ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সে দেশে অবস্থানরত বিদেশী ছাত্রদের অবাস্তব পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাদের বহিষ্কারের নীতি অব্যাহত রাখার সংকল্প ব্যক্ত করায় রক্ষণশীল ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ, সরকারী হিসেবেই প্রকাশ পেয়েছে, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর পাঁচ হাজারেরও কম শিক্ষার্থী সেখানে থেকে যায়। গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি ব্রিটেনের সীমান্ত ও বিমানবন্দর থেকে বহির্গমনের তালিকা যাচাই করে এবং জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, গত বছর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মাত্র চার হাজার ছয় শ’ লোক সে দেশে অবস্থান করে। অথচ এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ছাত্র ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ব্রিটেনে থেকে যায়। যার ফলে ব্রিটেনের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা দারুণ চাপের মুখে পড়েছে। শুধু টেরেসা মে নয় এরও আগে ২০১০, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে দলীয় মেনুফেস্টেতে প্রচার চালানো হয়েছিল, প্রতিবছর হাজার হাজার বিদেশী ছাত্র ব্রিটেনে পড়তে এসে আর দেশে ফিরে যায় না।
কিন্তু রক্ষণশীল দলীয় সরকারগুলো সবসময়ই তা প্রমাণ করতে ব্যথ হয়েছে। এটি হয়তো রক্ষণশীল দলের কৌশল বা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ ছিল এবং প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে নিজেও বিষয়টি অবগত ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও ব্রিটেনে শিক্ষার জন্য আগত, ছাত্রদের সংখ্যা এবং শিক্ষা শেষে স্বদেশ ফিরে যাওয়া ছাত্রদের সঠিক তথ্য তুলে ধরেননি। কেননা, এতে তার বিরুদ্ধে দলীয় ইস্যু পরিবর্তনের অভিযোগ উঠতো। গত বৃহস্পতিবারের পার্লামেন্টারি বৈঠকে রক্ষণশীল ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা ভিসার মেয়াদ উত্তীণ হওয়া বিদেশী ছাত্রদের সে দেশে অবস্থানকে ব্রিটেনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বলে আখ্যায়িত করার নীতি থেকে সরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।