ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট

প্রস্তুত চট্টগ্রাম, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ আগস্ট ২০১৭

প্রস্তুত চট্টগ্রাম, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। এ উপলক্ষে স্টেডিয়াম এলাকা, ক্রিকেটারদের থাকার হোটেল এবং চলার পথ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে সেনাবাহিনীও। ম্যাচকে সামনে রেখে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান বিসিবির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, সাগরিকায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। সাগরিকায় থাকবে ৬ স্তরের নিরাপত্তা। ক্রিকেটাররা আগামী ১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আসবেন। এরপর ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচ। ৯ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটাররা চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন। ক্রিকেটারদের চট্টগ্রাম অবস্থানকালে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ম্যাচে প্রচুর দর্শক সমাগম হবে বলে আশা ব্যক্ত করে তিনি জানান, ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর সাগরিকায় বিসিবি’র কাউন্টার এবং এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টিকেট বিক্রি হবে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী টিকেটের মূল্য ধরা হয়েছে ৫০, ৮০, ২০০, ৩০০ এবং ৫০০ টাকা। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি ও বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির কর্মকর্তা আলী আব্বাস। তিনি সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে অবহিত করেন। তিনি জানান, ৩১ আগস্ট এক্রেডিটেশন কার্ড আসবে। যারা আবেদন করেননি তাদের দ্রুত আবেদন করতে হবে। সেখানে যাওয়ার জন্য রিকশা নিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় ঢোকা যাবে না। কার পাস (স্টিকার) সংগ্রহ করতে হবে, নয় তো বিসিবি’র গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। ক্রিকেট ম্যাচকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ এই সমন্বয় সভায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টি। দুই ক্রিকেট টিমের সদস্যরা অবস্থান করবেন রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউ হোটেলে। সেখান থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা স্টেডিয়ামে যাওয়া-আসা করবেন লালখান বাজার, দেওয়ানহাট, পাহাড়তলী ও সাগরিকা হয়ে। পুরো পথটিই থাকবে বিশেষ নিরাপত্তায়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সড়কের ওপর কোরবানির হাট বসানো, পশু জবাই ও চামড়া বিক্রি বন্ধ রাখতে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ প্রশাসন। চসিক মেয়র জানান, সাগরিকার পশুর বাজারের বর্জ্য ১ সেপ্টেম্বর রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হবে। জরুরী প্রয়োজনে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার থাকবে স্টেডিয়াম এলাকায়। তাছাড়া সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো টিম।
×