স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের দিনও বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী দেবে বিএনপি। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান একথা জানান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ভয়ে সরকারি দলের লোকেরা বন্যা দুর্গত এলাকায় যান না।
নোমান বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা বানভাসি মানুষের পাশে আছেন এবং থাকবেন। ঈদের দিনও আমাদের ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। আমি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মসহ দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, যারা কোরবানি দেবেন তারা ধর্মীয় নিয়মে আপনাদের ভাগের অংশ বানভাসিদের মধ্যে বিতরণ করুন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য শিঘ্রই পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করার কথা জানিয়ে নোমান বলেন, আমরা বানভাসিদের হাঁস-মুরগি দেব। কিছু কিছু এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাঘাট চিহ্নিত করে তা সংস্কার করব। এ ছাড়া বানভাসিদের ঘর নির্মাণেও সহযোগিতা করব এবং কৃষকদের জন্য ধানের বীজও সরবারহ করব।
নোমান বলেন, সরকারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে দৃশ্যমান কোনো উন্নতি নেই। তাই বানভাসি মানুষের জন্য সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। কারণ কোনো জায়গায় আমরা সরকারকে ত্রাণ বিতরণে দেখি নাই। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন অনেক চাঁদা জমা হচ্ছে। প্রানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তারা কোটি কোটি টাকা প্রত্যেক দিন নিচ্ছে। অথচ তা বানভাসিরা পাচ্ছে না।
নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি বলেই বন্যার্তদের জন্য তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ত্রাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার প্রমুখ। পরে বিএনপির ত্রাণ কমিটিতে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজনের দেয়া একলাখ টাকা বিএনপির ত্রান কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমানের হাতে তুলে দেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।
