ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজি সঙ্কট ও চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে খুলনার ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায়

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৮ আগস্ট ২০১৭

পুঁজি সঙ্কট ও চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে খুলনার ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায়

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ কোরবানির ঈদ সমাগত। খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা এখনও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেননি। পুঁজি সঙ্কট ও চামড়া সংরক্ষণের স্থান না থাকায় তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারি মালিক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে এখানকার ব্যবসায়ীদের ৮ কোটি টাকার অধিক বকেয়া পাওনা রয়েছে। ঈদের আগে বকেয়া টাকা না পেলে ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে পারবেন না। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, নগরীর শেখপাড়া এলাকায় এক সময় চামড়া ব্যবসার জন্য খ্যাতি ছিল। চামড়া পট্টিতে ৭০-৮০ জন ব্যবসায়ী ছিলেন। ট্যানারি মালিকরা নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ না করায় ক্রমাগত ঋণগ্রস্ত হয়ে লোকসানের কারণে অধিকাংশ ব্যবসায়ী চামড়ার ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। কিন্তু ঘর আছে মাত্র দুইটি। চামড়া ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত বকেয়া পাচ্ছেন না। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবের পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণ নিয়েও মারাত্মক সমস্যায় রয়েছেন তারা। চামড়া সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য এখানে পৃথক কোন মার্কেট নেই। কোরবানির ঈদের সময় কাঁচা চামড়ার মজুদ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেড়ে যায়। কাঁচা চামড়া কিনে লবণ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন বা তারও বেশি সময় সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে চামড়া কিনে লবণ দিয়ে রাস্তার পাশে রেখে সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তায় চামড়া সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীদের এখন দিশাহীন অবস্থা। খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ঢালী জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের কাছে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীদের ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতিবছর তারা চামড়া কেনেন কম দামে। কিন্তু ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করেন না। ফলে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অধিকাংশই দায়দেনায় জড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি অতি দ্রুত চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীরা টাকা না পেলে কোরবানির ঈদের চামড়া প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। তিনি খুলনায় চামড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সময়মতো চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া পরিশোধ ও চামড়া মার্কেটের জন্য পৃথক একটি স্থান নির্ধারণের দাবি জানান।
×