ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় মাসহ চারজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩০ আগস্ট ২০১৭

খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় মাসহ চারজনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ স্কুলছাত্র শিশু হাসমি মিয়া হত্যা মামলায় মাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হত্যাকা-ের শিকার শিশু হাসমির মা সোনিয়া আক্তার, নুরুন্নবী, রসুল ও হাফিজুর রহমান। ২০০৬ নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার মানিকতলার জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে আড়ংঘাটা থানাধীন সরদার ডাঙ্গা এলাকার মোঃ হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যায়। বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর স্বামী হাফিজুর জানতে পারেন তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এরপর তিনি স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তালাক দেন। হাসমি থেকে যায় বাবার সঙ্গে। হাসমিকে তার বারার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য সোনিয়া নুরুন্নবী ও রসুলের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করবে বলে চুক্তিবদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে অপহরণকারীরা শিশু হাসমিকে মায়ের কাছে নিয়ে আসে। এরপর সরদার ডাঙ্গা বাগানের মধ্যে সোনিয়ার সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় অপহরণকারীরা। শিশু হাসমি এটা দেখে ফেলে। এ ঘটনার কথা বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে অপহরণকারীরা মা সোনিয়ার সামনেই শিশু হাসিমকে মুখ চেপে ধরে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ওই রাতেই সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়কসংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। ৯ জুন সকালে সেখান থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় হাসমির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নেত্রকোনায় একজনের ফাঁসি নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা থেকে জানান, জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সম্রাজ হত্যা মামলার রায়ে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলু নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় দেন। উল্লেখ্য, দুর্গাপুর গ্রামের সম্রাজ মিয়ার স্ত্রী জাহানারার সঙ্গে আসামি দেলোয়ারের অবৈধ পরকীয়া প্রেম ছিল। এর জের ধরে দেলোয়ার ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির পাশের সড়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সম্রাজকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিশোরগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদন্ড নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী রমজান আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর এ রায় দেন। উল্লেখ্য, জেলার ভৈরবের শম্ভুপুর দায়বাড়ীর বাসিন্দা হোসেন আলীর মেয়ে পারভীন আক্তারকে (১৯) বিয়ের ৬ মাস পর ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর স্বামী রমজান আলী উকিল শ্বশুর জয়নালের মধ্যেরচরের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে ২৮ অক্টোবর রাতে রমজান আলী স্ত্রী পারভীনকে হত্যা করে। পরে পাশের ডোবায় কচুরিপানার নিচে পারভীনের লাশ গুম করে রাখা হয়। মুন্সীগঞ্জে একজনের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজদিখান উপজেলার সন্তোষপাড়ার আলোচিত হামিদা আক্তার হেলেনা অপহরণ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক নারীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খোন্দকার হাসান মোঃ ফিরোজ আদালতে এই রায় প্রদান করেন। দন্ড-প্রাপ্তরা এই সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয় মোজাম্মেলকে (৩০) এবং সহায়তাকারী লিঞ্জু বেগমকে (২৪) ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া উভয় দ-প্রাপ্তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ-াদেশ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২০ মার্চ প্রবাসীর স্ত্রী হামিদা আক্তার হেলেনাকে (২৮) বাবার বাড়ি থেকে অপহরণ করে পাশের গ্রামের মোজাম্মেল। বিয়ের অভিনয় করে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে কয়েকদিন পার করে অবশেষে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় টানা ব্রিজের নিচে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আত্মসাত করে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। এদিকে হেলেনা নিখোঁজ থাকায় তার স্বজনরা সিরাজদিখান থানায় জিডি করে। পরে গৃহবধূর ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ মোজাম্মেলকে আটক করতে সক্ষম হয়। মেহেরপুরে তিনজনের যাবজ্জীবন সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের কৃষক নুরুল হুদা হত্যা মামলার তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক টিএম মুসা রায় ঘোষণা করেন। দন্ড-প্রাপ্তরা হচ্ছেন- বানিয়াপুকুর গ্রামের মৃত কমির বক্সের ছেলে প্রধান আসামি বাবুল হোসেন, মৃত পাচু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক ও আছের আলীর ছেলে আয়ুব আলী। উল্লেখ্য, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ১৩ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশর্^বর্তী মাঠে নুরুল হুদাকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
×