ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়লেন ভিলিয়ার্স

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৫ আগস্ট ২০১৭

ওয়ানডে নেতৃত্ব ছাড়লেন ভিলিয়ার্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রায় দেড় বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনিয়মিত এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাঝে দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকেই সরে ছিলেন তিনি। এ কারণে তার অনুপস্থিতিতে টেস্ট দলের নেতৃত্বভার কাঁধে নিতে হয় ফাফ ডু প্লেসিসকে। তার অধীনে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ সাফল্যও পায়। বিশেষ করে গত বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রোটিয়া টেস্ট দল দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখায়। এরপর ভিলিয়ার্স দলে ফিরলেও তিনি স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। বর্তমানে প্লেসিস দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ ও টেস্ট উভয় দলেরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবার তার কাছে ওয়ানডের অধিনায়কত্বও সঁপে দিলেন ভিলিয়ার্স। ইতোমধ্যেই ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে (সিএসএ) তিনি ওয়ানডের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তবে তিন ফরমেটেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করে খেলে যেতে চান ভিলিয়ার্স। সর্বশেষ গত জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভিলিয়ার্স। কিন্তু তার অধীনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে প্রোটিয়ারা। প্রাথমিক পর্বই পেরোতে পারেনি দল। এমনকি দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হয়েও ভিলিয়ার্স তেমন কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু তরুণ প্লেসিস নেতৃত্বগুণে যেমন নজর কেড়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও বেশ উজ্জ্বল। সবকিছু বিবেচনা করে এখন ভিলিয়ার্স ওয়ানডের নেতৃত্বও ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘ফাফ ডু প্লেসিস প্রমাণ করেছেন যে তিনি টি২০ ও টেস্ট দলের অসাধারণ অধিনায়ক। এ বিষয়টি মনে লালন করে আমি ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমি ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে চাই।’ মাত্র দুই টেস্ট ও ১৮ টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ভিলিয়ার্স। তবে ২০০৫ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরুর মাত্র ৭ বছরের মাথায় তিনি অধিনায়ক হন। তারপর থেকে ১০৩ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৫৯ ম্যাচ জিতিয়েছেন প্রোটিয়াদের। ২২২ ওয়ানডে খেলে দেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৯৩১৯ রান করেছেন ৫৩.৫৫ গড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন উঠেছে দলের চেয়ে নিজের সুযোগ-সুবিধা নিয়েই এখন বেশি চিন্তিত ভিলিয়ার্স। এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, ‘এটা কোনভাবেই সত্য নয়। কখনও সত্য হবেও না। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা এবং খেলতে পারা সবসময়ই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অধিকার ও সুযোগ।’ সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে হারের টেস্ট সিরিজে খেলেননি তিনি। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ভিলিয়ার্স। তিনি অবশ্য মানসিক অবসন্নতা ও শারীরিক ক্লান্তির জন্য এবং পরিবারের চাপে কিছুদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে এখন তিনি বলছেন, ‘আমি পূর্ণোদ্যমে আছি এখন এবং খুবই ফুরফুরে লাগছে। আমি আবার মাঠে ফিরতে চাই এবং ইতোমধ্যেই নির্বাচকদের নিশ্চয়তা দিয়েছি যে আসন্ন মৌসুমে সব ফরমেটে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। সামনে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং ভালভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
×