ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে অধিকাংশ অবৈধ পরিবহন সড়কে ॥ নির্বিকার ট্রাফিক

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৮ আগস্ট ২০১৭

চট্টগ্রামে অধিকাংশ অবৈধ পরিবহন সড়কে ॥ নির্বিকার ট্রাফিক

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে পাবলিক ও পার্সোনাল গাড়িসহ চলাচল করছে প্রায় আড়াই লাখ গাড়ি। এর মধ্যে বাস-মিনিবাম থেকে শুরু করে হিউম্যান হলার পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গাড়ি গণপরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ২০ হাজার সিএনজি টেক্সি যা শহরের বাইপাস সড়কগুলোতে শেয়ারে আবার কখনও সাধারণ যাত্রী পরিবহনে ব্যস্ত রয়েছে। রবিবার সকালে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বে-ভিউতে আয়োজিত ‘উন্নয়নের মহাসড়কে চট্টগ্রাম, নাগরিক দুর্ভোগ, সমন্বয় ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন। তবে বিশেষ বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (পরিবহন) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, নগরীতে চলাচলরত ৫০ ভাগ গাড়িই অবৈধভাবে চলাচল করছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব গাড়ি ট্রাফিক ও থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই রাস্তায় চলাচল করেছে। সড়কে বিআরটিএর রুট অনুমোদন অনুযায়ী চলছে না এসব গাড়ি। এমন অভিযোগ যাত্রীদের কাছ থেকে আসছে প্রত্যক্ষ ভোগান্তির কারণে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় চলাচলরত সিট বাস বা লোকাল বাস মালিকরা অবৈধ ব্যবসায় নেমেছে। নগরীর রাস্তায় গাড়ির কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাস মালিকরা অবৈধভাবে গার্মেন্টেসে ভাড়া দিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ও বিকেলে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দ্বীগুণ ভাড়ায় চালাচ্ছে প্রায় ৮শ’ বাস। ফলে গণপবিহনের কৃত্রিম সঙ্কটে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এদিকে, নগরীর রাস্তায় চলাচল করা বেশিরভাগ গাড়িই অবৈধভাবে ও জাল কাগজপত্র দিয়ে চলাচল করছে। বেশিরভাগ গাড়ি ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট না নিয়েই রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছে। এতে গাড়ি মালিক সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আয় বাড়াচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার।চট্টগ্রামের বিআরটিএর আঞ্চলিক দফতর সূত্রে জানা গেছে, গণপরিবহন জরিপের উদ্দেশ্যে রুট পারমিটধারী যানবাহনগুলো নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট, ট্যাক্স টোকেন ও ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট পরীক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত গণপরিবহনের এক-তৃতীয়াংশ গাড়ি পুলিশের ডাকে সাড়া দেয়নি। রুট পারমিটের অনুমতি বা অন্য কাগজপত্র ঠিক না থাকলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
×