ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মস্কোয় চুক্তি সই

রূপপুররে তজেস্ক্রয়ি জ্বালানি র্বজ্য নিয়ে যাবে রাশিয়া

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ৩১ আগস্ট ২০১৭

রূপপুররে তজেস্ক্রয়ি জ্বালানি র্বজ্য নিয়ে যাবে রাশিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রূপপুর পারমাণবকি বদ্যিুত কন্দ্রেরে জ্বালানি র্বজ্য বা স্পন্টে ফুয়লে নয়িে যাবে রাশয়িা। বুধবার বাংলাদশে সময় বকিলে চারটায় মস্কোতে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়ছে। এরমধ্য দয়িে স্পন্টে ফুয়লে নয়োর বষিয়ে যে বর্তিক ছলি তার অবসান হলো। মন্ত্রণালয় এক বজ্ঞিপ্ততিে চুক্তি হওয়ার বষিয়টি নশ্চিতি করছে। দশেরে পক্ষে বজ্ঞিান ও প্রযুক্তমিন্ত্রী স্থপতি ইয়াফসে ওসমান এবং রাশয়িার পক্ষে স্টটে এ্যাটমকি এর্নাজি র্কপােরশেন রোসাটমরে মহাপরচিালক এ্যালক্কেইে লখিাশভে চুক্ততিে স্বাক্ষর করনে। এ সময় বজ্ঞিান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়রে সচবি মোঃ আনোয়ার হোসনে, রাশয়িায় নযিুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. সাইফুল হক, রূপপুর পারমাণবকি বদ্যিুত কন্দ্রেরে প্রকল্প পরচিালক ড. শৌকত আকবর এবং রোসাটমরে র্উধতন র্কমর্কতারা উপস্থতি ছলিনে। চুক্তটিি এর আগে ১৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে ঢাকায় অনুস্বাক্ষরিত হয় এবং ৫ জুন ২০১৭ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে চুক্তিটি অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্রমতে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক চুল্লিতে এই জ্বালানি শতভাগ ব্যবহৃত হয় না। যেটুকু বাকি থাকে, তাই তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য। যা উচ্চমাত্রায় তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ায়। সঙ্গত কারণেই পারমাণবিক চুল্লি থেকে তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য অপসারণ করার পর তা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই বর্জ্য পরিশোধন করে পুনরায় কিছু পরিমাণে ব্যবহার করা যায়। তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে তা থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ অনেক বছর ধরে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়। তাই জ্বালানি বর্জ্য নেয়ার বিষয়ে শুরু থেকেই ঢাকার চাপ ছিল মস্কোর উপরে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই চুক্তিটির আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া সে দেশে নিয়ে যাবে। রাশিয়া এই পারমাণবিক বর্জ্য নেয়ার পর পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজাত পদার্থের ব্যবস্থাপনাসহ বর্জ্য সংরক্ষণ করবে। প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রতিইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে পাঁচ টাকা। যা গ্যাস ছাড়া অন্য যে কোন জ্বালানির চেয়ে কম দরের। দেশে কয়লা চালিত বিদ্যুত উৎপাদনে (আমদানি করা কয়লা) দিয়ে গড়ে সাত থেকে আট টাকায় বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব। দেশী কয়লাতেও উৎপাদন ব্যয় ৫ টাকার বেশি। এলএনজিতেও সাত থেকে আট টাকা দরে বিদ্যুত পাওয়া যাবে। আর জ্বালানি তেলে বিদ্যুত উৎপাদনে এর চারগুণ ব্যয় করতে হবে। একই পরিমাণ ব্যয় হয়ে থাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও। পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র ৯০ ভাগ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চালানো যায়। সঙ্গত কারণে অন্য কেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন অনেক বেশি হয়।
×