ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৫ আগস্ট ২০১৭

উবাচ

মুখপাত্র স্টাফ রিপোর্টার ॥ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে আওয়ামী লীগের অসন্তোষ প্রকাশের খবর দিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এজলাসে গিয়েছিলেন বিএনপিপন্থী আইজীবীরা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাদের কথায় সায় না দিয়ে বরং উল্টো বলেছিলেন, কারও ফাঁদে সুপ্রীমকোর্ট পা দেবে না। প্রধান বিচারপতি না চাইলে কি হবে বিএনপি উঠেপড়ে লেগে এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে প্রধান বিচারপতিকে। দেশে এখন বন্যায় ভাসছে মানুষ। মানুষের খাদ্যের তীব্র সঙ্কট। সেদিকে খেয়াল নেই দলটির। সারাদিন দলটি সাংবিধানিক সঙ্কট, আইন আর বিচার বিভাগ নিয়ে পড়ে রয়েছে। তবে কেউ কেউ মনে করছেন আদালতে মামলা নিষ্পত্তিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতেই প্রধান বিচারপতির পক্ষ নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। ওই প্রসঙ্গ তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সুপ্রীমকোর্টের রায়ের পর ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে তারাই প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র। উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে বিএনপি ‘অশুভ খেলা’ শুরু করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আপনাদের (ফখরুল, মওদুদ) বলতে চাই, বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে, আপনাদের স্বপ্নের পাকিস্তান হবে না। গুঞ্জন শুনছেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতিকে ‘অসুস্থ বানিয়ে’ সরানোর গুঞ্জন শুনছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী। সম্প্রতি গুঞ্জন শোনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ওই রায়ের কারণে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রধান বিচারপতিকে মানসিক অসুস্থ বলে অন্য কোন ধরনের অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এগোয় কিনা, সেটা আজকে মানুষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এখন নানাভাবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই রায়ের পর্যবেক্ষণে অনুরাগ বা বিরাগ প্রকাশিত হওয়ায় শপথ ভঙ্গের দায়ে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছেন অনেকে। তবে এই আলোচনা একেবারে মাঠ পর্যায়ের। কিন্তু সরকারপ্রধান বিচারপতিকে পদ থেকে অসুস্থ সাজিয়ে সরিয়ে দিতে চায় এমন গুঞ্জন রিজভী ছাড়া আর কেউ কানে শোনেনি। সিম্পল স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। দেশের রাজনীতিতে সব থেকে কলঙ্কের দুইদিন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে ঘুরেফিরে আসছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম। আর জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় ঘটেছে ২১ আগস্ট। সব থেকে বড় দুই পলিটিক্যাল কিলিংয়ে বিএনপি সরাসরি সম্পৃক্ত। বরাবর এই আলোচনায় বিএনপি চুপ থাকাকে শ্রেয় মনে করে। যদিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলাকে ‘সিম্পল’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি কোন ক্ষতিই না। সিম্পল দুর্ঘটনা। এটা নিয়ে এখন আলোচনার কিছুই নেই।’ দেশ এখনও পিছিয়ে রয়েছে শুধু পুরাতন কথা মনে রেখে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। কেউ মনে রাখে না। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মতো ঘটনা নিয়ে কেউ সারা জীবন কান্নাকাটি করে না।
×