ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রির্পোটারের ডায়েরি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩০ আগস্ট ২০১৭

রির্পোটারের ডায়েরি

জাপানে তাপান ২৪ মে, বুধবার। ব্যাংকক বিমান বন্দর থেকে জাপানের নারিতার উদ্দেশে রওনা দিলাম। টানা সাড়ে আট ঘণ্টারও বেশি সময় বিমান বন্দরে থেকে কিছুটা ক্ষুধার্ত ছিলাম। যাত্রা শুরুর কিছু পরেই ডিনার আসল। ডিনার সেরে বসে বিমানের ভৌগোলিক অবস্থান দেখছি। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। হঠাৎ ঘুম ভাঙল বিমানবালাদের পদচারণায়। স্টাইল করা টিস্যু দিচ্ছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি টিস্যু আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। অন্যদের দেখাদেখি হাত বাড়িয়ে নিলাম। দেখি সকলে এটি দিয়ে হাত মুখ মুছছে। আমিও অনুসরণ করলাম। এর আগে কখনও বিমানে এভাবে টিস্যু দিয়ে হাত-মুখ মুছিনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবারও বিমান বালাদের আগমন। এবার তারা টিস্যুগুলো ফেরত নিচ্ছে। আমিও ফেললাম ডাস্টবিনের মতো একটি বাক্সে। একটু পরেই নাশতা চলে এলো। তেমন একটা ক্ষুধাবোধ না হলেও নাশতা নিয়ে সকলের মতো আমিও সারলাম। একটু পরেই জানানো হল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা নারিতা বিমানবন্দরে ল্যান্ড করতে যাচ্ছি। এর আগে কোনদিন জাপান যাইনি। তাই বিমানে বসেই জাপানের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে লাগলাম। আমার সিটটি ভেতরের দিকে হওয়ায় ভালভাবে দেখতে পারলাম না। এর মধ্যদিয়েও যতটুকু সম্ভব দেখতে লাগলাম। বিমান থেকে যে টুকু দেখছি, খুবই সুন্দর। ছোট ছোট পাহাড় আর সবুজে ভরা। অন্য দিকে মহাসাগর। স্থানীয় সময় ৮টা ১০ মিনিটে আমরা জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করলাম। শেষ হলো ব্যাংকক থেকে নারিতা ৮ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ভ্রমণ। বিমান থেকে নামছি আর দেখছি জাপানের প্রতিটি জিনিস। তাদের প্রতিটি জিনিসের গুণগত মান তার চেহারাতেই বলে দিচ্ছে। যাইহোক বিমান থেকে নেমে দেখি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন অতিরিক্ত সচিব সীমাদি। সীমাদির সঙ্গে আলাপ করতে করতে আমি এবং অর্ধেন্দুদা এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু দূর যেতে না যেতেই আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেল। আমরা মেক্সিকো যাব। আর সীমাদিরা জাপানে এসেছেন। আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে টা টা দিতে দিতে সীমাদি ও অন্যরা চলে গেলেন তাদের গন্তব্যে। একটু খারাপও লাগল। সব মিলিয়ে আমাদের ছিল ৭ জনের টিম। ঢাকা থেকে আমরা দুজন এবং সীমাদিরা পাঁচজন একই বিমানে ভ্রমণ করছি। যাই হোক জীবন মানেই ছোট ছোট বিচ্ছেদ। যতদিন বেঁচে থাকব এমন কত ঘটনা ঘটবে তার ইয়ত্তা নেই। আমি এবং অর্ধেন্দুদা এবার চললাম আমাদের টার্মিনালের খোঁজে। নারিতায় আমাদের সোয়া ৬ ঘণ্টা যাত্রা বিরতি। ঘুরতে ঘুরতে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে এসে পেয়ে গেলাম আমাদের কাক্সিক্ষত টার্মিনাল। এসে দেখি টার্মিনালের কাউন্টার বন্ধ। জানাল তিন ঘণ্টা আগে কাউন্টার খুলবে। আমাদের নতুন বর্ডিং পাস নিতে হবে। তাই একটু তাড়া। যাই হোক দু’জনে মিলে বসে আছি। এই সুযোগে ছেলের কাছে মেসেজ পাঠালাম, আমরা এখন জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে। ব্যাংকক থেকে মেসেজ পাঠিয়ে ছিলাম। দু’জনে মিলে বিমান বন্দরের শপে ঘুরে ঘুরে দেখছি। বসে-ঘুরে আমরা তিন ঘণ্টা পার করলাম। একটু পরেই দেখি কাউন্টারে লোক এসেছে। আমি লাগেজের কাছে থাকলাম আর অর্ধেন্দু দা পাসপোর্ট দুটো নিয়ে কাউন্টারের লাইনে দাঁড়ালেন বোর্ডিং পাসের জন্য। এক জনের পরই তিনি। যাই হোক অর্ধেন্দুদা পাসপোর্ট দু’টো এবং বিমানের টিকিট দিলেন কাউন্টারে থাকা সদা হাস্যোজ্জ্বল এক জাপানী মেয়ের কাছে। দাদারটা সেরে এবার আমাকে ডাকলেন। আমি তার সামনে দাঁড়াতেই আমাকে বললেন ‘বিসওয়াজ তাপান’ আমিও হেসে জবাব দিলাম, ‘ইয়া ইয়া...আসলাম জাপান, হলাম তাপান’ আমার জবাব শুনে মেয়েটি হা হা হা... করে হাসল। এবং দ্রুত আমাদের বোর্ডিং পাস দিয়ে দিল। এবার আবার অপেক্ষার পালা। বিমানে ওঠার কিছুক্ষণ আগেই আমরা গেটের আরও কাছে গিয়ে বসলাম। আমরা দু’জনে বসে আছি। সেখানে জাপানের ৮/১০ নাগরিক এসে বসে গল্প করছেন। তারাও একই ফ্লাইটের যাত্রী। এদের মধ্যে কয়েকজন বসেছেন আর একজন দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। আমি একটু সরে বসে তাকে বসার জায়গা করে দিতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। আমিও উত্তর দিলাম। পর মুহূর্তেই তিনি আমাকে এবং অর্ধেন্দুদাকে চকোলেট খেতে দিলেন। একটু পরেই আমরা বিমানের দিকে যাচ্ছি। দেখি গেটে আমাদের বোর্ডিং পাস দেওয়া মেয়েটি রয়েছে। এগিয়ে যেতেই বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে সে আবার বলে বসল ‘বিসওয়াজ তাপান’। আমি ইয়া বলাতে আবার হা হা হা... করে হাসি। আমরা এরোমেক্সিকান এয়ারে উঠে সিটে গিয়ে বসলাম। -তপন বিশ্বাস **ছিনতাইয়ের রকমফের গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৮টা পর অফিস থেকে বের হয়ে বাংলামোটরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও বাসে উঠতে পারলাম না। অগত্যা ফার্মগেটের দিকে হাঁটা শুরু করেছি। পান্থকুঞ্জের পাশ দিয়ে কিছু দূর যেতেই দূর থেকে চোখে পড়ল একজন দৌড়ে পান্থকুঞ্জের গাছগাছালির ঘন অন্ধকারের দিকে চলে গেলেন। তার পেছন পেছন কাউকে আসতে দেখলাম না। দূর থেকে যা বুঝলাম ছিনতাইকারী বাসের জানালার পাশে বসে থাকা কারও মোবাইল ছিনতাই করে পালাচ্ছেন। এ ধরনের ছিনতাইকারী কারও কিছু ছিনিয়ে কিছুদূর গেলেই অনেকটা নিরাপদ বোধ করেন। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তি ঝামেলা মনে করে ছিনতাইকারীর পেছনে দৌড়ান না। ফার্মগেট এলাকায় এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা হরহামেশায় চোখে পড়ে। বাসের জানালার ধারে বসেই কেউ মোবাইল বের করে কথা বললেই তাকেই টার্গেট করে ছিনতাইকারী। জ্যামের কারণে আস্তে আস্তে চলতে থাকা বাসে পাশাপাশি কিছুটা এগিয়ে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিভাইডার পার হয়ে অন্য পাশে গেলেই নিরাপদ। একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরছি। বাসে জানালার ধারে বসে আছি। আমার সামনের যাত্রী জানালার ধারে হাত কিছুটা উপরে তুলে মাথা স্পর্শ করে বসে আছেন। ছিনতাইকারী ভাবছেন তিনি মোবাইলে কথা বলছেন। এরপরই টার্গেট করে তার পিছু নেয়। কিছুদূর এভাবে আসার পরই লাফ দিয়ে উঠে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। সামনে বসা যাত্রীটি কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না। অগত্যা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন কোন সমস্যা কিনা। তখন তাকে অবগত করলাম হাত উঠিয়ে বসে থাকার কারণে ছিনতাইকারী আপনাকে টার্গেট করেছিল। তার হাতে মোবাইল না থাকায় ছিনতাইকারীকে খালি হাতেই ফিরতে হলো। সম্প্রতি আরেকটি ঘটনা। অন্যদিনের মতো অফিস শেষে বাসায় ফেরার পালা। বাংলামোটর থেকে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছি সামনে গিয়ে বাসে ওঠার জন্য। পান্থকুঞ্জের পাশ দিয়ে যেতেই হঠাৎ এক বাদাম বিক্রেতা ফুটপাথে বসে থাকা এক সিগারেট (মহিলা) বিক্রেতাকে বলছে ব্যবসা খেলে কেউ কিছু বলতে পারে? তার কথায় কৌতূহল মনে হওয়ায় দাঁড়িয়ে গেলাম। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতে সে বলল, সিগনালের কারণে বাংলামোটরে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তার কিনার দিয়ে আস্তে আস্তে সামনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। হঠাৎ করেই এক ছিনতাইকারী মাঝের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা মহিলার হাতে থাকা পার্স ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ছিনতাইকারী বুঝতে পারেনি আগে, পেছনেও ছিল তাদের সহযাত্রী। পড়বি পড় মালির ঘাড়ে। ধরা পড়তে সময় লাগল না ছিনতাইকারীর। অমনি শুরু হলো উত্তম মধ্যম। যাত্রীদের হাতে মার খেয়ে অনেকটা মনের দুখে সে পান্থকুঞ্জের অন্ধকারের গিয়ে বসে আছে। তার বউ ইতোমধ্যে জেনে গেছে স্বামী ছিনতাই করতে গিয়ে ধোলাই খেয়েছে। সামনে তাকিয়ে দেখি একজন যুবতী মহিলা এগিয়ে আসছে আর বাগানের দিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ বাদাম বিক্রেতা বলে উঠল ছিনতাইকারীর বউ আসছে বলেই সে অন্য দিকে চলে গেল। তবে যাওয়ার আগে বলল, ভাই সারাদিন ধরে বাদাম বিক্রি করে ৫শ’ টাকা লাভ হয়েছে। ব্যবসা করে খেলে মানুষ গায়ে হাত দেবে কেন। আমার মতো ফেরিওলার দিনে ৫শ’ টাকা আয়ই যথেষ্ট। এর বেশি প্রয়োজন নেই। খামাখা পরের হাতে মার খেতে যাব কেন? তবে তার কথায় বুঝে গেলাম তারা দু’জনে দু’জনের পরিচিত। একজন ছিনতাই করে জীবিকা অর্জন করে। অন্যজন সম্মানের সঙ্গে ফেরী করে জীবিকা অর্জন করে। ছিনতাইকারীর মাঝে মধ্যে ধরা খাওয়া এবং জনতার হাতে পিটুনি খাওয়ার ভয় থাকলেও বাদাম বিক্রেতার সেই ভয় নেই। এবার বলি একটি নিখুঁত ছিনতাইয়ের গল্প। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির মধ্যে বাসায় ফিরছি। বাস কলেজ রোড যেতেই জ্যামের কারণে আস্তে আস্তে চলছে। পাশ দিয়েই একজন মোটরসাইকেলওয়ালা বউ ছেলে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকেও ধীরে ধীরে চলতে হচ্ছে। দূর থেকে লক্ষ্য করলাম একজন লোক মহিলার হাত থেকে কি যেন নিয়ে রাস্তা পার হয়ে চলে গেল। সম্ভবত মহিলাও বুঝতে পারেনি তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। পরে ভাল করে দেখলেন তার হাতে ভ্যানিটি ব্যাগটি নেই। স্বামীকে সে কথা বলতেই ছিনতাইকারী অনেকটা নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছে। করার কিছুই নেই। তাকিয়ে দেখলাম মোটরসাইলেওয়ালা রাস্তার পাশে মোটরসাইলে দাঁড় করিয়ে এদিকে ওদিক দেখার চেষ্টা করছেন। এর বেশি তার কিছুই করার ছিল না। ছিনতাইটি এত নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। -শাহীন রহমান [email protected] **ঈদে বাড়ি... ঈদে বাড়ি যেতে হবে। স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন। নানা জনে ফোনে বলছে কবে আসবে। আমিও খুব উদগ্রীব গ্রামের বাড়ি মালতীপাড়ায় যাওয়ার জন্য। গ্রামে শান্তি। অনেক মানুষের সঙ্গে কথা হবে। তাছাড়া এই গ্রামেই বন্ধু রাজআলীর সঙ্গে ঘুড়ি উড়িয়েছি। গ্রামে গেলেই রাজআলীর পায়ের চিহ্নি দেখতে পাই। কিন্তু বাড়ি যেতে রাস্তায় কত ঘণ্টা লাগবে এই ভাবনাটা বড় হয়ে সামনে এসেছে। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মাইলের পর মাইল যানজট। এক শ’ কিলোমিটার পথ যেতে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগছে। যারা যাচ্ছেন তারা অনেকেই বলেছেন, রাস্তা না তো যেন অপেক্ষার দীর্ঘ রাত। বাসে বা কারে কোন যানেই সময় কমিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তবু যেতে হবে। অসুস্থ মা। তার আহাজারি আমরা যেন তার কাছে যাই। বাপেরও একই কথা। বাড়ি যাওয়ার জন্য টাঙ্গাইলের এক ছোট ভাই রিপনের প্রাইভেট কার পাঠাতে বলেছি ৩১ আগস্ট বিকেলে। ওর জবাব ছিল ভাই বিকেলে আসতে হলে আমার গাড়ি পাঠাতে হবে ভোর রাতে। কারণ গাড়ি ঢাকায় পৌঁছেতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে যাবে। আর আপনারা কখন টাঙ্গাইল পৌঁছতে পারবেন সেটা বলা আরও কঠিন। কারণ ওই দিন সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। আমি ওর কথার কোন জবাব না দিয়ে বললাম গাড়ি পাঠাও যখন পৌঁছতে পারি সেটা পরের কথা। হাজারো বিড়ম্বনার কথা মাথায় রেখেই স্বজনদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্তে আমার মেয়ে জয়িতাও দারুণভাবে সায় দিল। সেও গ্রামে যেতে খুব আগ্রহী। আমাদের বাড়ি যাওয়ার মধ্যে যতটা আনন্দ উল্টো পিঠে ততটা যন্ত্রণা যে অপেক্ষা করছে এমন ব্যাখ্যা জয়িতাকে দিলাম। তবু তার দাদা-দাদু-নানু-মামা-চাচা-ভাই বোন আরও কত জনের কথা স্মরণ করে দিয়ে বলল বাবা আমাদের যাওয়াই উচিত তুমি যাই বল। ওর কথার মধ্যে একটা প্রবল টান অনুভব করছি। এখন অপেক্ষা ৩১ আগস্ট বিকেল পর্যন্ত। বিকেলে আমরা যেতে চাই। একটা বিকল্প রাস্তার সন্ধান মিলেছে। ওই বিকল্প রাস্তা মানিকগঞ্জের ভেতর দিয়ে নাগরপুর হয়ে টাঙ্গাইল। এই পথ ধরে আমরা ঈদে বাড়ি যাব ভেবেছি। পথটা সংক্ষিপ্ত হয় এমন চিন্তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমার প্রিয় গ্রাম মালতী পাড়ায় যাব। গ্রামকে আমি আমার নিজের হাতে সাজিয়েছি। গ্রামে পাকা সড়ক, বিদ্যুত, ইন্টারনেট সবই হয়েছে আমার চেষ্টায়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এসবের কারণে গ্রামের মানুষ এখন শহরের সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের আনন্দের সঙ্গে আমার আনন্দ মিলে যায়। দিনরাত গ্রামের মানুষ আমাকে ঘিরে গল্প করে। কারও অভাব অভিযোগ শিক্ষা চিকিৎসা নানা সমস্যার কথা জানায়। আমি তাদের কথা শুনি। কিছু করতে পারলে তাদের মতোই আনন্দ পাই। কি যে শান্তি এখনও গ্রামে বইছে-যাদের গ্রাম আছে তারাই জানে। শহুরেরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। গ্রামের বাড়ি যেতে মন টানছে কখন যাব। -ফিরোজ মান্না
×