ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিকেএসএফের ৯৪০ কোটি টাকার প্রকল্প ॥ বিশ্বব্যাংক দেবে ৮শ’ কোটি

কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ১ লাখ উদ্যোক্তার সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৬ আগস্ট ২০১৭

কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ১ লাখ উদ্যোক্তার সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ

আনোয়ার রোজেন ॥ কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত (ম্যানুফ্যাকচারিং) ক্ষুদ্র শিল্পের পরিবেশ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এজন্য প্রায় ৯৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ১ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার পরিবেশসম্মত প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ব্যবসা বিকাশে তাদের গুচ্ছভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন এবং পরিবেশসম্মত টেকসই পদ্ধতির চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা হবে। ‘টেকসই উদ্যোগ’ (সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট) শীর্ষক এ প্রকল্পে সহজ শর্তে ১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) অর্থ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। অবশিষ্ট ১৪০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে পিকেএসএফ। পিকেএসএফের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো বিভিন্ন খাতে বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, শস্য উৎপাদন, পোল্ট্রি, ফিশারি, ডেইরি, অপ্রাতিষ্ঠানিক হস্তচালিত তাঁত, প্লাস্টিক পণ্য, ফুটওয়্যার, কম্পিউটার সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি, সিল্ক, মুদি দোকান অন্যতম। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২৫ শতাংশ এ সব খাতের প্রতিষ্ঠান থেকেই আসে। অবিন্যস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোগের কারণে পরিবেশের ওপর ঝুঁকির মাত্রা বাড়ছে। ক্ষুদ্র উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়ার বিষয়ে ১৯৯৭ সালের পরিবেশ আইনে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইন অনুযায়ী ৩ হাজার ১৫০ ডলার বা আড়াই লাখ টাকার নিচে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে কোন পরিবেশগত সনদ দেখাতে হয় না। সূত্র জানায়, ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য পরিবেশগত নিরাপত্তা নির্দেশিকা তৈরি করেছে পিকেএসএফ। সংস্থার এক পরিবেশ নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাত্র ৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে পানীয় বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে প্রতিটি জুতা কারখানা প্রতিদিন গড়ে ২ কিলোগ্রাম পরিমাণের বর্জ্য উৎপাদন করে। এসব বর্জ্য ফেলা হয় মাঠ ও আশপাশের খালে। ভৈরবের এমন ক্ষুদ্র ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন নির্গত বজ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কিলোগ্রাম। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নগর অঞ্চলের পাশাপাশি পল্লী অঞ্চলেও ক্ষুদ্র কারখানাগুলো পরিবেশ দূষণের বড় কারণে পরিণত হয়েছে।
×