ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৮ আগস্ট ২০১৭

কুষ্টিয়ায় গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২৭ আগস্ট ॥ সালিশ বৈঠকে গৃহবধূ নির্যাতন ও তাকে চিকিৎসা করতে না দেয়ার অভিযোগে মোজাম্মেল হক বকুল নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর উপজেলার বলিয়াপাড়া গ্রামে। পুলিশ বলেছে, গত ২১ আগস্ট গভীর রাতে মিরপুর উপজেলার বলিয়াপাড়া গ্রামে ধর্ম মামার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে গ্রাম্য সালিশে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিকভাবে নির্যাতন ও গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ৫ দিন বিনা চিকিৎসায় আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বকুল এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে মিরপুর থানার ওসি গত শুক্রবার ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বকুলকে রবিবার সকালে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। পরে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন। পালিত কন্যাকে পালাক্রমে ধর্ষণ নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর ২৭ আগস্ট ॥ পার্বতীপুরের আসাদুল (৩৩) ১২ ও ১৪ বছর বয়সী দুই পালিত মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ধরা পড়ে এখন পুলিশ হেফাজতে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের হলদিবাড়ী দোলাপাড়া গ্রামে শনিবার রাতে। এ ব্যাপারে তার (আসাদুলের ) স্ত্রী স্বপ্না বেগম নিজেই বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে পার্বতীপুর মডেল থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। স্বপ্নার পিত্রালয় একই ইউনিয়নের দর্গাপাড়া এরশাদ নগরে। পিতার নাম মোন্নাফ। ছোটবেলায় স্বপ্নাকে আপন চাচা তাকে ভারতীয় এক নারী পাচারকারীর কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ভারতের পাঞ্জাবের এক লোক কিনে নিয়ে মেয়েটিকে লালন পালন করে। এক পর্যায়ে সেখানকার মোখসেদুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে বনাবনি না হওয়ায় বার বছর আগে তাকে (মোখসেদুল) ত্যাগ করে দুই কন্যাকে নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে স্বপ্না দেশে ফিরে আসে। পরবর্তীতে আসাদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বপ্না পুলিশের কাছে বলেছে, প্রথম প্রথম মেয়ে দুটিকে আসাদুল নিজের মেয়ের মতো দেখেছে। মেয়ে দুটি পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে পালিত বাবা তাদের সর্বনাশ করেছে। আসাদুল অপরাধ স্বীকার করেছে।
×