ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৯ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র এবং গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি

তোশিবা কর্পোরেশন সুমিটমো কর্পোরেশন এবং আইএইচআই কর্পোরেশনের ত্রিপক্ষীয় কনসোটিয়াম কোল-পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সঙ্গে একটি ইপিসি চুক্তি সম্পাদন করেছে, যাতে তারা বাংলাদেশে একটি হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র এবং একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবে। এই প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মাতারবাড়ী দ্বীপের নির্ধারিত জায়গায় জাপানের কাশিমা বন্দরের মডেল অনুসারে একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র এবং একটি গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হবে। আমদানিকৃত কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আলোচ্য হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট যা বাংলাদেশের মোট বিদ্যুত উৎপাদনের ১০ শতাংশের বেশি। জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই হাই এফিশিয়েন্ট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্র উচ্চ বাষ্পীয় চাপ ও তাপ উৎপন্ন করে যা জ¦ালানির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশগত প্রভাব কমাতে অবদান রাখবে। বাংলাদেশর প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর যা এই বিদ্যুত কেন্দ্রের পাশে নির্মাণ করা হবে এবং তা মাতারবাড়ীর আশপাশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) কর্তৃক জাপানের মুদ্রা ইয়েন ক্রেডিটের মাধ্যমে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিদ্যুতের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিদ্যুত ঘাটতি বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। ধারণা করা হয়, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে যা বর্তমানে মাত্র ৯ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে দেশের মোট বিদ্যুত উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ চাহিদা মেটানো হয়। তবে সরকার এলএনজি এবং কয়লা আমদানি করে বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে অগভীর সমুদ্র উপকূলের কারণে বড় জাহাজ হতে ছোট ছোট জাহাজে করে মালামাল বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে আনা হয়। তবে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হলে বড় জাহাজগুলো সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। তাই আশা করা যায়, মাতারবাড়ী এলাকার শিল্প উন্নয়নে এই নির্মিতব্য গভীর সমুদ্রবন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। -বিজ্ঞপ্তি
×