ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া ফেরি চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৬ আগস্ট ২০১৭

অবশেষে মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া ফেরি চালু হচ্ছে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ অবশেষে জেলা শহর মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে গজারিয়া উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হতে যাচ্ছে। তাই এখন মেঘনায় চরকিশোরগঞ্জ-গজারিয়া ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এতে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অধ্যায় রচিত হবে। দৈনিক জনকণ্ঠে মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে গজারিয়া উপজেলার সড়ক যোগাযোগে মেঘনা ফেরি চালুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর গত ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে। মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই যৌক্তিক বিষয়টি বাস্তবায়নে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই শুরু হয় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিষয়ে কমিটি গঠিত হয়। ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর কমিটির সদস্যরা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সরেজমিন কয়েক দফা পরিদর্শন এবং সভা শেষে কমিটির প্রধান নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব নৌ নুর উর রহমান ফেরি সার্ভিস চালুর পক্ষে রিপোর্ট পেশ করেন। পরবর্তীতে ঘাট নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরুর পর শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় এক মাসে ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ প্রায় ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী পরিস্থিতির কারণে আরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় বেশি লাগবে। বর্তমানে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে বালু ফেলা ও রোলিং কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রান্তে ঘাট নির্মাণে এক লাখ ফুট বালু ফেলা প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ফুট বালু ফেলা হয়েছে। আরও ৬০ হাজার ফুট বালু ফেলা এবং তা রোলিং মেশিন দিয়ে নিচে দাবানোর পরই শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যাবে ঘাট। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করতে খুব শীঘ্রই ড্রেজার নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিআইডব্লিউটিএ পল্টুন স্থাপন করলে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে ফেরিঘাট। অন্যদিকে মেঘনা নদীর উভয় প্রান্তে এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা সম্প্রতি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে গেছে। শীঘ্রই ওপাড়েও কাজ শুরু হচ্ছে।
×