ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৫ আগস্ট ২০১৭

ঝলক

স্মৃতিভ্রংশ রোধে লিথিয়াম যারা উচ্চপর্যায়ের লিথিয়ামসমৃদ্ধ পানি পান করেন, তাদের জন্য এবার সুখবর নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলেন, উচ্চ লিথিয়ামযুক্ত পানি পানে মানুষের স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমায়। খবর মেইল অনলাইনের। বর্তমানে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ওষুধ হিসেবে লিথিয়ামের ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইপোলার ডিসঅর্ডার বলতে হঠাৎ উচ্ছ্বসিত হওয়ার পরপরই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়াকে বুঝায়। এই রোগের চিকিৎসায় লিথিয়াম ব্যবহার করা হয়। লিথিয়াম নামের এই প্রাকৃতিক ধাতু সাধারণত ট্যাপের পানিতে পাওয়া যায়। তবে অঞ্চল ভেদে পানিতে এর পরিমাণ বেশি কিংবা কম হতে পারে। নতুন পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, পানিতে লিথিয়াম যোগ করে পান করলে তা আমাদের মস্তিষ্ককে সুরক্ষা ও স্মরণশক্তি বাড়িয়ে দেবে। এমনকি লিথিয়ামের ফ্লুরাইড দাঁতের জন্যও বেশ উপকারী। ডেনমার্কের প্রায় ৮,০০,০০০ লোকের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এসব তথ্য দিয়েছেন। মানুষের স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়া রোধে লিথিয়ামের উপকারিতা সম্পর্কে এই জরিপ থেকে প্রথমবারের মতো জানা গেছে। জেএএমএ সাইক্রিয়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত অভিসন্দর্ভ প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের জানা মতে লিথিয়াম ও পানি সম্পর্কিত এটাই প্রথম গবেষণা। মহাকাশ পর্যবেক্ষণে নতুন রাডার যুক্তরাজ্য উত্তর মেরুতে অত্যাধুনিক এক রাডার ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে, যা দিয়ে খুব সহজে মহাকাশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করা যাবে। নতুন এ রাডার দিয়ে সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে নির্গত মেগনেটিক জ্বলানি ও কণার প্রভাব সম্পর্কেও জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসি অনলাইনের। এসব কণা ও ধাতু উপগ্রহ কিংবা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায়ও যে কোন সময় সমস্যা তৈরি করতে পারে। নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে ইউরোপীয় ইনকোহিরেন্ট স্ক্যাটার এ্যাসোসিয়েশন (ইআইএসসিএটি) রাডারটি স্থাপন করবে। ২০২১ সালের দিকে যেটি অনলাইনে আসবে। এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটি ইতোমধ্যে সুমেরু অঞ্চলের অতি উত্তরে এ সংক্রান্ত রাডার স্থাপনাও পরিচালনা শুরু করে দিয়েছে। এখন মহাকাশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা আরও বাড়াতে সেখানে নতুন প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। নতুন রাডার ব্যবস্থা স্থাপনে ব্রিটিশ সুমেরু পর্যবেক্ষণ (বিএএস) সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে ইআইএসসিএটি। বিজ্ঞানী ড. এন্ড্রু কাভানাগ বলেন, সেখানে পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নতুন ব্যবস্থাটি দিয়ে আমরা অনেক কিছু করতে পারব। একইসঙ্গে মহাকাশের বিশাল একটি অংশকে থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। রাডার স্থাপনে ৬৩ মিলিয়ন ডলার খরচ পড়বে, যার ৪ থেকে ৬ মিলিয়ন পরিশোধ করতে হবে ব্রিটেনকে।
×