ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন জনকণ্ঠের শাহজাহানসহ ৭ সাংবাদিক

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৮ আগস্ট ২০১৭

পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন জনকণ্ঠের শাহজাহানসহ ৭ সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ক্যাটাগরিতে জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এম শাহজাহান পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার-২০১৭ পেয়েছেন। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ডিজিটাল থেকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি’ প্রযুক্তির ছোঁয়া সর্বত্র-প্রতিবেদনের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ছয়টি ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার দেয়া হয়েছে সাতজন সাংবাদিককে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট এবং ৭৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট-পিআইবি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এই পুরস্কার প্রর্বতন করা হয় ২০১৫ সালে। দ্বিতীয়বারের মতো এবার সাংবাদিকদের এই পুরস্কার দেয়া হলো। রবিবার সকালে পিআইবির সেমিনার কক্ষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদ, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মফিজুর রহমান ও এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর। এর আগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুরস্কার বিজয়ী অন্য সাংবাদিকরা হলেন- টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে ৭১ টেলিভিশনের মোহাম্মদ মাফিজুল ইসলাম, অনলাইন সংবাদ ক্যাটাগরিতে আরটিভি অনলাইনের মাইদুর রহমান রুবেল, ফটো সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর সৈয়দ আশরাফুল আলম, আঞ্চলিক সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে দৈনিক গ্রামের কাগজের এসএম আরিফুজ্জামান, রেডিও ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে রেডিও চিলমারীর কামরুল হাসান পলাশ ও রেডিও পদ্মার সাদী মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র তথা মিডিয়ার অনেক ভূমিকা রয়েছে। ’৭১ এবং ’৭৫ খুনীরা এখনও তৎপর। গত ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার যড়যন্ত্রকারীরা এখনও চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। বিচার বিভাগ থেকেও গণতন্ত্রের প্রতি আক্রমণ হচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র এখনও নিরাপদ হয়নি। গণতন্ত্রের নামে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের লাইসেন্স দেয়া যাবে না। এই জায়গায় গণমাধ্যমের অনেক কাজ করার আছে। তিনি বলেন, তুফানের আগে চার কলামে লেখা হয় তুফান কা-! খবর দেখলে মনে হয় সরকার তুফানের পৃষ্ঠপোষক! অথচ খালেদা জিয়ার নাম লেখার আগে আগুনসন্ত্রাসী কিংবা রাজাকারের বন্ধু লেখা হয় না। কবির বিন আনোয়ার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে নীরব সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। এখন ই-লানিং শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার লাখ শিক্ষক কন্টেন্ট তৈরি করছেন। সর্বত্র প্রযুক্তির ছোঁয়া। তিনি বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগ মিডিয়ায় আরও ব্যাপকভাবে আসা উচিত। নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, ২০১১ সালে এটুআই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। রূপকল্প-২১ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। মানুষের দৌরগোড়ায় এখন ইন্টারন্টে সেবা মিলছে। কৃষি, স্বাস্থ্য এবং সরকারী নথিকরণ সবকিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। সরকারের এসব উদ্যোগ এগিয়ে নিতে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আর এ কারণেই ২০১৫ সালে পিআইবি-এটুআই গণমাধ্যম পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে গত বছর এ পুরস্কারটি দেয়া যায়নি। তবে এখন থেকে নিয়মিতভাবে এই পুরস্কার প্রদান অব্যাহত রাখা হবে। জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, একটি প্রতিবেদন তৈরির পেছনে সাংবাদিকরা কত গভীরে গিয়ে কাজ করেন সেটি এবার বোঝা গেছে। অনেক ভাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সাংবাদিকরা। এমনও হয়েছে যে, একই নাম্বার পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত একটি ক্যাটাগরিতে যৌথ পুরস্কার দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ক্যাটাগরিতে এবার ২৮ প্রতিবেদন প্রাথমিকভাবে সিলেকশন করা হয়। এছাড়া রেডিওতে ১২টি, টেলিভিশনে ১৩টি, ফটো সাংবাদিকতায় ৮টি আঞ্চলিক পত্রিকা ক্যাটাগরিতে ৫ জন এবং অনলাইন ক্যাটাগারিতে ৬টি প্রতিবেদন বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে নাম্বারের ভিত্তিতে সব ক্যাটাগরি থেকে একজন করে বিজয়ী করা হয়েছে।
×