ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মি. সিনহার আর আদালতে বসা উচিত নয় -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৩১ আগস্ট ২০১৭

মি. সিনহার আর আদালতে বসা উচিত নয় -স্বদেশ রায়

চৌদ্দ দলের প্রায় সব নেতাই ইতোমধ্যে মি. সিনহাকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। প্রায় প্রতিদিনই তাদের দলের বিভিন্ন কর্মসূচী থাকছে তার পদত্যাগের দাবিতে। আইনজীবীদের কয়েকটি সংগঠন ইতোমধ্যে মি. সিনহার সব ধরনের কর্মসূচী বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির ২২ দলীয় জোট মি. সিনহাকে যাতে পদত্যাগ না করতে হয় সেভাবেই কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে। অনেক ইসলামিক দল তার পদত্যাগের পক্ষে। দেশের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকে শুরু করে অনেক সংগঠন তার পদত্যাগ চেয়ে কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচী পালন করেছে। বেশ কয়েকটি নারী সংগঠন তার দেয়া অবজারভেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সম্পর্কে অবজ্ঞা প্রকাশ করায় তার পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেছে। তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে দেশের সম্মানিক চিকিৎসক সমাজ। অন্যদিকে হিন্দু মহাজোটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন মি. সিনহার প্রতি কঠোর বাক্য ব্যবহার করার প্রতিবাদে মি. সিনহার সপক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শ্রেণীর মন্তব্য আসছে, সিনহা সংখ্যালঘু বলে তার প্রতি এই অবিচার করা হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন মতামত কলামে অনেকেই তার পদত্যাগের সপক্ষে লিখেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রদ্ধেয় কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, যিনি ঢাকায় এলে মি. সিনহার বাসায় যান বলে তার কলামে লিখেছেন- তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মি. সিনহার একটি আপোস রফা হবে। এই আপোস করার জন্য জনাব গাফ্ফার চৌধুরীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দূতিয়ালি করছেন গহর রিজভী। ওই দূতিয়ালির তিনি সফলতা কামনা করেছেন। তিনি তার কলামে লিখেছেন, মি. সিনহাকে তিনি ফোন করেছিলেন. তিনি তার সঙ্গে অনেক কথা বলেছেন। তার ভেতর গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো, সিনহা তাকে জানিয়েছেন, তার রায়ে তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কোন খারাপ মন্তব্য করেননি। বরং জিয়া সম্পর্কে কটু মন্তব্য করেছেন। এই কথাগুলো কোট আন কোট। অর্থাৎ মি. সিনহারই উক্তি। গওহর রিজভী একটি অনলাইন পোর্টালে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, মি. সিনহা তাকে চায়ের দাওয়াত করেছিলেন। ওই পোর্টাল বলছে, একটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, সেখানে আলোচনায় মি. সিনহা বলেছেন, এ মুহূর্তে তিনি পদত্যাগ করলে সরকারের ক্ষতি হবে বেশি। এর আগে ওবায়দুল কাদেরকে তিনি ডিনারে ডেকেছিলেন। সেই ডিনার থেকে বেরিয়ে এসে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তার সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। সংলাপ আরও হবে। এর পরবর্তী ঘটনা হলো সিনহার আয়কর সংক্রান্ত অনিয়ম ও প্রভাব খাটিয়ে ভাইয়ের নামে রাজউকের প্লট নিয়ে ওই প্লট আবার নিজের আয়কর রিটার্নে দেখানো এমনি বেশ কিছু অনৈতিক কাজের সংবাদ টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে এর আগে তিনি সুপ্রীম কোর্টের নাম করে দুদককে চিঠি দিয়েছিলেন সাবেক বিচারপতি জয়নাল আবেদিনের দুর্নীতি তদন্ত না করার জন্য, যা দুদক আইনের ১৯-এর সি অনুযায়ী তিন বছর জেলসহ আরও কিছু শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া গাফ্ফার চৌধুরীর আশাবাদের বিষয়টি যে একান্ত তার নিজস্ব তাও কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মকা- প্রকাশ করছে। তারা নিয়মিতভাবে সিনহার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এছাড়া তাদের আইনজীবী সংগঠনগুলো আরও কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের দলের সঙ্গে বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা নেতানেত্রীদের সঙ্গে যারা যোগাযোগ রাখে তাদের মাধ্যমে জানা যায়, সিনহার পদত্যাগের দাবিতে জনতাকে তারা আরও সংহত করবে। কারণ, তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জনতার কাছে বিচারের ভার দিয়েছেন। অতএব সিনহা পদত্যাগ না করলে জনতার কর্মসূচী একটা আসতে পারে। সংক্ষেপে গত কয়েক দিনে মি. সিনহাকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে এটাই তার একটি ছোট্ট বিবরণী। এগুলো যদি খুব মোটা দাগেও বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে মি. সিনহার প্রতি চৌদ্দ দল, তাদের অঙ্গ সংগঠন- দেশের সংস্কৃতিসেবীরাসহ অনেকেই ক্ষুব্ধ। আবার কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে তারা মি. সিনহার সঙ্গে একটি ধর্মীয় যোগকে সামনে তুলে ধরে তার প্রতি সহানুভূতিশীল বা তার সপক্ষ হয়ে আন্দোলনে নামছে। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত ২২ দলীয় জোট তার পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অর্থাৎ এই ২২ দলীয় জোট ও সিনহার সঙ্গে ধর্মীয় যোগসূত্র ধরে কিছু লোক তার প্রতি অনুরক্ত। অন্যদিকে যে সরকার তার কোর্টে ষোড়শ সংশোধনী মামলায় হেরেছে এবং তাদের আইনমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, এই রায় বিদ্বেষপ্রসূত অতএব তারা এ রায় নিয়ে রিভিউতে যাবেন। রিভিউতে যেতে হলে তাদের সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে যেতে হবে। সেখানে ওই আপীল বিভাগের প্রধান থাকবেন মি. সিনহা। অথচ তিনি ইতোমধ্যে ওই মামলার একটি পক্ষ অর্থাৎ সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার পরেও তিনি গওহর রিজভীকে চায়ের দাওয়াত দেন। তার সঙ্গে মামলার বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। আর গাফ্ফার চৌধুরীর কথা যদি সত্য হয়, তাহলে তিনি গওহর রিজভীর কাছে কৌশলগত কারণেই সরকারের পক্ষে তার অবস্থান দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ তিনি বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করলে সরকারের ক্ষতি হবে বেশি। অন্যদিকে সরকারকে তুষ্ট করার জন্য বলেছেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে তিনি তার রায়ে কটু কথা লিখেছেন। কোন বিচারপতি কি তার রায়ে কারোর বিরুদ্ধে কটু কথা লিখতে পারেন? বাংলা একাডেমির অভিধান স্পষ্ট বলছে, কটু শব্দের অর্থ ‘কুকথা’। যে কোন বিচারপতি তার রায়ে সত্য কথা লিখবেন। কারও বিরুদ্ধে কি কুকথা লিখতে পারেন? কোন বিচারপতি যখন কারও বিরুদ্ধে কুকথা লেখেন তার রায়ে- তখন কি তার শপথ থাকে? আমাদের সংবিধানে বিচারপতির শপথ বাক্যে কী কী বলা আছে? সেখানে বলা আছে, ‘আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।’ কুকথা মানুষ কখন বলেন, যখন তিনি বিরাগের বশবর্তী হন তখনই কুকথা বলেন। তিনি যদি সত্যিই গাফ্ফার চৌধুরীর সঙ্গে টেলিফোনে বলে থাকেন, তিনি রায়ে জিয়া সম্পর্কে কুকথা লিখেছেন- তা হলেও যারা জিয়ার চরম বিরোধী তারাও বলবেন- তিনি শপথ রক্ষা করেননি। অন্যদিকে তার আয়কর সম্পর্কিত যে অনৈতিক কাজের রিপোর্ট টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর বলেছেন, কোন ব্যক্তি এ কাজ করলে আর কোন সাংবিধানিক পদে থাকতে পারেন না। তাছাড়া দুদকের তদন্তে বাধা দিয়ে দুদক আইনে তিন বছর শাস্তি পাওয়ার মতো একটি কাজ আগেই তিনি করেছেন। যার প্রমাণপত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক বাস্তবতা এখন কি? যে সব মানুষ তার পদত্যাগ দাবি করছেন তাদের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই মি. সিনহার একটি ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ, তিনিও একজন রক্ত মাংসের মানুষ। তিনি অতিমানবও নন আর যিশাসতো ননই। তাহলে স্বাভাবিকভাবে তাদের প্রতি তার একটা ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। যদি তা নাও হয়, তার পরও বাস্তবতা হলো এই মানুষগুলো আর কোন দিনই তার কোর্টে বিচার পাবেন এমন তারা নিজেরা আশা করতে পারেন না। তারা সব সময়ই ভাববেন, তাদের বিচার মি. সিনহা বিরাগের বশবর্তী হয়ে করবেন। অন্যদিকে তিনি যে সরকারের মন্ত্রী ও দলের সেক্রেটারিকে ডিনারে ডাকলেন, তার সঙ্গে তাদের মামলা নিয়ে সংলাপ করলেন- আবার পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে চায়ের দাওয়াত দিলেন। সেখানেও তার আলোচনার যে সুর গাফ্ফার চৌধুরীর লেখার ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে তা স্পষ্টত অনুগ্রহ পাওয়ার একটি চেষ্টা। তাই সরকারের মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের দাওয়াত দিয়ে তিনি যে অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করছেন এটাও কি তার শপথকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না? কারণ শপথে তিনি স্পষ্ট বলেছেন বিচারক হিসেবে অনুগ্রহ চাইবেন না। অন্যদিকে যে ২২ দলীয় জোট তার পক্ষ হয়ে সরকারী ১৪ দলীয় জোটের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে, তারা যদি কেউ মামলা নিয়ে তার কোর্টে যায় তাদের প্রতি তিনি অনুরাগপ্রবণ হতে পারেন। এমনকি যদি তিনি নাও হন, তা হলেও বিপক্ষরা মনে করবেন, তারা তার হয়ে রাজপথে কাজ করছেন, তাই তিনি অনুরাগের বশবর্তী হয়ে তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এ ছাড়া তার সঙ্গে ধর্মীয় যোগসূত্র তুলে ধরে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলছেন, যারা তার সঙ্গে ধর্মীয় যোগসূত্র ধরে প্রতিবাদ মিছিল করছেন, অনেকে মনে করতে পারে তাদের তিনিই রাজপথে নামিয়েছেন। তাই তারা যখন তার কোর্টে কোন বিচারের জন্য যাবে তখন বিপক্ষরা স্বাভাবিকই তার প্রতি অনাস্থা দেবে। তারা বলবে, এরা তার লোক, অতএব এ বিচার মি. সিনহা করলে তারা বিচার পারেন না। তাই দেখা যাচ্ছে, ভীত হওয়া, অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা, রাগ-বিরাগ ও অনুরাগের বশবর্তী হওয়ার সব কারণই মি. সিনহাকে ঘিরে ইতোমধ্যে ঘটে গেছে। শপথ ভঙ্গের এই সব উপাদান যেহেতু তাকে ঘিরে জড়ো হয়ে গেছে। প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে তাকে সমাজে ও মানুষের মনে। এমতাবস্থায় তিনি হয়ত তার পদত্যাগ নিয়ে সরকারের লাভ-ক্ষতি ভাবতে পারেন (যদি গাফ্ফার চৌধুরী ও তার টেলিফোন কথোপকথন সত্য হয়; তবে এটা সত্য ধরে নিতে হবে কারণ এটা প্রকাশের পরে মি. সিনহা কোন প্রতিবাদ করেননি)। দেশের মানুষ আর যাই হোক রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির পদ নিয়ে সরকারের লাভ-লোকসান ভাববে না। তারা সরকারের থেকে রাষ্ট্রকেই চিন্তা করবে আগে। সেখানে তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়, কোন রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি যখন এই অবস্থায় বা পরিস্থিতিতে চলে যান, তখন আর যাই হোক তার দ্বারা বিচার কাজ চলে না। এ কারণে মি. সিনহা পদত্যাগ করবেন, কি ছুটিতে চলে যাবেন না রাষ্ট্রপতি তার বদলে সংবিধানের ৯৭ অনুযায়ী অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন- এগুলোর থেকেও আশু প্রয়োজন মি. সিনহার বিচার কাজ থেকে দূরে থাকা। মি. সিনহার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ ঘিরে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রে ও সমাজে তা কোন সুস্থ অবস্থা নয়। বিচার বিভাগ এ অসুস্থতার ভেতর দিয়ে চলে না। অন্যদিকে তিনি তার আদালতে সরকারের মামলা থাকা অবস্থায় সরকার পক্ষের অনুগ্রহ পাওয়ার যে চেষ্টা করেছেন তা শুধু দৃষ্টিকটু নয়, বিচারকের আচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই এর পরে আর তিনি বিচার কাজ চালাতে পারেন কি? বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গা থেকে হিসাব করলে কোন মতেই তার আর আদালতে বসা উচিত নয়। আমরা আগে যে সব সম্মানিত বিচারপতিদের দেখেছি তাদের ক্ষেত্রে এর এক শ’ ভাগের এক ভাগ হলেই তারা বিচার থেকে দূরে চলে যেতেন। এমনকি যে বিচারপতি কেএম হাসানকে নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভিতর দ্বন্দ্ব হয়েছিলো তিনি বিচার কাজ নয়, নির্বাহী কাজে যাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ রাজপথে নামার সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবেন না। এ কারণে রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের স্বার্থে অবিলম্বে মি. সিনহার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসা দরকার, তিনি আর আদালতে বসবেন না। তিনি আদালতে বসলে, তিনি হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠন করলে- সেখানে বিচার প্রার্থী মাত্রই কোন এক পক্ষের সন্দেহ থেকেই যাবে যে তারা বিচার পাবেন না। এই সন্দেহ নিয়ে কোন রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা চলতে পারে না। অতএব মি. সিনহা কীভাবে চলে যাবেন সেটা তার নিজস্ব বিষয়, দেশের বিচার বিভাগের স্বার্থে তিনি আর আদালতে বসবেন না এ ঘোষণা এখন তাকে দিতে হবে রাষ্ট্রের ও দেশের মানুষের স্বার্থে। কারণ কোন এক ব্যক্তির জন্য একটি দেশের বিচার ব্যবস্থা এভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে না। ব্যক্তি কখনই কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় নয়। প্রধান বিচারপতির পদ থেকে রাষ্ট্রপতির পদ আরও বড়, আইয়ুব বা এরশাদ এই পদ নষ্ট করছিল বলেই ওই পদকে রক্ষা করার জন্য মানুষ তাদের টেনে নামায়। এ কারণে দেশের মালিক যে মানুষ বা জনগণ তারা সব সময়ই ব্যক্তির থেকে তার রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান রক্ষার কাজটি করবে। সে কাজে এ দেশের মানুষ বার বার রাজপথে নেমেছে। আগরতলা মামলার বিচারককেও মানুষ চলে যেতে বাধ্য করেছিল। [email protected]
×