ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবির পাশে রুট, স্টোকসের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৭

এবির পাশে রুট, স্টোকসের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা ১২ টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সের পাশে নিজের নাম লিখিয়েছেন জো রুট। উইন্ডিজের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান করে আউট হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। পরের টেস্টের যে কোন ইনিংসে এ ধারা অব্যাহত থাকলে এককভাবে রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন রুট। ক্যারিবীয় পেসারদের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের মুখে দিশেহারা ইংলিশদের হয়ে এদিন দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বেন স্টোকস। ছয় নম্বরে নেমে ঠিক ১০০ রান করে আউট হয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। মূলত এ দু’জনের ব্যাটিংদৃঢ়তায় অলআউট হওয়ার আগে ২৫৮ রানের সম্মানজনক পুঁজি পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। উল্লেখ্য, প্রথম টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে আছে রুটের দল। গত বছর অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে মিরপুর টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছিল রুটের এই ধারা। চলছে এখনও। সেই টেস্ট থেকে এই টেস্ট, প্রতিটিতেই কোন এক ইনিংসে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ বা তদুর্ধ ইনিংস। এরমধ্যে ৯টি টেস্টে করেছেন প্রথম ইনিংসে, ৩টিতে দ্বিতীয় ইনিংসে। দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ফিফটি ছিল ২০১২ সালের নবেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্ট থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট পর্যন্ত। ৮টি প্রথম ইনিংসে, দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি। ডি ভিলিয়ার্সের এই রেকর্ড ছোঁয়ার খুব কাছে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থেমে যান টানা ১১টিতেই। টানা ১১ টেস্টে পঞ্চাশ ছোঁয়ার কীর্তি আছে আরও তিনজনেরÑ ভিভ রিচার্ডস, গৌতম গম্ভীর ও বিরেন্দর শেবাগের। টানা ১০ টেস্টে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন শচীন টেন্ডুলকর ও রুটেরই পূর্বসূরি জন এডরিচ। টানা ৯ টেস্টে এভারটন উইকস, এ্যালেক স্টুয়ার্ট, ম্যাথু হেইডেন, জ্যাক ক্যালিস, সাইমন ক্যাটিচ ও কুমার সাঙ্গাকারা। পরের টেস্টে রুটের সামনে সুযোগ থাকবে ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি পুরোপুরি একার করে নেয়ার। হেডিংলিতে স্টোকস করেছেন অমূল্য এক সেঞ্চুরি। ৭১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে টানেন রুট ও স্টোকস। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। সপ্তম উইকেটে মঈন আলিকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন স্টোকস। মঈনকে ফিরিয়ে ৬৮ রানের জুটি ভাঙ্গেন রোচ। ৯ রানে জীবন পাওয়া স্টোকস আরেকবার বেঁচে যান ৯৮ রানে। এবার ক্যাচ ছাড়েন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। পরের বলে ২ রান নিয়ে ১২২ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। ৩৮ টেস্টে স্টোকসের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। খানিক পর প্রায়শ্চিত্ত করেন গ্যাব্রিয়েল, ঠিক ১০০ রানেই বাউন্সারে ফেরান স্টোকসকে। নতুন ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রড বেঁচে যান উইকেটকিপার শেন ডাওরিচকে সহজ ক্যাচ দিয়েও। ওই ওভারেই ব্রডকে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করেন গ্যাব্রিয়েল। দলে ফেরা ক্রিস ওকসের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। গ্যাব্রিয়েল আর রোচ নেন ৪টি করে উইকেট। মূল স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু ৬ ওভারে ১ উইকেট নিলেও বিস্ময়করভাবে রোস্টন চেইসকে দ্বিগুণ ওভার বোলিং করান অধিনায়ক হোল্ডার। জবাবে দ্বিতীয়দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় ৩৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১০৯ রান। কাইরান পাওয়েলকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন জেমস এ্যান্ডারসন। প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে কুক নেন ১৫০তম ক্যাচ। দেবেন্দ্র বিশু (১) আর শাই হোপকেও (৩) তুলে নেন এ্যান্ডারসন।
×