ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৬ আগস্ট ২০১৭

মার্কিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান আন্তরিকতাহীন ও কপট বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অভিযোগ এনেছেন তা দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব এবং তারা ওয়াশিংটন ও কাবুলের সঙ্গে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য বিশেষ করে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তারা ভেঙ্গে দেয়ার প্রশ্নে বেশকিছু শর্তারোপ করেছেন। খবর ডন অনলাইনের। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক বৈঠকের পর আফগানিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি পাকিস্তান সরকারের এটি এক আনুষ্ঠানিক ও ব্যাপকভিত্তিক সাড়া। প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বাহিনীপ্রধানরা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও সামরিক অভিযানের প্রধানরা। মার্কিন নীতি ও ব্যাপকভিত্তিক জবাব গঠন বিষয়ের ওপর আলোচনার জন্য এনএসসির বিশেষভাবে এ বৈঠকটি ডাকে। সরকার এর আগে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে এ নীতির প্রতি প্রাথমিক জবাব দিয়েছিল। সেনাবাহিনীও বুধবার সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড হেইলের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠানের পর এক বিবৃতির মাধ্যমে তাদের মতপ্রকাশ করেছে। এনএসসি বৈঠকে নতুন মার্কিন নীতি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিস্তারিত জবাব নিয়ে আলোচনার পর বিবৃতিটি দেয়া হয়। নিরাপদ স্থানের ব্যাপারে অভিযোগ, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে সাহায্য হিসেবে শত শত কোটি ডলার গ্রহণের দাবি, পরমাণু নিরাপত্তা বিষয় এবং আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা নিয়ে যে আশঙ্কা রয়েছে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। জবাবের অত্যাবশ্যক বিষয় ছিল, পাকিস্তান আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগে প্রতিশ্রুতিশীল থাকবে। কিন্তু দেশটি আফগান ভূখ-ে নিরাপদ স্থান বিষয়ক প্রধান সমস্যাটিসহ এর উদ্বেগ নিরসনও চেয়েছে। এনএসসি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সহযোগিতা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। আলোচনায় আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নিরাপদ স্থান উচ্ছেদ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া ও আফগানিস্তানে একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় জোরদার করার ওপর আলোকপাত করা হয়। এনএসসি পৃথকভাবে বলেছে, পাকিস্তান কোন দেশের বিরুদ্ধেই সহিংসতার জন্য তার ভূখ- ব্যবহার করতে দেবে না বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও একই ধরনের প্রত্যাশা করি। আইএসপিআর বলেছে, আফগানিস্তানে তাদের নিরাপদ স্থান থেকে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানী সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায়। ১৩ আগস্ট রাতে বেশ কয়েকটি হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেগুলো নস্যাত হয়ে যায়।
×