ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেরামতের এক বছরেই ক্ষত-বিক্ষত কুয়েটের প্রবেশ পথ

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৬ আগস্ট ২০১৭

মেরামতের এক বছরেই ক্ষত-বিক্ষত কুয়েটের প্রবেশ পথ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মেরামতের এক বছরের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নগরীর ফুলবাড়িগেট-তেলিগাতি সড়ক। বেহাল এই সড়কটি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রবেশপথ। এই সড়কের পাশে রয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রয়েছে ক্লিনিক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বহু আবাসিক বাড়িঘর। শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ হাজার হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। খানা-খন্দ আর গর্তে ভরা ক্ষত-বিক্ষত এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর ফুলবাড়িগেট-তেলিগাতি সড়কটি ওই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের যাতায়াতের প্রধানপথ। ফুলবাড়িগেট থেকে সামান্য কিছুটা এগিয়ে রাস্তার ডান পাশে কুয়েটের মেইন গেট। গেটের বামদিক দিয়ে বেঁকে চলে গেছে বাকি রাস্তা। কুয়েট ছাড়াও এই রাস্তার পাশে রয়েছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সরকারী ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খানাবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খানজাহান আলী বিএম কলেজসহ আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া এই রাস্তার পাশে রয়েছে বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, একাধিক ক্লিনিক। ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতাযাতেরও এক মাত্র প্রধান সড়ক এটি। স্থানীয়রা জানায়, ফুলবাড়িগেট থেকে তেলিগাতির দিকে যেতে অর্ধেকেরও বেশি রাস্তার বামপাশের অংশ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। অপরদিকে ফুলবাড়িগেট থেকে তেলিগাতি পর্যন্ত রাস্তার ডানপাশের এলাকা যোগীপোল ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ডান পাশের এই অংশে কুয়েট ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯৮৭-৮৮ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই পাকা রাস্তাটি নির্মাণ করে। পরবর্তীতে এটি এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন পর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে গত বছর এ সড়কটির সংস্কার করা হয়। এ সময় মেরামত ও সংস্কার কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। ঠিকাদার গোঁজামিল দিয়ে রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ করে। ফলে বছর ঘুরে আসতেই রাস্তাটি আবার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, তার বাড়ি ওই রাস্তার পাশে। খুব কষ্ট করে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি হলে রাস্তা ডুবে যায়। তখন যানবাহন চলাচল করতে পারে না এবং হাঁটাও যায় না। স্থানীয় ইজিবাইকচালক সিরাজুল বলেন, রাস্তাটি অবস্থা মারাত্মক খারাপ হওয়ায় হালকা যানবাহন প্রায়ই গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। চালক ও যাত্রী সকলেরই দুর্ঘটনার অশঙ্কা নিয়ে চলতে হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, পণ্য পরিবহনের গাড়ি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে। রিক্সাচালক সেলিম জানান, কয়েকদিন আগে তার খালি রিক্সা গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় তিনি আহত হয়ে এক সপ্তাহ রিক্সা চালাতে পারেননি।
×