ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাহরিয়ার কবির

বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩১ আগস্ট ২০১৭

বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

(গতকালের পর) শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষতার রক্ষাকবচ হিসেবে ধর্মের নামে রাজনীতি সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বাইরে অন্য কোন দেশ নিষিদ্ধ করতে পারেনি। এমনকি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিবেশী ভারতের সংবিধানেও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আমাদের দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু এবং চার জাতীয় নেতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ মুছে ফেলার পাশাপাশি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আলোকাভিসারী একটি জাতিকে মধ্যযুগীয় তামসিকতার কৃষ্ণগহ্বরে নিক্ষেপ করেছেন। ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ’৭২-এর মহান সংবিধানের ওপর এই নিষ্ঠুর বলাৎকার বাংলাদেশে পাকিস্তানী ধারার সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী রাজনীতির ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আত্মগোপনকারী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক জামায়াতীরা আবার মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির এই তথাকথিত ‘ইসলামিকরণ’ বা ‘পাকিস্তানিকরণ’ সম্ভব হতো না। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিএনপি এবং তাদের প্রধান দোসর ’৭১-এর ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচলন করতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা ও ইসলামবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে সব সময় বলে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ধার করেছে। ধর্মব্যবসায়ীদের এই মিথ্যাপ্রচারণা তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিহ্নিত শত্রুরাই অধিককাল ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জঘন্যভাবে বিকৃত করেছে। তারা সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে। খালেদা-নিজামীরা এবং তাদের তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবীরা অহরহ বলেন, ’৭২-এর সংবিধান রচিত হয়েছে ভারতের সংবিধানের মডেলে, ধর্মনিরপেক্ষতা নেয়া হয়েছে ভারতের সংবিধান থেকে। এসব জ্ঞানপাপী জানেন না যে, ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হওয়ার চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করার সময় বঙ্গবন্ধু এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বহুবার বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। শুধু রাষ্ট্র ও রাজনীতি ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে, কোন বিশেষ ধর্মকে প্রশ্রয় দেবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা এবং ধর্মের নামে হানাহানি এবং ধর্মব্যবসা বন্ধের জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। এতে ধর্ম ও রাষ্ট্র দুই-ই নিরাপদ থাকবে। সেই সময় অনেক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁদের বক্তব্য ছিল সেক্যুলারিজমের প্রকৃত অর্থ হচ্ছেÑ ‘ইহজাগতিকতা’। ধর্মের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা যথেষ্ট নয়। সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ প্রদর্শন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কোরান, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ, ওআইসির সদস্যপদ গ্রহণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের ব্যর্থতারও অনেক সমলোচনা তখন হয়েছে। পশ্চিমে সেক্যুলারিজম যে অর্থে ইহজাগতিকÑ বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা সেরকম ছিল না। তাঁর সেক্যুলারিজম ছিল তুলনামূলকভাবে নমনীয়, কারণ তিনি মনে করেছেন ধর্মের প্রতি ইউরোপীয়দের মনোভাব এবং বাংলাদেশসহ অধিকাংশ এশীয় দেশের মনোভাব এক রকম নয়। বঙ্গবন্ধুর সেক্যুলারিজমের সংজ্ঞায় ধর্মের যথেষ্ট স্পেস ছিল। ইউরোপে যারা নিজেদের সেক্যুলার বলে দাবি করে তারা ঈশ্বর-ভূত-পরলোক কিংবা কোন সংস্কারে বিশ্বাস করে না। বঙ্গবন্ধু কখনও সে ধরনের সেক্যুলারিজম প্রচার করতে চাননি বাংলাদেশে। ধর্মব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে বাংলাদেশের মানুষ ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন ও অনীহ কিন্তু একই সঙ্গে এদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপরায়ণ। শুধু ঈশ্বর ও পরকাল নয়, পীর-ফকির ও পানিপড়াসহ বহু কুসংস্কারও মানে এদেশের অনেক মানুষ। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকে বলতে হয়েছেÑ ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের প্রতিটি মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের বদৌলতে ধর্ম কিভাবে গণহত্যা ও ধর্ষণসহ যাবতীয় ধ্বংসযজ্ঞের সমার্থক হতে পারে। যে কারণে ’৭২-এর সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কারও মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। এভাবেই অনন্য হয়ে উঠেছিল ’৭২-এর সংবিধান। মুক্তিযুদ্ধকালে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বহুবার বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক পরিচয়ের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছেন। মুজিবনগর থেকে যেসব পোস্টার বা ইশতেহার যুদ্ধের সময় বিলি করা হয়েছে সেখানেও অসাম্প্রদায়িক বাঙালী জাতীয়তাবাদের কথা বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি অবিস্মরণীয় পোস্টারের লেখা ছিল, ‘বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রীস্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমানÑ আমরা সবাই বাঙালী।’ ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানকে অস্বীকার করা এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। জেনারেল জিয়া সংবিধানের ৫ম সংশোধনী জারি করে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালী জাতীয়তাবাদ বাতিল করেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগঠনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন, সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ...’ এবং প্রস্তাবনাসহ একাধিক স্থানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করেছেন। এরপর তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেক উর্দিধারী জেনারেল এরশাদ সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ ঘোষণা করেছেন। এসবের সঙ্গে প্রকৃত ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবিধানের এসব সংশোধনী করা হয়েছিল। বাংলাদেশ যদি একটি ইসলামিক দেশ হবে তবে ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের কী প্রয়োজন ছিলÑ এর জবাব এই দুই জেনারেলের অনুসারীদের দিতে হবে। ৩০ লাখ মানুষের জীবনদান, কয়েক কোটি মানুষের অপরিসীম দুঃখ-দুর্দশা ও আত্মত্যাগের কি কোন প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশে যদি ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালী জাতীয়তাবাদ না থাকে? পাকিস্তান তো একটি ইসলামিক রাষ্ট্রই ছিল। পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ স্বাধীন করার প্রয়োজন হয়েছিল এদেশের মানুষ ইসলামের নামে শোষণ-পীড়ন-নির্যাতন-হত্যার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে একটি অসাম্প্রদায়িক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিল বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে গলা টিপে হত্যা করে সংবিধানঘাতক জিয়া-এরশাদ বাংলাদেশকে জঙ্গী মৌলবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলেন। কোরআন ও সুন্নাহর আইন চালু করার জন্য এখনও হত্যা করা হচ্ছে এখনও মুক্তচিন্তার লেখক, অধ্যাপক, পেশাজীবী এমনকি ইসলামী চিন্তবিদদেরও। যে জামায়াতিদের হাতে লেগে আছে ৩০ লাখ বাঙালীর রক্ত তারা এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় গিয়ে নিজেদের গণতন্ত্রী, সন্ত্রাসবিরোধী ও শান্তিবাদী বলে দাবি করছে। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী বার্মা, ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকা পর্যন্ত যাদের জিহাদী নেটওয়ার্কে বিস্তৃত তাদের উদারনৈতিক ইসলামিক দল হিসেবে সার্টিফিকেট দিচ্ছে আমেরিকা, যে আমেরিকা ছিল ’৭১-এ পাকিস্তানী সামরিক জান্তার প্রধান মুরব্বি। বর্তমানে বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৬০ কোটি। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ ৫৭টি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান। মুসলমান প্রধান দেশসমূহে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ও রাষ্ট্রগঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তুরস্কের মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক, আফগানিস্তানের বাদশাহ আমানউল্লাহ ও ড. নজিবুল্লাহ, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মিশরের গেমাল আবদুল নাসের, তিউনিসিয়ার হাবিব বরগুই বা ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, আলজেরিয়ার আহমেদ বেনবেল্লা, সিরিয়ার হাফিজ আল আসাদ, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও প্যালেস্টাইনের ইয়াসের আরাফাত। এসব দেশের ভেতর সিরিয়া ও বাংলাদেশ ছাড়া মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইসলামী বা রাজনৈতিক ইসলামের সমর্থক দলগুলো সরকার পরিচালনা করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক শিবিরকে মোকাবেলার জন্য আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব লাল বলয়ের বাইরে সবুজ বলয় সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মুসলমানপ্রধান অঞ্চল ও দেশসমূহে হাসান আল বান্না ও আবুল আলা মওদুদির রাজনৈতিক ইসলামকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, যার ফলে বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমপ্রধান দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ উত্থানের পথ সুগম হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভেঙে পাকিস্তান সৃষ্টি করতে পারতেন না যদি না ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার তাকে সমর্থন না করত। রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত জীবনেও জিন্নাহ সেক্যুলার ছিলেন। তিনি পাকিস্তানকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটে। প্রায় একই সময়ে ১৯৫০ সালে আমেরিকার চাপে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ককে মাদ্রাসা চালুসহ ধর্মীয় রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান মেনে নিতে হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমপ্রধান দেশে আমেরিকা যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই মোল্লাতন্ত্র ও সমরতন্ত্রকে উস্কে দিয়েছে। আফগানিস্তানে এবং ইরাকে আমেরিকার হস্তক্ষেপের ফলে এ দুটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান রূপান্তরিত হয়েছে ইসলামী সংবিধানে। আফগানিস্তানে নজিবুল্লাহর সরকারকে উৎখাতের জন্য আমেরিকা যে আলকায়দা ও তালেবানদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল তারা এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানব হয়ে শুধু আমেরিকা নয় বিশ্বসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে আমেরিকার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সে দেশের গবেষকরাও লিখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ দেশ সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাতের জন্য আবারও আমেরিকা আলকায়দার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জঙ্গী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা সত্ত্বেও আমেরিকা এখনও মনে জামায়াত একটি মডারেট মুসলিম দল এবং বাংলাদেশে জামায়াতকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। চলবে...
×