ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ॥ বেনজীর

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৩১ আগস্ট ২০১৭

ঈদ সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ॥ বেনজীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীদের শক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষয় হয়েছে। তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের আর বড় ধরনের নাশকতা চালানোর সক্ষমতা নেই। তারপরও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে জঙ্গী হামলার বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার ঈদ সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুধবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে এমনটাই জানালেন র‌্যাব মহাপরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত মহাপদির্শক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, গুলশান হামলার পর সারাদেশে ধারাবাহিক অভিযান চলমান থাকায় জঙ্গীদের তৎপরতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এতে তুষ্ট হওয়ার কোন কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জঙ্গীদের বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্ত হামলার পর গত বছরের ১ জুলাই ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁ ও বেকারিতে হামলা করে ১৭ বিদেশী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গীরা। এরপর ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদ জামাতেও হামলার চেষ্টা করে জঙ্গীরা। ঈদ জামাতে হামলার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে জঙ্গী হামলা করলে পুলিশসহ কয়েকজন নিহত হন। গুলশান হামলার পর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই গত মার্চে ঢাকার উত্তরায় র‌্যাবের ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলা চালায় এক আত্মঘাতী জঙ্গী। তার কয়েকদিনের মধ্যেই বিমানবন্দরের কাছেও আত্মঘাতী হামলা করে এক জঙ্গী। বেনজীর আহমেদ জানান, বহির্বিশ্বে আলোচিত গুলশান হামলার পর সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব-পুলিশ। এতে নিহত হয় শীর্ষ জঙ্গী নেতার অনেকেই। সে বিষয় মাথায় রেখেই এবার ঈদ সামনে রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ঈদ জামাতের নিরাপত্তা থাকছে নজিরবিহীন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ জঙ্গীদের ওপর কঠোর মনিটরিং চলছে। জঙ্গীরা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই। জঙ্গী নির্মূল না করা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কাজ চলবে। তিনি জানান, ঢাকায় অন্তত ৬শ’ স্থানে ঈদের জামাত হয়। এর মধ্যে প্রধান প্রধান জামাতের নিরাপত্তায় থাকবে র‌্যাবের পাঁচটি ব্যাটালিয়ন। জেলাগুলোতেও থাকবে র‌্যাবের নিরাপত্তা। যেসব স্থানে ক্যাম্প রয়েছে সেসব ক্যাম্প ও ব্যাটালিয়ন সদরের মধ্যে যেসব গ্রাম রয়েছে সেসব স্থানে র‌্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা দেবে। নিরাপত্তাকে অহেতুক ঝামেলা হিসেবে না দেখতে নাগরিকদের নিরাপত্তা কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। মুসল্লিদের জায়নামাজ, টুপি, তসবিসহ ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছাড়া অন্যকোন বাড়তি জিনিস না বহনের আহ্বান জানান র‌্যাব মহাপরিচালক।
×