ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা নিহত সাংবাদিক পরিবারের

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২৮ আগস্ট ২০১৭

ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা নিহত সাংবাদিক পরিবারের

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণ মামলায় ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রামচন্দ্র ছত্রপতি নামে নিহত সাংবাদিক পরিবার এবার ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। গুরুমিত সিংয়ের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য তার ভক্তদের হাতে রামচন্দ্র ২০০২ সালে প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। গুরমিত সিংকে শুক্রবার যে সিবিআই আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে রামচন্দ্রের মামলারও তদন্ত করছে সেই একই আদালত। রামচন্দ্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ২৮ দিন হাসপাতালে ছিলেন। তার মৃত্যুকালীন জবানবন্দী একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে রেকর্ড করানো হয়নি। ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রামচন্দ্রের ছেলে অংশুল। তিনি বলেছেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি। কেবল আমাদের জন্যই না, সারাদেশের মানুষের জন্য খুশির খবর। প্রমাণিত হলোÑ ডেরা প্রধানের মতো প্রভাবশালী মানুষের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই করেও জেতা সম্ভব। বিচার বিভাগকে যে প্রভাবিত করা সম্ভব নয় তাও এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’ ৩৫ বছর বয়সী অংশুল পুলিশ প্রহরায় থাকেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি ধর্ষণের মামলার হলেও এটি আমাদের মামলাকেও জোরদার করবে। ডেরা প্রধানের বিরুদ্ধে এখন দুটি হত্যা মামলা সচল হয়েছে। একটি হলো ডেরার রঞ্জিত সিং নামে এক ভক্তের হত্যাকা-ে জড়িত থাকার বিষয়ে। অপরটি রামচন্দ্র হত্যা মামলা। অংশুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে। কারণ মামলার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। রঞ্জিত সিংও গুরমিত সিংয়ের যৌন কেলেঙ্কারির খবর ফাঁসের কাজে সহায়তা করেন। ধারণা করা হয় তিনি গুরুমিত সিংয়ের কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি উড়ো চিঠি পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছিলেন। ওই চিঠির ভিত্তিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্ট এ বিষয়ে তদন্ত চালানোর জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেয়। অংশুল জানিয়েছেন, তার বাবার হত্যাকা-ের বিষয়ে তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর এর ওপর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রামচন্দ্র নিজ বাসায় থাকায় অবস্থায় ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হন।
×