অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার কিশোরী মুক্তামনির হাতের দ্বিতীয় দফায় আংশিক অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারকালে মুক্তামনির শরীরে হঠাৎ জ্বর আসায় পুরোপুরি কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এর সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তাকে নেওয়া হয়।
সামন্ত লাল সেন জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায়র দিকে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের জন্য মুক্তামনিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তার হাতের ২০ শতাংশ অস্ত্রোপচার আমরা শেষ করতে পেরেছি। অস্ত্রোপচারকালে মুক্তামনির শরীরে হঠাৎ জ্বর আসায় পুরোপুরি কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখনও ৮০ শতাংশ বাকি রয়েছে। সে সুস্থ থাকলে ঈদের পরে রবিবার অথবা সোমবার বাকি অস্ত্রোপচার করা হবে। বর্তমানে মুক্তামনিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর তার হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর সেটি বাড়তে থাকে। আক্রান্ত ডান হাত ছোট আকারের গাছের গুড়িতে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে সেখানে পচন ধরে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি।
এরপর গত ১১ জুলাই তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ৫ আগস্ট মুক্তামনির বায়োপসি করা হয়। এতে তার রক্তনালিতে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর গত ১২ আগস্ট অপারেশন করে সেটি অপসারণ করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ হতে মুক্তামনির আরও ৫/৬টি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: