাশিনাথপুর, টেবুনিয়া, বনগ্রাম, করমজা, নাকালিয়া, অমৃতকুন্ডা, শরৎগঞ্জ হাটসহ বেশ কয়েকটি কোরবানির পশুর হাটে। কালকিনিতে জমেনি পশুর হাট নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, হাটে গরু-ছাগল জমজমাট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত ক্রেতা। ফলে কালকিনিতে কোরবানি উপলক্ষে পশু কেনা-বেচার হাটগুলো এখনো জমে উঠেনি। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছে পশু ব্যবসায়ীরা। তবে চড়া দামের কারণে এখনই পশু কিনছেন না ক্রেতারা। গরু না কেনার জন্য বিক্রেতারা দায়ী করছে অবৈধভাবে গরু আসাকে। আর এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কালকিনিতে বড় বড় কোরবানির পশু বিক্রির হাটগুলো এখনও জমে উঠেনি। উপজেলার গোপালপুরের হাট, কালকিনির হাট, মিয়ারহাট ও ফাসিয়াতলা হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল উঠলেও ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না। বিদেশী গরু আসার কারণে অনেকটাই লোকসানের আশঙ্কা পশু ব্যবসায়ীদের। আর ক্রেতারা অভিযোগ করছেন চড়া দামকে। আমতলীতে দুশ্চিন্তায় খামারিরা নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, বাজারে ভারতীয় গরু আসায় গরুর দাম কম। এতে দুশ্চিন্তায় খামারিরা। খামারিদের ধারণা, অনেক গরু এ বছর অবিক্রীত থেকে যাবে। প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলায় কোরবানির জন্য ১ হাজার ৩৩টি গরুর চাহিদা রয়েছে। দুই উপজেলার ৩৯০টি খামারে ১ হাজার ১১৫টি গরু আছে। আমতলীর ২১১টি খামারে ৫১৫টি গরু ও ১১১টি ছাগল এবং তালতলীর ১৭৯টি খামারে ৬০০ গরু রয়েছে। প্রতিদিন এ পশুগুলোকে খৈল, ভুসি, কুড়া ও কাচা ঘাস দিচ্ছে। ভাল দাম পাওয়ার আশায় খামারিরা খুব যতœ সহকারে দেখাশুনা করছেন। কিন্তু বাজারে ভারতীয় গরু আসায় গরুর দাম করে গেছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। অনেক খামারি লোকসানে গরু বিক্রি না করে পরবর্তী বছরের জন্য রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার দক্ষিণাঞ্চলের বড় গরুর হাট আমতলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু এসেছে। বিশেষ করে কুষ্টিয়া, বেনাপোল, যশোর, খুলনা ও ঝিনাইদহের গরুতে বাজার সয়লাব।
×