ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে দুই মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত ॥ ধর্ষক গ্র্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৯ আগস্ট ২০১৭

মাদারীপুরে দুই মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত ॥ ধর্ষক গ্র্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৮ আগস্ট ॥ সদর উপজেলায় ৩ দিনের ব্যবধানে মাদ্রাসার দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রী (৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে গুরুতর আহতাবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নে চ-িবর্দী গ্রামে ৭ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মুন্না মোল্লা নামের ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, সদর উপজেলার হোগলপাতিয়া গ্রামের বাদল হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০) দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সিরাজুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যদিকে সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চ-িবর্দী দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত একই এলাকার আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মুন্না মোল্লা। মাঝে মধ্যে মুন্না তাকে মাদ্রাসায় যাতায়াত পথে গতিরোধ করত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি মাদ্রাসার এক শিক্ষককে জানালে তিনি মুন্নাকে ডেকে গালমন্দ করে চর-থাপ্পড় দিয়ে শাসিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে মুন্না ও তার তিন বন্ধু ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে পর্দা দিয়ে ঢাকা একটি ইজিবাইকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের রুমে আটকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে মুন্না ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বিকেলের দিকে অজ্ঞান অবস্থায় নির্যাতিতাকে চ-িবর্দী এলাকার একটি পুরনো মঠের পাশে ফেলে মুন্না ও তার বন্ধুরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে সে বাড়িতে যায় এবং ধর্ষণের ঘটনাটি তার মা-বাবাকে খুলে বলে। পরে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
×