ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেমিনারে অভিমত

পশু খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৭ আগস্ট ২০১৭

পশু খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেইরি বোর্ড ও নীতি সহায়তার অভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পশু খাতের উন্নয়ন। অথচ ডেইরি বোর্ড গঠনের মাধ্যমেই পাশ্বর্বর্তী দেশ ভারত আজ দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশেও দুধ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে খামারিদের ঋণ ব্যবস্থাকে সহজীকরণ, বীমা সুবিধা ও উৎপাদন ব্যবস্থায় খামারিদের খরচ কমিয়ে আনা ছাড়াও দুধ ও গরু আমদানি বন্ধ করতে হবে। শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউটে ‘গরুর অর্থনীতি: সঙ্কট ও সমাধান’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল জার্নালিস্টস এ্যান্ড এক্টিভিস্টস ফেডারেশন (বিএজেএএফ) আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ আইনুল হক। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএজেএএফের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অমিয় ঘটক পুলক। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে গত বছর প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার টন তরল দুধের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৯২ লাখ ৮৩ হাজার টন। ফলে দেশে গত বছর দুধের ঘাটতি ৫৫ লাখ ৮২ টন। অন্যদিকে গত বছর দেশে পশু কোরবানি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ। চলতি বছর দেশের বাজারে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশু। চাহিদা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও পশুর কোন ঘাটতি হবার কথা নয়। কিন্তু তারপরেও পাশ্বর্বর্তী দেশ থেকে গরু আমদানি হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩ লাখ ৬৫ হাজার গরু দেশে প্রবেশ করেছে। ডাঃ মোঃ আইনুল হক বলেন, দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই এবারের কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। দুগ্ধ খাতে ঋণ দেয়া হলেও সব ধরনের পশু পালনে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে। এছাড়া খামারিদের নিরাপত্তায় বীমা চালু করা হবে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, চার দশকে দেশ একটি ডেইরি বোর্ড গঠন করতে পারল না। সেই বোর্ডকে একটি কার্যকর মিশন ও ভিশন দিতে পারলে দেশের দুগ্ধ শিল্প যেমন গতি পেত তেমনি নারী কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যতা দ্রুত হারে কমিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাদিক এ্যাগ্রোর স্বত্ব¡াধিকারী মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, দুধ আমদানি ও গরুর অনুপ্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি সরকারের সুনজর থাকলে মাংস ও দুগ্ধ শিল্প দেশে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব। উন্নত প্রযুক্তি, অর্থায়ন ও বিপণন সুবিধার পাশাপাশি নীতি সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে আরও বক্তব্য রাখেন এসিআই এগ্রিবিজনেসেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. ফা হ আনসারী, কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম, বিআইডিএসর সাবেক পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান, ডিএলএসের সাবেক মহাপরিচালক মোসাদ্দেক আলী প্রমুখ।
×