ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা ॥ ২৩ পয়েন্টে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করছে খোদ মন্ত্রণালয়ই

অনেক সড়ক মহাসড়ক পানির নিচে মহাদুর্ভোগের শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৪ আগস্ট ২০১৭

অনেক সড়ক মহাসড়ক পানির নিচে মহাদুর্ভোগের শঙ্কা

রাজন ভট্টাচার্য ॥ টানা বৃষ্টি আর ভয়াবহ বন্যায় দেশের সব সড়ক-মহাসড়ক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু কিছু সড়কে ইতোমধ্যে মহাদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ঈদের আগে সড়ক সংস্কারের নির্দেশ থাকলেও রয়েছে অর্থের সঙ্কট। সেইসঙ্গে বৃষ্টিপাতের বাধা তো আছেই। কোন কোন এলাকায় জোড়াতালি দিয়ে সড়ক সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ট্রিপ সংখ্যা কমিয়ে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে সড়ক ডুবে থাকায় দেশের ২৩ পয়েন্টে দুর্ভোগ হতে পারে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, শুধু রংপুর বিভাগেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭২ কিলোমিটার সড়ক-মহাসড়ক। যদিও সওজের কেন্দ্রীয় দফতর আনুমানিক বিশ ভাগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি করছে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন পরিবহন মালিকরা। রাস্তার কারণে ট্রিপ হ্রাস এবারের ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শেষ করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চালের বাসের টিকেট বিক্রি শেষ হলেও ট্রিপ সংখ্যা কমানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বাস ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, কিছু কিছু কোম্পানি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু ট্রিপ সংখ্যা কমিয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রোজার ঈদের সময় বেহাল সড়কের কারণে যানজট হয়েছে। এ কারণে সময়মতো বাস গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ হয়েছে। এবারও বৃষ্টি আর বন্যার কারণে সড়কের অবস্থা ভাল নয়। এসব বিবেচনায় নিয়ে ট্রিপ সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ডিপজল পরিবহনের ফিরোজ আহমেদ রোজ জানান, তাদের ৪০ বাসের মধ্যে ত্রিশটির আগাম টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। বাকি দশটি জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। পথে কোন গাড়ি আটকে গেলে, এসব বাসের মাধ্যমে আগাম টিকেট কেনা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হবে। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে ঢাকা-এলেঙ্গা মহাসড়কও বেহাল। গাজীপুরের জয়দেবপুরের ভোগড়া থেকে চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। গত ঈদে এ মহাসড়কে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এবার মহাসড়কের এ অংশে বন্যার পানি ছুঁইছুঁই। দুর্ভোগের ভয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও। বৃষ্টিতে সেখানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ফ্লাইওভারের কাজ সময়মতো শেষ না হওয়ায় ঢাকা-সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলার বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এই পয়েন্টে বেড়েছে যানজটের মাত্রা। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অবস্থাও ভাল নয়। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রাজবাড়ীর বসন্তপুর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এবং রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৯ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খারাপ। দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত বেহাল সড়কের কারণে শুধু খুলনা বিভাগের ১০ জেলার যাত্রীদের ভুগতে হবে ঈদযাত্রায়। ফোরলেন প্রকল্পের নির্মাণকাজে চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের। ঢাকায় প্রবেশ পথগুলোর অবস্থাও সঙ্গীন। ফলে এবারের ঈদেও দুর্ভোগের ভয় রয়েই গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পণ্যবাহী একটি ট্রাক রাস্তার মাঝে বিকল হয়ে পড়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁ হয়ে দাউদকান্দি ব্রিজ পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের আষাঢ়িয়ার চর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও গোমতী সেতুর পূর্বপাশে দুটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। তবে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো রেকার দিয়ে সরিয়ে নিলেও যানজট কমেনি। এছাড়াও দুটি সেতুতে ওজন মাপার মেশিনে ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন ওজন মাপার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা, টোল আদায়ে ধীরগতি, বৃষ্টিতে যান চলাচলের ধীরগতি ইত্যাদি কারণে যানজট আরও দীর্ঘ হয়। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টোল প্লাজার অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেসব পণ্যবাহী ট্রাক বা লরি ওজনের স্কেলের আওতায় পড়ে না সে সকল পণ্যবাহী ট্রাক মহাসড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। ফলে মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা জানান, যানজট ও বেহাল রাস্তার কারণে এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি হতে পারে। এই বিবেচনায় আমরা কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ কর্তাব্যক্তিদের যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি। তিনি জানান, বিভিন্ন ফেরিঘাটে এখনই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নোয়াখালী থেকে সড়কপথে ঢাকায় আসতে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে বলেও জানান তিনি। ২৩ পয়েন্টে দুর্ভোগের আশঙ্কা সাম্প্রতিক বন্যায় দেশব্যাপী বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৩ পয়েন্টে এক থেকে তিন কিলোমিটার এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। এছাড়া বন্যার পানির প্রবল তোড়ে ভেসে গেছে উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের ১৮ স্থানের সড়কাংশ। সড়ক-মহাসড়ক যান চলাচলের উপযোগী রাখতে দিনরাত কাজ চলছে। বৃষ্টি না হলে ঈদের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। রবিবার মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের ওপর কিংবা পাশে কোরবানির পশুরহাট বসানো যাবে না এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু বহন করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রায় চাপ কমাতে গার্মেন্টসগুলো অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দেয়ার জন্য বিজিএমইএ’কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং পরে পাঁচ দিন সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন সিএনজি স্টেশনসমূহ চব্বিশ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে ঈদের আগে তিন দিন ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানসহ ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া ঈদযাত্রায় পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে মহানগরীর বিভিন্ন টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিম কার্যকর থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। ২০ ভাগ সড়ক ভাঙ্গাচোরা সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের হিসেবে বর্ষার কারণে দেশের ২০ ভাগ সড়ক-মহাসড়ক ভাঙ্গাচোরা। আগামী ১/২ দিনের মধ্যে ভাঙ্গাচোরা সড়ক মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার কথাও জানান তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সওজের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দেশের সকল জেলার সওজের কর্মকর্তাদের সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট জেলার ভাঙ্গাচোরা সড়ক দ্রুত মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এদিকে পরিবহন মালিক শ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বলছেন, গত সপ্তাহে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি, কুমিল্লাসহ একাধিক পয়েন্টে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। সামান্য বিটুমিন আর পিচ দিয়ে জোড়াতালির মেরামতের কথা জানান তারা। যা অল্প বৃষ্টিতেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যায় সড়ক-মহাসড়কের কতটা পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সঠিকভাবে এখনও নিরূপণ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। সংস্থাটির মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগ (এইচডিএম) জানিয়েছে, পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে। সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (রংপুর জোন) ফকির আবদুর রব জানিয়েছেন, উত্তরের ১০ জেলায় বন্যায় ৭৯ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়কের পরিমাণ ৫৭২ দশমিক ৩ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক ঈদের আগে অর্থাৎ তাৎক্ষণিক সংস্কারে প্রয়োজন ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মধ্য মেয়াদী সংস্কারে প্রয়োজন ৭৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। স্থায়ী মেরামতে বরাদ্দ প্রয়োজন ৫৮৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে দরকার ৬৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুড়িগ্রামে। এদিকে আগামী ২৬ আগস্টের মধ্যে মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে বগুড়া পর্যন্ত মহাসড়ক মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আরও আগেই। বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ হয়নি। সংস্কারের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে গত ৯ আগস্ট সওজের সিরাজগঞ্জ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর মন্ত্রী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। চিন্তিত পরিবহন মালিকরা বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে এবারের ঈদযাত্রা নিয়ে চিন্তিত পরিবহন মালিকরাও। তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করলেও বড় বাধা হচ্ছে বৃষ্টি। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের কারণে এবারের ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি হতে পারে। জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, বেহাল রাস্তার কারণে রংপুর থেকে দিনে দিনে ঢাকায় কোন বাস আসতে পারছে না। এই পরিস্থিতি চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই। এছাড়া ঢাকা-সিলেট সড়কের টঙ্গী থেকে পুবাইল, কালীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাড়ি চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। অনেক কষ্ট করে চালকরা গাড়ি চালাচ্ছেন। সড়কের অনেক স্থানে এখনও পানি জমে আছে। বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে মহাদুর্ভোগে রূপ নিয়েছে মহাসড়ক। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অনেক স্থানে গর্ত, ভাঙ্গাচোরার কথা জানিয়ে পরিবহন সেক্টরের এই শীর্ষ নেতা জানান, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী বাসগুলো গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় চার ঘণ্টা। বিশেষ করে টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাদুর্ভোগ চলছে গত কয়েকমাস ধরেই।
×