ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গসিব

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৩১ আগস্ট ২০১৭

গসিব

৬ সন্তানের সঙ্গে ম্যাডোনার ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন সঙ্গীত জীবনে কয়েক দশক পেরিয়ে এসেছেন ম্যাডোনা। তিন দশকের দারপ্রান্তে এখন তার অভিনয়, সঙ্গীত ও পরিচালনার ক্যারিয়ার। এ দীর্ঘ সময়েও বিন্দুমাত্র তার আসনটা টলেনি.. মঞ্চ মাতানো গানের সঙ্গে ম্যাডোনার প্রতি ভক্তদের উন্মাদনা দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই, এই আকর্ষণীয় গায়িকার বয়স এখন ৫৯ বছর। এ বছর ৬ ছেলে-মেয়ের জননী পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা ৫৯ বছর বয়সে পদার্পণ করলেন। গত বুধবার ১৬ আগস্ট তার ৬ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তিনি জন্মদিন উদযাপন করলেন ইতালিতে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল অনেকটা ‘জিপসি স্টাইলে’র পার্টির মতো। মায়ের সঙ্গে ছেলে-মেয়েরাও নিজেদের সাজিয়েছেন জিপসি স্টাইলের সাজপোশাকে। অনুষ্ঠানে ম্যাডোনা সবুজ স্কার্টের সঙ্গে পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী হ্যাট (টুপি)। মায়ের সঙ্গে মিল রেখে মেয়েরা পরেছিলেন ফুলের মতো পোশাক। সবকিছু মিলিয়ে মার্কিন জনপ্রিয় তারকা এই ৫৯তম মনোমুগ্ধকর জন্মদিন অনুষ্ঠানটি ছিল অনেক বেশি আনন্দের। ম্যাডোনার এ পর্যন্ত ১১টি এ্যালবাম বাজারে এসেছে। সবই সুপারহিট। একক ক্যারিয়ার শুরুর আগে ব্রেকফাস্ট ক্লাব এবং ইম্মি ব্যান্ডের সঙ্গে গাইতেন তিনি। সে সময় তিনি তার কালো চুলকে লালচে রং দেন। ধারণা করা হয়, বিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর দেখাদেখি এ কাজ করেছিলেন ম্যাজ [ম্যাডোনার ডাকনাম]। তবে তখনও তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেননি। জনপ্রিয়তার স্বর্ণশিখরে পা দেন ১৯৮৪ সালে। তার গান, মিউজিক ভিডিও সবকিছুই তখন সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। গানের পরেই ম্যাডোনার প্রিয় বিষয় নৃত্য। ১৯৭৮ সালে নিউইয়র্কের অ্যালভিন এইলির কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। শুধু গান শুনতেই নয়, কনসার্টে ম্যাডোনার নাচ দেখতেও ভিড় করেন দর্শক। অভিনয়ের প্রতিও আকর্ষণ আছে ম্যাডোনার। তাই ১৯৮৫ সালে ‘সাংহাই সারপ্রাইজ’ ছবিতে অভিনয় করেন সাবেক স্বামী শন পেনের সঙ্গে। দ্য হিটম্যানস বডিগার্ড একজন টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করেন। আরেকজন জীবন বাঁচান। নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত দুই পেশাদার যুগলবন্দী হলে তবে কেমন হয়। চিন্তা করার প্রয়োজন নেই এমনই গল্প উঠৈছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য হিটম্যানস’ বডিগার্ড চলচ্চিত্রে। ছবিতে কুখ্যাত পেশাদার খুনির ভুমিকায় দ্য ব্লাক ম্যান অব হলিউড খ্যাত স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। আর বডিগার্ডের ভূমিকায় হলিউডের হাল আমলের ক্রেজ ডেডপুল তারকা রায়ান রেনল্ডস। দামি গাড়ি আর সমুদ্রযান নিয়ে ধাওয়া-পালটাধাওয়া, খানিক পরপর বন্দুকের ঠা ঠা গুলিবর্ষণ, খালি হাতে মারামারি, দাঙ্গাবাজ নায়ক আর খলনায়ক; পরিপূর্ণ এ্যাকশন ছবির সব মালমসলাই পাবেন ১১৮ মিনিটের এই ছবিতে। সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে থাকছে রায়ান রেনন্ডস আর স্যামুয়েল এল জ্যাকসনের হাস্যরসাত্মক অভিনয়। তাই দ্য হিটম্যানস বডিগার্ডকে বলাই যায় একদম খাঁটি, আদি ও আসল এ্যাকশন কমেডি! এই ছবিটি দিয়েই প্রথম জুটি বাঁধলেন রায়ান রেনন্ডস আর স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। এর আগে এ্যানিমেশন সিনেমা টার্বোতে দুজন একসঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, কিন্তু একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন এবারই প্রথম। ১২ বছর ধরে স্যামুয়েলকে চেনেন রায়ান, অনেক দিন ধরেই বড়পর্দার ডেড পুল সুযোগ খুঁজছিলেন আরেক সুপারহিরো ‘নিক ফিউরি’র সঙ্গে কাজ করার। তাই এবার ব্যাটে-বলে মিলে যাওয়ায় আর দেরি হয়নি, স্যামুয়েল ছবিতে আছেন শুনেই এক কথায় রাজি হয়ে যান রায়ান রেনল্ডস। ছবিটির শূটিংয়ে এরই মধ্যে ভাল খাতির জমে গেছে সবার। এই তো কয়েকদিন আগে রায়ানের বাড়িতে রাতের দাওয়াতেও গিয়েছিলেন ছবির আরেক কুশলী সালমা হায়েক। সেখানে তিনি রান্না করেছেন, রায়ানের মেয়ের দেখভাল করেছেন। সেই ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাল সাড়া ফেলেছিল। ছবির গল্পে স্যামুয়েল এল জ্যাকসন টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করেন। আর নামী-দামী ব্যক্তিদের বডিগার্ড রায়ান রেনল্ডস। নিজ নিজ পেশায় বিখ্যাত দুজন বহুবার মুখোমুখি হয়েছেন। পাকেচক্রে এখন স্যামুয়েলেরই বডিগার্ড হতে হচ্ছে রেনল্ডসকে। একজন স্বৈরশাসকের হাত থেকে হিটম্যানকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা। তবে পুরনো দুই শত্রুর যুগলবন্দী হয়ে কাজ স্বাভাবিক হবে তা কোনভাবেই আশা করা যায় না। ঘটেছেও তাই। পদে পদে বিপত্তি। আর এর ওপর আছে হিটম্যানের স্ত্রী, যে তাঁর স্বামীর চেয়ে কম বিপজ্জনক নন। আর এই চরিত্রে রূপ দিয়েছেন হলিউডের আরেক পরিচিত মুখ সালমা হায়েক। ছবির পরতে পরতে উত্তেজনা। গুলিবর্ষণ তো অহরহই। সঙ্গে আছে দ্রুত গতির গাড়ি ও স্পিডবোটের প্রতিযোগিতা। তবে হাস্যরসেরও কমতি নেই। ১১৮ মিনিটের এ্যাকশন কমেডি ধাঁচের চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে গত ১৮ আগস্ট। তবে এরই মধ্যে আয় করেছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। হিসাবটা গত রোববার পর্যন্ত। আর এরই মধ্যে ‘এ্যানাবেল কিয়েশন’ হরর ছবিটিকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে হলিউড টপচার্টের শীর্ষে। মুক্তির আগেই কিছু দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। আর ট্রেলার মাত করেছে অনেককে। ছবিটি নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকের মধ্যেই, যার প্রভাব পড়েছে মুক্তির পরদিন থেকেই। আর এরই মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এর পরবর্তী সিক্যুয়ালের। আবারও ড্যানিয়েল ক্রেইগ জেমস বন্ড’ নিয়ে নাটক যেন থামছেই না। প্রতি মুহূর্তে অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। জেমস বন্ডের চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগ থাকছেন তো? নাকি অন্য কেউ? আর তা নিয়ে হঠাৎ করেই শুরু হয় অনিশ্চয়তা। বোস্টন রেডিও স্টেশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ড্যানিয়েল ক্রেগ জানিয়েছেন, ‘এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’ জেমস বন্ডের চরিত্রে আর অভিনয় করবেন না বলেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেইগ। এই ঘোষণার পর পরই শুরু হয়ে যায় কে হতে পারে ২৫তম বন্ড চলচ্চিত্রের জিরো জিরো সেভেন। তবে সম্প্রতি সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই ক্রেইগই জানান দিলেন, তিনিই হচ্ছেন ২৫তম বন্ড। খবরটি প্রকাশ করেছে ডিএনএ ইন্ডিয়া। মার্কিন টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান দ্য লেট শো উইথ স্টিফেন কলবার্টে সম্প্রতি ক্রেইগ আসেন তাঁর নতুন ‘লোগান লাকি’ ছবির প্রচারের জন্য। এ সময়ই তিনি পরবর্তী বন্ড ছবিতে অভিনয় করার কথা জানান সবাইকে। অনুষ্ঠানে উপস্থাপক কলবার্টকে ক্রেইগ বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে একটু ভেবেচিন্তেই এগিয়েছি। প্রায় সারাদিনই আমাকে সাক্ষাতকার দিতে হয়েছে এ বিষয়ে, আর লোকজন জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছিল, আমি ভেবেছিলাম এ ব্যাপারে মুখ খুলব না। কিন্তু আমার মনে হলো আমি যদি সত্যি বলি, তাহলে সেটা আপনাকেই বলা উচিত।’ তখনই উপস্থাপক ক্রেইগকে চেপে ধরেন, জানতে চান, ‘ড্যানিয়েল ক্রেইগ, আপনিই কি জেমস বন্ড হিসেবে ফিরে আসছেন?’ ক্রেইগের উত্তর হয়, ‘হ্যাঁ’। সরাসরি ক্রেইগের মুখ থেকে এবারই প্রথম শোনা গেল তিনিই ফিরে আসছেন ২৫তম বন্ড হিসেবে। তবে এবারও কিন্তু ইঙ্গিত দিতে ভুললেন না এই বন্ড অভিনেতা, বললেন, এবারই শেষবারের মতো ব্রিটিশ এমআই সিক্স এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। হলিউড রিপোর্টার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে এরই মধ্যে। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের দুনিয়া কাঁপানো চরিত্র জেমস বন্ড। লন্ডনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএসের দুর্ধর্ষ গুপ্তচর এই বন্ড। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় জেমস বন্ড সিরিজের সর্বশেষ ছবি ‘স্পেকটার’। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮৮০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ছবিটি। একফ্রেমে সেরা ৭ অভিনেত্রী রেখা, শ্রীদেবী, শাবানা আজমি, টিনা মুনিম (টিনা আম্বানি), ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, রানী মুখার্জি ও বিদ্যা বালান কে নেই এ ছবিতে! বলিউডের অন্যতম সেরা সাত অভিনেত্রীর সব জৌলুস যেন ছড়িয়ে পড়েছিল এক অনুষ্ঠানে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে নিজের জন্মদিন পরবর্তী এ পার্টিতে শ্রীদেবী ক্যামেরাবন্দী হন তার ছয় তারকা সতীর্থের সঙ্গে। সত্তর দশক থেকে এখন পর্যন্ত বলিউডের সেরা কাজগুলো উপস্থাপন করেছেন এই সাত অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে আছেন ভারতের পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী তারকা। তারা অভিনয় করেছেন কালজয়ী ছবিতে। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য রেখার ‘উমরাও জান’, শ্রীদেবীর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, টিনা মুনিমের ‘কর্জ’, ঐশ্বরিয়ার ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, রানীর ‘ব্ল্যাক’ ও বিদ্যার ‘দ্য ডার্টি পিকচার।’ আর বাংলা ও হিন্দী ছবিতে শাবানা আজমির কাজগুলোর কথা তো না বললেই নয়। গত ১৩ আগস্ট ৫৪ বছরে পা রাখেন শ্রীদেবী। পার্টি প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে বিশেষ অনুভূতি এনে দেয়ার জন্য মনীষ মালহোত্রাকে ধন্যবাদ। আমার সব বন্ধুদের অজস্র ভালবাসায় আপ্লুত হলাম।’ পার্টির বেশকিছু ছবি শেয়ার করেছেন শ্রীদেবী। এর একটিতে তাকে দেখা গেছে এ্যাশের পাশে। অনুষ্ঠানে বাদ যাননি শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর এবং তাদের দুই কন্যা জানভি ও খুশি। মুম্বাইয়ে মনীষের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন শাবানা আজমির স্বামী জাভেদ আখতার, পরিচালক গুরিন্দর চাধা করণ জোহর, অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, অভিনেত্রী হুমা কুরেশি, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি, ফারাহ খান, পুনিত মালহোত্রা। বিদ্যাও বেশকিছু ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই চমৎকার ও অমূল্য ছবি ভাগাভাগি না করে পারলাম না। একফ্রেমে ভারতের সবচেয়ে বড় ও সেরা অভিনেত্রীদের কয়েকজন। তাদের প্রায় সবারই গুণমুগ্ধ আমি। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই রাত চিরকাল মনে থাকবে। ধন্যবাদ মনীষ মালহোত্রাকে।’ বিদ্যা সম্প্রতি সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার ‘তুমহারি সুলু’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কুড়ি বছর পর ‘জ্যাক ও রোজ’ ‘টাইটানিক’-এর জ্যাক এবং রোজের অফস্ক্রিন রোম্যান্স নিয়ে বহু গসিপ চালু রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। তারা ডেট করেন কিনা, কোথায় করেন, এখন সম্পর্ক কেমন এমন হাজারও প্রশ্ন রয়েছে ভক্তকুলের মাঝে। সম্প্রতি ফ্রান্সের সেন্ট ট্রপেজে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। তাঁদের ছুটির ছবি ভাইরাল হয়েছে ওয়েব দুনিয়ায়। এ নিয়ে ভক্তদের জল্পনা-কল্পনা আরও বাড়তে থাকে। জেমস ক্যামেরনের বিখ্যাত রোমান্টিক ছবি টাইটানিক দিয়েই তাঁদের বন্ধুত্ব শুরু। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত টাইটানিক ছবিতে রোজ আর জ্যাকের প্রেমের রসায়নটা ছিল চমৎকার। ঐতিহাসিক ওই ছবিতে রোজ চরিত্রে কেট উইন্সলেট এবং জ্যাক চরিত্রে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও অভিনয় করেন। ২০ বছর হয়েছে ওই চলচ্চিত্রের বয়স। আর কেট ও ক্যাপ্রিওর সম্পর্ক? এখনো দুর্দান্ত। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, কিছুদিন আগে এই টাইটানিক জুটিকে ফ্রান্সে একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখা গেছে। গত জুলাই মাসে ফ্রান্সের সেইন্ট ট্রপেজে লিওনার্দোর পরিবেশভিত্তিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কেট উইন্সলেট। লাল গালিচায় ৪১ বছরের ডিক্যাপ্রিও এবং ৪০ বছরের কেট উইন্সলেটকে ক্যামেরায় ধারণ করতে ভুল করেননি ফটোগ্রাফাররা। আর নিজের সহশিল্পীর সেরা অভিনেতার পুরস্কার জয়ে উচ্ছ্বসিত কেট উইন্সলেট। এ সময় তাদের খুনসুটিতে মেতে উঠতেও দেখা যায়। এর আগে অস্কারের জন্য পাঁচবার মনোনীত হয়েও হাতাশ হন হলিউডের এই অভিনেতা। সম্প্রতি লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে উইন্সলেট বলেন, ‘এটি খুব হতাশাজনক হবে যদি ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার না পান ডিক্যাপ্রিও। ‘উপস্থাপক জুলিয়ান মুর যখন ডিক্যাপ্রিও’র নাম ঘোষণা করে তখন অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন কেট। পাশাপাশি হলজুড়ে তখন চলছিল হর্ষধ্বনি। মুক্তির প্রায় দুই যুগ পার করলেও জেমস ক্যামেরুন মহাকাব্যিক সৃষ্টি ‘টাইটানিককে এখনও ভোলেননি দর্শকরা। বিশেষত, জ্যাক ও রোজ জুটি। তাদের এখন হলিউডের অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে ধরা। ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বলিউড সিনেমা ‘টয়লেট এক প্রেম কথা।’ একজন সহজ-সরল কেশব (অক্ষয় কুমার) ও প্রগতিশীল জয়ার (ভূমি পেডেনকর) প্রেম কাহিনীর উদাহরণ। যুগ যুগ ধরে প্রচলিত একটি বিদ্রুপাত্মক রীতিনীতির বিরূদ্ধে যুদ্ধ। পঞ্চায়েত থেকে স্যানিটেশন বিভাগ, সরকারের ভূমিকা থেকে গ্রামবাসীদের কুসংস্কার। এবং প্রথম প্রেম থেকে পরিপক্ব রোমান্স ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’। হিট ছবি উপহার দেয়ার যদি কোন ফর্মুলা থাকে, তো অক্ষয় কুমারের কাছেই হয়ত আছে সেটার টেক্কা! কারণ, এবার বলিউড বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করল তার ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। যার মাধ্যমে গত ২০ মাসে তার টানা পাঁচটি ছবি ব্যবসায়িক সাফল্য পেল। ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র একটি দৃশ্যে অক্ষয়ভারতে খোলা আকাশের নিচে মলমূত্র ত্যাগ করার সামাজিক সমস্যা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ছবি। এটি মুক্তি পায় গত ১১ আগস্ট। গেল আট দিনে ১০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে ঢুকেছে শ্রী নারায়ণ সিং পরিচালিত ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’। অবশ্য মুক্তির প্রথম দিনে মাত্র ১৩ কোটি ১ লাখ রুপি আয় করায় কেউ ভাবেনি এত দ্রুত ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়বে ছবিটি। ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র আগে অক্ষয় কুমারের ‘এয়ারলিফট’, ‘হাউসফুল থ্রি’, ‘রুস্তম’ ও ‘জলি এলএলবি টু’ ১০০ কোটি রুপি করে আয়ের ঘর পেরিয়েছে। এসব ছবির প্রায় সবই অল্প বাজেটে বানানো হলেও নির্মাতাদের এনে দিয়েছে ভূরি ভূরি মুনাফা। যেমন ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র বাজেট মাত্র ২৪ কোটি রুপি! ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’র একটি দৃশ্যনিজের নতুন ছবির সাফল্য ও এর কারণ প্রসঙ্গে অক্ষয় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সমাজঘনিষ্ঠ ছবিতে কখনও অতিরঞ্জিত বাণিজ্যিক কিছু রাখতে দেই না আমি। আমার চাওয়া, সেখানে প্রেমের গল্প থাকতে হবে। সত্যি বলতে নতুন ছবিতেও প্রেমের গল্পটাই আমার মনে পড়ছে বেশি। ‘শুধু টাকা আয়ই নয়, সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে ছবিটি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযান কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সাজানো হয়েছে ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র চিত্রনাট্য। কয়েকটি রাজ্যে এ ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছবিটি সরকারীভাবে বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হয়েছে বলে জানান অক্ষয় কুমার। দূরদর্শনও ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ প্রচারের ইচ্ছা দেখিয়েছে। বহুযুগ ধরে প্রচলিত একটি সামাজিক অভ্যাসের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই এই ছবির মূল বিষয়বস্তু। খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ এবং এ নিয়ে গ্রামবাসীদের কুসংস্কার নিয়েই ‘টয়লেট এক প্রেম কথা।’ ২০১২ সালে ভারতে ১৯ বছরের তরুণী প্রিয়াঙ্কা ভারতী বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি গিয়ে দেখেন টয়লেট নেই। তখন আর এক মুহূর্তও দেরি করেননি, দৌড়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। ছবিটির গল্পে এই ঘটনার সাদৃশ্য আছে। ধ্রুব হাসান তথ্য সূত্র- ইন্টারনেট
×