ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবির প্রথম বর্ষে ভর্তিতে আসন প্রতি প্রার্থী ৩৯ জন

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ আগস্ট ২০১৭

ঢাবির প্রথম বর্ষে ভর্তিতে আসন প্রতি প্রার্থী ৩৯ জন

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ৭ হাজার ১শ’ ২৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে দুই লাখ ৭৭ হাজার ৭শ’ ১৫টি। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। গত ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ৬ হাজার ৮শ’ আসনের বিপরীতে তিন লাখ দুই হাজার ৪শ’ ৮৯ জন আবেদন করেছিল। প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ছিল ৪৪ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এ বছর ২৪ হাজার ৭শ’ ৭৪টি আবেদন কমেছে। প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থীও কমেছে পাঁচজন করে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সারাদেশে ফল ধসের কারণে এমনটা ঘটেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ করতে পারেনি বলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ বছর আবেদন করতে পারেনি। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) ভর্তিচ্ছুদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ-৮ থাকতে হবে। ‘খ’ ইউনিটের জন্য (মানবিক) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ-৭ থাকতে হবে। ‘গ’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ-৭.৫ থাকতে হবে। এ বছর অনেক শিক্ষার্থী ন্যূনতম এ যোগ্যতা পূরণ করতে পারেনি বলে বাদ পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ম না মেনে হিজাবসহ কান ঢাকা ছবি দিয়ে আবেদন করেছে। যারা এমন ছবি দিয়েছে তাদের আবেদন বাতিল হবে। তবে পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ছবি সংশোধরেন সুযোগ রয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩৫০ প্রার্থীকে ফোন করে ছবি সংশোধন করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যারা এখনও ছবি সংশোধন করেনি তাদের দ্রুত ছবি সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ছবি সংশোধন না করলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে ভর্তির অনলাইন আবেদনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইন আবেদনের সমাপ্তি ঘোষণা করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ বছর পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। এছাড়া ‘চ’ ইউনিটের ১৬ সেপ্টেম্বর, ‘খ’ ইউনিটের ২২ সেপ্টেম্বর, ‘চ’ ইউনিটের (অঙ্কন) ২৩ সেপ্টেম্বর, ‘ক’ ইউনিটের ১৩ অক্টোবর এবং ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ‘গ’ ও ‘চ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৩০ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। ক, খ, ঘ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ১২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষে ‘ক’ ইউনিটে এক হাজার ৭শ’ ৬৫টি আসনের বিপরীতে ৯১ হাজার ১শ’ ৪৩ জন, ‘খ’ ইউনিটে দুই হাজার ৩শ’ ৬৩টি আসনের বিপরীতে ৩৩ হাজার ১শ’ ৬৪ জন, ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ২শ’ ৫০টি আসনের বিপরীতে ২৯ হাজার ৯শ’ ৫৪ জন, ‘ঘ’ ইউনিটের এক হাজার ৬শ’ ১০টি আসনের বিপরীতে এক লাখ তিন হাজার ২শ’ ৮২ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে ১শ’ ৩৫টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ১শ’ ৭২ জন আবেদন করেছে। গত বছর ‘ক’ ইউনিটের এক হাজার ৬৮০টি আসনের বিপরীতে ৯১ হাজার ৯শ’ ৩২, ‘খ’ ইউনিটের দুই হাজার ২শ’ ৪১টি আসনের বিপরীতে ৩৫ হাজার ৬৬, ‘গ’ ইউনিটের এক হাজার ১শ’ ৭০টি আসনের বিপরীতে ৪৩ হাজার ৬৪, ‘ঘ’ ইউনিটের এক হাজার ৪শ’ ৪০টি আসনের বিপরীতে এক লাখ ১৫ হাজার ৮শ’ ৮ জন এবং ‘চ’ ইউনিটের ১শ’ ৩৫টি আসনের বিপরীতে ১৬ হাজার ৬শ’ ১৯ জন আবেদন করেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করবে। জালিয়াতি রোধ এবং জালিয়াত চক্রকে ধরতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানা গেছে।
×