ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আসামরিা সহজইে জামনি পাচ্ছে, খালাসও হয়ে যাচ্ছে

জাল টাকার ৬ হাজার ৩৭০ মামলা ঝুলে আছে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৩১ আগস্ট ২০১৭

জাল টাকার ৬ হাজার ৩৭০ মামলা ঝুলে আছে

রহমি শখে ॥ জাল নোট। প্রযুক্তগিত উৎর্কষরে সুবধিা নয়িে প্রচলতি দশেী ও বদিশেী নখিুঁত নোট তরৈি করছে প্রতারক চক্র। বভিন্নি সময়ে এসব চক্র ও সন্ডিকিটেরে সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহনিী আটক করলওে তারা আইনরে নানা ফাঁকফোকর গলে আবার বরে হয়ে যাচ্ছ। মামলা চালু থাকা অবস্থায় যমেন বরে হচ্ছ, তমেনি রায়ওে খালাস পয়েে যাচ্ছে সুনর্দিষ্টি তথ্যপ্রমাণরে অভাব। বাংলাদশে ব্যাংকরে জাল নোট প্রতরিোধ সলেরে এক প্রতবিদেন থকেে জানা গছে, সারা দশেরে বভিন্নি আদালতে বচিাররে জন্য ঝুলে আছে ৬ হাজার ৩৭০ মামলা। এই সময়ে বচিারাধীন মামলার আসামরিা জামনিে ছাড়া পয়েে যাচ্ছ। জামনিে খালাস পাওয়া আসামরিাই আবার জাল নোট ছড়াচ্ছ। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানরি পশুর হাটে বপিুল পরমিাণ নগদ টাকার লনেদনে হয় বলে এটকিে সুযোগ হসিবেে ব্যবহার করে জাল নোট ছড়াতে তৎপর থাকে কারবাররিা। সূত্র জানায়, প্রতনিয়িত জাল নোট-সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বাড়ছ। কন্তিু মামলা বাড়লওে নষ্পিত্তরি পরমিাণ অতসিামান্য। ২০১৬ সালে জাল নোট-সংক্রান্ত ৩৪৪টি মামলা হয়। ওই বছরে নষ্পিত্তি হয় মাত্র ১০৬ট। র্অথাৎ বচিাররে তুলনায় নতুন মামলার সংখ্যা দ্বগিুণরেও বশে। বছর শষেে বচিারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৭০ট। এদকিে নষ্পিত্তি হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে অধকিাংশ আসামি খালাস পয়েছে।ে ২০১৫ সালে জাল নোট-সংক্রান্ত মামলা হয় ৪১০ট। ৭০টি মামলার নষ্পিত্তি হয়। এর মধ্যে ৫০টি মামলা থকেইে আসামরিা খালাস পয়েে যায়। ২০১৪ সালে ৩৬৮টি মামলা হয়ছে। ওই বছরে নষ্পিত্তি হয় মাত্র ১১৯ মামলা। এর মধ্যে কয়কেজন ছাড়া অধকিাংশই খালাস পয়েছে।বাংলাদশে ব্যাংকরে সংশ্লষ্টি বভিাগরে র্কমর্কতারা জানান, অধকিাংশ মামলার আসামি সহজইে জামনি পয়েে যায়। চূড়ান্ত রায়ে খালাস পায়। এর কারণ হচ্ছে জাল টাকার মামলায় সাক্ষী পাওয়া যায় না। যেখান থেকে জাল টাকা উদ্ধার করা হয় সেখানকার দারোয়ান বা রিক্সাচালক বা ভাসমান কাউকে সাক্ষী করা হয়। ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে সাক্ষীদের নাম দেয়া হয়। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। সাক্ষীর অস্তিত্ব না পেয়ে আসামিরা সহজেই খালাস পেয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, জাল টাকার কারবারিরা অনেক প্রভাবশালী। সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষ্য দিতে দেয় না। আবার অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে পুলিশ কারবারিদের বিরুদ্ধে শিথিল অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই চার্জশীট অনুসারে পরে মামলার বিচার শুরু হয়। এতে সহজেই মামলা থেকে রেহাই পায় জাল টাকা প্রস্তুত ও সরবরাহকারীরা। এসব মামলায় নিষ্পত্তির হার নিয়ে ও আসামিদের খালাস পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় টাস্কফোর্সের নিয়মিত বৈঠকে। বৈঠকে জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর অভাব, আসামিদের প্রভাব ও অভিযোগপত্রের দুর্বলতার কারণে মামলা থেকে সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে আটক হওয়া দুষ্কৃতিকারীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, গ্রেফতারের কিছুদিন পরই জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িতরা জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের অনেককেই চার-পাঁচবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজধানীসহ সারা দেশে অন্তত ৩০টির মতো গ্রুপ জাল টাকা তৈরি এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত তথ্য রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কারবারিরা ১ হাজার টাকার নোট সবচেয়ে বেশি জাল করে। ১০০ বা ৫০ টাকার জাল নোটও পাওয়া যায়; কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম। অন্য নোটগুলো জাল হয় না বললেই চলে। জাল নোট-সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সর্বমোট ২০ হাজার ৭৯০টি জাল নোট ধরতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধারকৃত নোটের মধ্যে ১ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৮০টি, যা মোট ধরা পড়া নোটের ৭৬ শতাংশ। ওই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে ৫০০ টাকার নোট ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৮৯৩টি। ১০০ টাকার নোট ধরা পড়েছে ১ হাজার ১১৮টি। ৫০ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে ৭২টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, বেশি মূল্যমানের নোট জাল করে তা চালিয়ে দিতে পারলে দুর্বৃত্তরা বেশি লাভবান হয়। এ জন্য বড়মানের নোটগুলোর জাল করার প্রবণতা বেশি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময় জাল নোট প্রতিরোধে সক্রিয়।
×