ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহা, হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৪ আগস্ট ২০১৭

সিনহা, হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য -স্বদেশ রায়

বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে সিনহা যা করছেন তার সঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন সম্পর্ক নেই। এর দায় হিন্দু সম্প্রদায় নেবে না। তার সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায় নেই। মি. সিনহা বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একজন। তিনি মণিপুরী সম্প্রদায়ের। তার ওপরে তিনি আত্মস্বীকৃত শান্তি কমিটির সদস্য। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মামলা চলাকালে নিজে মুখে বলেন, তিনি ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। তার এ বক্তব্য ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ট্রিবিউনে ছাপা হয়Ñ ‘জাস্টিস সিনহা ডিসকোলজেস হিজ রোল ইন ১৯৭১’ এই শিরোনামে। যে কেউ গুগলে সার্চ দিয়ে এ সংবাদ দেখতে পারেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভেতর বেশ কয়েকজন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় তার অন্যতম। পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে তিনি পাকিস্তানে মারা গেছেন। এরা সজ্ঞানে এ কাজ করেছিলেন। সিনহাও যে সজ্ঞানে এ কাজ করেছিলেন কারণ তার বাড়ি ভারত সীমান্তবর্তী। অতএব তিনি মুক্তিযুদ্ধে যেতে চাইলে সহজে ভারতে যেতে পারতেন। তা না গিয়ে তিনি রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযমের সৃষ্ট শান্তি কমিটিতে যোগ দেন। তাছাড়া আরও একটি বিষয় সকলকে মনে রাখতে হবে সে সময়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ, মণিপুর লিবারেশন আর্মি, ইউনাইটেড লিবারেশন আর্মি অব অসম (আলফা), ত্রিপুরা টাইগার সদস্যদের ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তাদের আশ্রয় দিয়েছিল। পাকিস্তানী আর্মির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাদের অর্থ ও ট্রেনিং দিত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেমন ভারতের বাঙালীদের সমর্থন ছিল তেমনি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনেও সমর্থন ছিল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনেকের। অন্যদিকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম নিগৃহীত একটি সম্প্রদায়। এক কোটির ওপর যে শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তার অধিকাংশই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই স্বাভাবিকই প্রশ্ন ওঠেÑ কেন বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের এসব মন্ত্রী বা নেতাদের এতদিন পরে বোধোদয় হলো? যদিও মোটে বোধোদয় না হওয়ার থেকে বিলম্বে হওয়া অনেক ভাল। তার পরেও তাদের অনেক আগেই বোধোদয় হওয়া উচিত ছিল। অন্তত বীরেন শিকদারের মতো যারা মন্ত্রী তাদের প্রধানমন্ত্রীকে আগেই বলা উচিত ছিলÑ যদিও সে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর, মণিপুরী তারপরেও যেহেতু স্বাধীনতাবিরোধীÑ অতএব তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন না। এ বিবৃতি তাদের প্রথমেই দিতে হতো। কারণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল। তাই সিনিয়রিটি অনুযায়ী যে যেখানে আসে তাকেই তাদের নিয়োগ দিতে হয়। যে কারণে আওয়ামী লীগ আমলে এত সচিব, এত এমডি হিন্দু সম্প্রদায় থেকে নিয়োগ পায়। যা বিএনপি বা অন্য আমলে ঘটে না। প্রধানমন্ত্রী তখন যদি তাকে নিয়োগ না দিতেন কথা উঠত সে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হিন্দু বলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তাই তখনই এ দায় ছিল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের ও বীরেন শিকদারের মতো মন্ত্রীদের। সেদিন যদি তারা দায়িত্ব পালন করতেন বীরেন শিকদার প্রমুখ হিন্দু নেতারা যদি সেদিন তাঁদের দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে আগস্ট মাসের প্রথম তারিখেই বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে হত্যাচেষ্টা করার সুযোগ পেতেন না মি. সিনহা। তিনি গোলাম আযমের সৈনিক। তিনি সুযোগ পেলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ছোবল মারবেন। তার তথাকথিত রায়ের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতা, বাঙালীর জাতির জনককে কটাক্ষ করে লিখতে পারতেন না যে, কোন এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর থেকেই রাজাকার, আলবদর, শান্তি কমিটির সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করার জন্য এই ভাষায় কথা বলে আসছে। মি. সিনহা যে ভাষায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছেন এ ভাষা দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি পরিচিত। এই ভাষা ও ফারুক-রশিদদের অস্ত্র মূলত একই কাজ করে। ফারুক-রশিদরা বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হত্যা করেছিল আর এই সিনহা গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের পনেরো আগস্ট থেকে তাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্য হলো, একাত্তর সালের একজন স্বাধীনতাবিরোধীর কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ নিপীড়িত হিন্দু সম্প্রদায়ের নাম। বাস্তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের দু-একজন যারা সিনহার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা পাচ্ছে তারা ছাড়া মি. সিনহার মতো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক স্বাধীনতাবিরোধী নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ এখানে কখনই ধর্মের ভিত্তিতে বন্ধুত্ব ও সামাজিক সখ্য গড়ে ওঠে না। ধর্ম এখানে কখনই বড় ভাবে কাজ করে না। অধিকাংশ বাঙালী এক নৃ-গোষ্ঠীর, তাদের আচার-আচরণ এক- তাই কে হিন্দু, কে মুসলিম এ নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। মনেও থাকে না কারও। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সিনহা সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে ধর্মের আফিম খাওয়া কিছু মানুষকে দেখা গেল তাকে নিয়ে টানাটানি করতে। ১৯৭১ সালে যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ওপর পাকিস্তানীরা আঘাত করেছিল সেই পাকিস্তানীদের একজন অনুচরকে সেখানে নিয়ে টানাটানি শুরু করল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা মি. রানা দাশগুপ্ত। তাছাড়া এতদিন সিনহাও যে ভাষায় এ সরকারকে গালিগালাজ করে এসেছেন রানা দাশগুপ্তও তার থেকে খুব কম যাননি। এমনকি সিনহার এই তথাকথিত রায় দেয়ার পরে যখন সমগ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ফুঁসে উঠেছে ওই সময়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য রানা দাশগুপ্ত হঠাৎ এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, এবার যদি সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের নমিনেশন দেয়া হয় তাহলে হিন্দুরা ভোট বর্জন করবে? এখন আবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের কর্মসূচী দিয়েছে। বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দু রানা দাশগুপ্তের প্রজা কিনা সেটা বীরেন শিকদারসহ অন্য নেতারা বলতে পারবেন। বাংলাদেশে অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, তাঁরা শেখ হাসিনাকেই জানে। তাঁরা জানে নিজের জীবন বিপন্ন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ান একমাত্র শেখ হাসিনা। তাই তাঁরা এসব তথাকথিত কার্যকলাপের ধারে কাছে নেই। তবে রানা দাশগুপ্তের উদ্দেশ্য বোঝার ক্ষমতা এ দেশের মানুষের আছে। অকৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা উচিত। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য যা করে তা এ দেশের অন্য কোন অতি প্রগতিশীল পার্টিও করে না। এমনকি অন্য কোন দেশের প্রগতিশীল পার্টিরাও সে দেশের সংখ্যালঘিষ্ঠ কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য করে না। ভারতে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে মুসলিমদের জন্য দরদ দেখায় কিন্তু সংখ্যা অনুপাতে ক’জন মুসলিম সেখানে সরকারী চাকরিতে বড় পদে থাকে? বাস্তবে রানা দাশগুপ্তের এই চেষ্টা সিনহার দিক থেকে দৃষ্টি ফেরানোর একটা অপচেষ্টা। রানা দাশগুপ্ত যদি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হতেন তাহলে তিনি প্রতিবাদ করতেন সিনহার বক্তব্যের। প্রেস কনফারেন্স করে ভোট বর্জনের কথা না বলে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কর্মসূচী না দিয়েÑ তিনি বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার এ চেষ্টার নিন্দা করতেন। আশা করি বিলম্বে হলেও রানা দাশগুপ্তের আত্মোপলব্ধি ঘটবে বীরেন শিকদারের মতো। তিনি স্বাধীনতাবিরোধীকে-স্বাধীনতার বিরোধী বলেই স্বীকার করবেন। পাশাপাশি যে পাকিস্তানপন্থীদের হাতে ঢাকেশ্বরী মন্দির আক্রান্ত হয়েছিল সেখানে পাকিস্তানী কলাবরেটর সিনহাকে নিয়ে গিয়ে তিনি যে ভুল করেছেন সেটা জাতির কাছে স্বীকার করবেন। ক্ষমা চাইবেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসী ভক্তদের কাছে। ভুল স্বীকার করতে হবে জগন্নাথ হলের ছাত্রদেরও ১৯৭১ সালের শহীদের রক্ত এখনও জগন্নাথ হলের মাটির প্রতিটি কনায়, প্রতিটি পুরনো ইটে মিশে আছে। ১৯৭১ সালে জগন্নাথ হলের সেই হত্যাকা-ের ভিডিও আছে। জানি না এখন যারা জগন্নাথ হলে থাকে এই তরুণরা সে ভিডিও দেখেছে কিনা? দেখলে তারা বুঝতে পারবে তাদের পূর্ব প্রজন্ম এ দেশের স্বাধীনতার জন্য কী ত্যাগ করে গেছেন। সেই জগন্নাথ হলের মাটির ওপর দাঁড়িয়ে ধর্মের আফিম খেয়ে বর্তমানের জগন্নাথ হলের ছাত্ররা গোলাম আযমের শিষ্যকে অর্থাৎ মি. সিনহাকে বার বার সেখানে নিয়ে গেছে। সেখানে অনুষ্ঠান করার নামে সিনহা পক্ষান্তরে আঘাত করেছেন শেখ হাসিনাকে। তিনি এই পার্লামেন্টের সদস্যরা আইন প্রণয়ন করতে জানে না বলে মূলত আঘাত করেছেন পার্লামেন্ট নেতা শেখ হাসিনাকে। তাই আজ যখন সেই পাকিস্তানের দাস সিনহা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেছে তখন জগন্নাথ হলের ছাত্রদের উচিত হবে অবিলম্বে বিবৃতি দিয়ে দেশবাসীকে জানানো যে, তারা ভুল করেছে। কয়লা ধুলে যেমন তার কালো রং যায় না তেমনি রাজাকার বল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করলেও সে রাজাকার, সে স্বাধীনতাবিরোধী। সেই সব আওয়ামী আইনজীবী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সময় থেকেই সিনহার অবস্থান সম্পর্কে অনেকেই সজাগ হয়ে গেছেন। এ সময়ে আওয়ামী আইনজীবীদের একটি অংশও বার বার প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাদের ভাবখানা ছিল এমন, মি. সিনহাই যেন যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে। বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে বাংলাদেশে দ্বিতীয় কোন মানুষ নেই যে জাতিসংঘের মহাসচিব, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে মেরুদ- সোজা করে দাঁড়িয়ে ফাঁসি কার্যকর করবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী না হলে এ দেশে গণজাগরণ মঞ্চ না হতো, গণজাগরণ মঞ্চকে যদি শেখ হাসিনা সমর্থন না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী বিচারের কী অবস্থা দাঁড়াত তা সকলে জানেন। তবে সুখবর হলো বিলম্বে হলেও বীরেন শিকদারের মতো ওই সব আওয়ামী আইনজীবী এখন প্রকাশ্যে তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন। এখন প্রকাশ্যে বলেন, মি. সিনহাকে তারা চিনতে পারেননি। অন্যদিকে মি. সিনহা তার এই রায়ে এ্যাটর্নি জেনারেল সম্পর্কেও অনেক বাজে মন্তব্য করেছেন। এ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এখন বিষয়টি পরিষ্কার তিনি সিনহাকে বুঝতে ভুল করেছিলেন। ভুল স্বীকার করতে হবে ওই সব সুবিধাবাদী আওয়ামী আইনজীবীদেরও। তাদেরও পরিষ্কার করতে হবে তাদের নিজেদের অবস্থান। সবই দরকার অস্তিত্বের স্বার্থে বিলম্বে হলেও এই ভুল স্বীকারের মধ্যে কোন দোষ খোঁজার বা নিজেকে ছোট ভাবার কোন কারণ নেই। বরং এই সত্য আজ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে যারা এতদিন সিনহাকে নানাভাবে শেল্টার দিয়েছেন তাদের এখন সত্য উপলব্ধি করতে হবে। যারা ইতোমধ্যে করেছেন তারা সঠিক করেছেন। কারণ ১৯৭১ এর একজন শান্তি কমিটির সদস্য রাষ্ট্রের অন্যতম উঁচু স্থানে বসে বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত করার অর্থই হলো স্বাধীনতার চেতনার ওপর আঘাত করা, সংবিধানের ওপর আঘাত করাÑ সর্বোপরি বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করা। তাই এই শত্রু যাতে আর এগুতে না পারে এ জন্যই সকলকে ভুল স্বীকার করে সত্যের পক্ষে, সংবিধানের পক্ষে এসে দাঁড়াতে হবে। সকলকে উপলব্ধি করতে হবে ভবিষ্যতে আর যেন কখনও আমরা ধর্মের নামে কোন কিছু বিচার না করি, সব বিচারই যেন করি স্বাধীনতার চেতনার কষ্টি পাথরে। [email protected]
×