ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম দেশ হিসেবে ‘পেপারলেস ট্রেড চুক্তি’তে সই করেছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৩০ আগস্ট ২০১৭

প্রথম দেশ হিসেবে ‘পেপারলেস ট্রেড চুক্তি’তে সই করেছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা গ্রহণের জন্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ইউএনএসকাপের সদর দফতরে জাতিসংঘের ইকোনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এ্যান্ড দি প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফ্রেমওয়ার্ক এ্যাগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অফ ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া এ্যান্ড দি প্যাসিফিকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ এ চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। এছাড়া চীন ও কম্বোডিয়া এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। পরে তোফায়েল আহমেদ কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। এর আগে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ‘হাইলেভেল ডায়ালগ অন এনহানসিং রিজিওন্যাল ট্রেড থ্রো ইফেকটিভ পার্টিসিপেশন ইন দি ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক ডায়ালগে প্রথম প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তৃতা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা গ্রহণের জন্য বাণিজ্যে জটিলতা দূর এবং দ্রুত কাজ সম্পাদন করতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অফিস, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ গুরুত্ব¡পূর্ণ অফিসগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ইনফরমেশন পোর্টাল, গ্লোবাল ট্রেড ডানা চালু করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এখন এ সব কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এখন অতি অল্প সময়েই ব্যবসায়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন। আমদানি ও রফতানি সহজ করতে বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর ও স্থলবন্দর, কাস্টমস, ভ্যাট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৯ লাখ এবং ৬ কোটি ৭ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ই-গবর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং সুবিধা দেশের মানুষ ভোগ করছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বৈদেশিক বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জনে পেপারলেস ট্রেড সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ? ওষুধ, আইসিটি, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং কৃষিজাতপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ সকল পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এসকাপের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এ্যান্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামসাদ আক্তারের সভাপতিত্বে ডায়ালগে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- থাইল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কিয়েটচাই, কম্বোডিয়ার কমার্স মিনিস্টার পান সোরাসাক এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত।
×