ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এআরএসএকে সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘোষণা মিয়ানমারের

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৭ আগস্ট ২০১৭

এআরএসএকে সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘোষণা মিয়ানমারের

নিজ দেশের সন্ত্রাস দমন আইন অনুযায়ী আরাকান রোহিঙ্গা সেলভেশন আর্মি (এআরএসএ) সহ কিছু সশস্ত্র হামলাকারীকে সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে ঘোষণা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। খবর সিনহুয়া। শুক্রবার দেশটির সন্ত্রাস দমন কেন্দ্রীয় কমিটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসীরা মাংতু, ইয়েথেদং ও বুথিদংয়ে পুলিশ সদর দফতরসহ তাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৯ পুলিশকে হত্যা করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার এসব হামলাকে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে। সরকার তার সকল শক্তি নিয়োগ করে এসব সহিংসতা বন্ধ এবং দুর্বৃত্ত ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। এছাড়া রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকার বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছে। কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলায় তিন জওয়ান নিহত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা পুলিশ লাইনে শনিবার ভোরে জঙ্গীদের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত তিন জওয়ান নিহত হয়েছেন। নিহতদের দুইজন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) জওয়ান এবং একজন পুলিশ সদস্য। এনডিটিভি। পুলিশ জানায়, এদিন ভোরে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত অন্তত তিন সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে জেলা পুলিশ লাইনে প্রবেশ করে। এরপর তিনতলা পুলিশ ভবনে ঢুকে সেখান থেকে গুলি চালাতে থাকে তারা। এ সময় জওয়ানরা ভবনটির চারপাশ ঘিরে ফেললে সেখানে অনেকটা আটকা পড়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গেরিলা সংগঠন জৈশ-ই-মুহাম্মদ ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এদিকে গেরিলাদের হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করে জবাব দিচ্ছে এবং গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। আরও হামলাকারী পুলিশ লাইনের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। আহত জওয়ানদের শ্রীনগর জেলা হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
×