স্টাফ রিপোর্টার ॥ “পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করাটাই বালখিল্যতা। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এদেশের জনগণ যখন সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে উচ্চ আদালত সামরিক শাসকদের সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ প্রধান সামরিক শাসক পর্যন্ত হয়েছে। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে বিতর্ককে কেন্দ্র করে পাকিস্তানকে টেনে প্রধান বিচারপতি যে মন্তব্য করেছেন তা কেবল অনভিপ্রেতই নয়, অবাঞ্ছিতও বটে।”
শুক্রবার বিকেলে সেগুনবাগিচায় ‘স্বাধীনতা হলে’ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে মেনন বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংসদ ও সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে চরম অন্যায় মন্তব্য করা হয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। সংসদকে হেয় করলে বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধাবোধও লোপ পাবে।
মেনন বলেন, সংসদই সংবিধানের প্রণেতা। সংসদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংবিধানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার শামিল। মেনন ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে বিএনপি’র তৎপরতাকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে বলেন, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মাঝে দূরত্ব তৈরি করতে চায়। অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য তাদের যে লক্ষ্য এর মাঝ দিয়ে সেটাই তারা পরিপূরণ করতে চায়।
সাম্প্রতিক বন্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেনন বলেন, সরকারের পাশাপাশি সকল নাগরিককে বন্যাত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি যুব মৈত্রী ও ছাত্র মৈত্রীর বন্যাত্রাণ ও পুনর্বাসন তৎপরতার প্রশংসা করেন।
কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল, কামরুল আহসান, নগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, শাহানা ফেরদৌসী লাকি, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মুর্শিদা আখতার নাহার ও মুর্শিদা আক্তার ডেইজি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: