ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শীতলক্ষ্যায় লক্কড়ঝক্কড় ফেরিতে চরম দুর্ভোগ, ১২ কিমি যানজট

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৬ আগস্ট ২০১৭

শীতলক্ষ্যায় লক্কড়ঝক্কড় ফেরিতে চরম দুর্ভোগ, ১২ কিমি যানজট

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৫ আগস্ট ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া-রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় ফেরিযোগে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আটকা পড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বিমানবন্দরের যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে ফেরির উভয়পাশের সড়কে দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ফেরি দিয়েই পারাপার হচ্ছে ছোটবড় সব ধরনের যানবাহন। প্রতিদিন দেশের পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১৭টি জেলা থেকে আগত যাত্রীরা শীতলক্ষ্যা নদীর এ ফেরি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। যাত্রী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৮টার দিকে পশুবাহী যানবাহনসহ ছোটবড় সব ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। দুটি ফেরির মধ্যে একটি ফেরি বিকল থাকায় ফেরির দুই পাশে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। দিনব্যপী প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট লেগে যায়। এছাড়া দুই পারের রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সব গর্তে পড়ে যানবাহনগুলো আটকা পড়ে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তেমন কোন ভূমিকা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যানবাহন চালক ও স্থানীয়রা। জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কযোগে আসা প্রায় ১৭টি জেলার সাধারণ যাত্রীরা মুড়াপাড়া-রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে ফেরিযোগে পারাপার হয়ে এয়ারপোর্টসহ রাজধানীতে প্রবেশ করেন। বিশেষ করে কুমিল্লা, দাউদকান্দি, চাঁদপুর, মতলব, নোয়াখালী, ফেনি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, আশুগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ ১৭ জেলার যাত্রীরা এ পথ ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া ভুলতা ফ্লাইওভারের কাজ চলাচলের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে ফেরি পথ ব্যবহার করছে অনেক যানবাহন। অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানীতে প্রবেশপথ হিসেবে যাত্রীসাধারণ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে ফেরিযোগে চলাচল করে থাকেন। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে এপথ দিয়ে। এ কারণেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ মুড়াপাড়া-রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ওই ফেরি প্রতিবছর ইজারা দিয়ে থাকেন বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ফেরি দুটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এ বছর ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ টাকায় ইজারা নিয়েছেন সুমন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইজারা নিয়েও বিপাকে পড়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ঝরাজীর্ণ ফেরির ব্যাপারে বারবার অবহিত করলেও লোক দেখানো মেরামত করে দিচ্ছেন কিন্তু একদিন পর আবারও সেই আগের অবস্থাই।এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
×