ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায় কণ্ঠযোদ্ধা আবদুল জব্বার

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩১ আগস্ট ২০১৭

বিদায় কণ্ঠযোদ্ধা আবদুল জব্বার

মনোয়ার হোসেন ॥ থেমে গেল গানে গানে স্বাধীনতাকে খুঁজে ফেরা কণ্ঠস্বরটি। একাত্তরের শহীদদের ভালবাসা জানিয়ে আর গাইবেন না- সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে...। বাঙালীর মুক্তির সংগ্রামে কণ্ঠকে হাতিয়ার করার কিংবদন্তি শিল্পী গেয়েছিলেন ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’। জড়িয়ে সবাইকে ছেড়ে শোকসাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিলেন আবদুল জব্বার। মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতারের এই শব্দসৈনিকের প্রস্থান ঘটে বুধবার। ‘পিচঢালা এই পথ ছেড়ে‘ পাড়ি জমালেন অদেখার ভুবনে। এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। রেখে গেলেন জীবনসঙ্গী হালিমা জব্বার, দুই ছেলে মিথুন জব্বার ও বাবু জব্বার এবং মেয়ে টুনটুন জব্বারকে। তার দ্বিতীয় সংসারে রয়েছেন আরেক স্ত্রী শাহীন জব্বার ও মেয়ে মুনমুন জব্বার। বুধবার বেলা বারোটার পর বিএসএমএমইউ থেকে শিল্পীর সবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুরের মারকাজুল ইসলামে। সেখানে মরদেহের গোসল সম্পন্নের পর নিয়ে যাওয়া হয় তার ভূতের গলির বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের অশ্রুভেজা ভালবাসা নিবেদন শেষে তার মরদেহ এনে রাখা হয় বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাদেশ বেতারে শিল্পীর প্রথম জানাজা হবে। বেলা এগারোটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠযোদ্ধা আবদুল জব্বারকে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব শেষে বাদ জোহর শিল্পীর দ্বিতীয় জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। এরপর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে সমাহিত করা হবে শিল্পীকে। পাঁচ দশকের বেশি সময় দেশের সঙ্গীত ভুবনে আলো ছড়ানো দরাজ কণ্ঠের শিল্পী আবদুল জব্বারের দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি তিনি হৃদযন্ত্র ও প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, বুধবার সকাল নয়টা ১০ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন শিল্পী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক কিডনি ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। সকাল থেকে তার লিভার ও কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আকাশজুড়ে তখন বোধকরি ভাসছিল ‘ওরে নীল দরিয়া আমায় দেরে দে ছাড়িয়া’ ... এর আগে গত ২৯ এপ্রিল শিল্পী এ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি ৫ জুন আবারও ভর্তি হন। এর পর থেকে বিএসএমএমইউয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ শহিদুল ইসলাম সেলিমের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১ আগস্ট তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি বিএসএমএমইউয়ের অ্যানেস্থেথে-সিয়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ দেবব্রত বণিকের চিকিৎসাধীন ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বারের মৃত্যুতে শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। বরেণ্য এ সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মৃত্যুতে শেখাক জানিয়েছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শিল্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকস্তব্ধ ভক্তের ঢল নামে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে। সেখানে পরিবার, স্বজনদের আহাজারিতে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক পরিবেশ। এ সময় হাসপাতালের সামনের আঙিনায় গাড়িতে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী শাহীন জব্বার। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বিলাপ করে বলতে থাকেন, আমার আর কেউ থাকল না। তোমাকে ছাড়া আমি বাকি জীবন বাঁচব কেমন করে। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে হাসপাতালে এসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী, মনোরঞ্জন ঘোষাল, খুরশিদ আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ, সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহীম হোসেন খানসহ অনেকে। শিল্পীর বড় ছেলে মিথুন জব্বার বেদনার্ত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা মস্তবড় এক যোদ্ধা ছিলেন। তার মৃত্যুটাও হলো বীরের মতো। মঙ্গলবার রাতে বাবার সঙ্গে যখন শেষ কথা হয় তখন তিনি বলেছিলেন, এত তাড়াতাড়ি মরব নারে বেটা। একথা শোনার পর অনেকক্ষণ ধরে বাবাকে গান শুনিয়েছিলাম। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আবদুল জব্বারের মতো জাতীয় ব্যক্তিত্বকে হারানোর ক্ষতি অপূরণীয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আবদুল জব্বার আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেছেন। জঙ্গীবাদবিরোধী, অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনে সামনের সারিতে অবস্থান নিয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এক কথায় বাঙালীর মুক্তির সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামের প্রতিটি স্তরে আবদুল জব্বার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর শব্দসৈনিক হিসেবে তিনি জাতির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত রেখেছেন। তার কথা ও গানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামটি উচ্চারিত হয়েছে বার বার। তাই শুধু তার গান সংরক্ষণ করলেই চলবে না, তার চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী বলেন, অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন আবদুল জব্বার। তিনি বাঁচতে চেয়েছিলেন গানের মাধ্যমে। এ রকম সংগ্রামী শিল্পী আর জন্মাবে না। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম বলেন, আমাদের সময়ে যত শিল্পী এসেছেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন খুব সহজ-সরল। বিরাট বড় মাপের শিল্পী ছিলেন। আমি, সৈয়দ আবদুল হাদী, আবদুল জব্বার, বশীর আহমেদ ও মাহমুদুন্নবী একসঙ্গে পথ চলতাম। আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু ঈর্ষা ছিল না। আবদুল জব্বার নিজে সচ্ছল না হয়েও অন্যের কাছ থেকে ধার করে অন্যকে সাহায্য করতেন। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন আবদুল জব্বার। তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী শিল্পী। একাত্তরের রণাঙ্গনে গান গেয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। শুধু তাই নয়, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও তরুণ যোদ্ধা হিসেবে গান গেয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন জাতিকে। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ছিল তার অগাধ শ্রদ্ধাবোধ। এ কারণে বঙ্গবন্ধুকে তিনি বাবা বলে সম্বোধন করতেন। ১৯৩৮ সালে ৭ নবেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন সংগ্রামী শিল্পী আবদুল জব্বার। ১৯৫৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। ওস্তাদ ওসমান গণি ও ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে তিনি সঙ্গীতে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে প্রথম বেতারে এবং ১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন ও স্থায়ী শিল্পী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। শিল্পীর সঙ্গীত জীবনের অন্যতম স্মরণীয় অবদান হচ্ছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান। অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দেয়া এ শিল্পী মুক্তিযুদ্ধের সময় কাঁধে হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে গেরিলাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে উদ্দীপনামূলক গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এবং জনগণকে উজ্জীবিত করেন। ওই দুঃসময়ে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অসংখ্য গান গেয়েছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এ শিল্পীর গাওয়া বিভিন্ন গান মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি দেশবাসীরও প্রেরণা ও মনোবল বাড়িয়েছে। গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে গণসঙ্গীত গেয়ে প্রাপ্ত ১২ লাখ টাকা তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুম্বাইয়ে ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত তৈরিতেও নিরলসভাবে কাজ করেছেন। দেশের মানুষের ভালবাসায় ধন্য এ শিল্পী সঙ্গীতের নানা ঘরানার কয়েক হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর মধ্যে দুই শতাধিক চলচ্চিত্রের গানও রয়েছে। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়, এ ভুবনে কে আপন, এ মালিকে জাহান, আমার সে প্রেম, আমি বসন্ত হয়ে এসেছি, আমি এক নীড় হারা পাখি, আমি নিরবে জ্বলতে চাই, আমি প্রদীপের মতো আলো দিয়ে যাব, আমি তো বন্ধু মাতাল নই, ভালবাসা যদি, বিদায় দাও গো বন্ধু তোমরা, দু’জাহানের মালিক তুমি, এ আঁধার কখনও যাবে না মুছে, এক বুক জ্বালা নিয়ে, জানি কবিতার চেয়ে তুমি, কে যেন আজ ডেকে নিয়ে যায়, খেলাঘর বারে বারে, কি গান শোনাব ওগো বন্ধু, সালাম সালাম হাজার সালাম, ওরে নীল দরিয়া, মুখ দেখে ভুল করো না, মুজিব বাইয়া যাও রে, হাজার বছর পরে আবার এসেছি ফিরে গান। আব্দুল জব্বার গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়...’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে...’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান তিনটি ২০০৬ সালে মার্চ মাসজুড়ে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০ বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। অসংখ্য চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আবদুল জব্বার। যেসব চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন সেগুলো হলো- মেঘের পর মেঘ, অধিকার, মাস্তান, জীবন তৃষ্ণা, আলোর মিছিল, জয় পরাজয়, মা, বেঈমান, ঝড়ের পাখি, আপন পর, দাতা হাতেম তাই, বিনিময়, এতোটুকু আশা, কত যে মিনতি, মানুষের মন, অবুঝ মন, ঢেউয়ের পর ঢেউ, অনুরাগ, দীপ নেভে নাই, পীচ ঢালা পথ, ঘর জামাই, সারেং বউ, ঈমান, যে আগুনে পুড়ি, সাধু শয়তান, আগুনের আলো ও সেøাগান। সঙ্গীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে আবদুল জব্বারকে ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৬ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত করে। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।
×