ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখল ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২৪ আগস্ট ২০১৭

সাতক্ষীরায়  ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জমি দখল ॥ আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ রামদা ও বল্লমের মুখে নারী পুরুষসহ পরিবারের দশজনকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে জামায়াত ক্যাডার আবদুল খালেকের পৈত্রিক জমি দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আর লাইসেন্স করা অস্ত্র উঁচিয়ে এ ঘটনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলারোয়ার যুগীখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের বিরুদ্ধে। শিবির ক্যাডার বাকিবিল্লাহ, আলতাফ হোসেন এবং জামায়াত, শিবির ও বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী লাঠিয়ালদের নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই দখলী তা-ব। তারা খালেকের জমিতে জোর করে প্রাচীর নির্মাণ করে। এ সময় আবদুল খালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মধ্যে আহত অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। জোর করে জমি দখল এবং প্রাচীর তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, আব্দুল খালেক জামায়াতের ক্যাডার ও অর্থ যোগানদাতা। তার বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় ৪টি নাশকতার মামলা রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, বিষযটি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে যুগীখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, গোলমালের খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে পুলিশ ছিল দাবি করে তিনি বলেন তাদের সামনে কোন মারপিট হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে কয়েকবার সালিশ করা হয়েছে এবং মোকাররম আলি তার পৈত্রিক জমিতে প্রাচীর দিয়েছেন বলে চেয়ারম্যান জানান। অভিযোগ, কলারোয়া উপজেলার কামারালি গ্রামের বাবর আলির ছেলে মোকাররম আলি ও তার ভাই আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল খালেকের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধ নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলাও চলছে। এরই মধ্যে নাশকতার একটি মামলায় কিছুদিন আগে আবদুল খালেক জেলে গেলে সেই সুযোগে চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের নির্দেশে প্রতিপক্ষ মোকাররম আলি সেখানে ইটের প্রাচীর তৈরি শুরু করে। আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন মঙ্গলবার চেয়ারম্যান তার সহযোগী জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে নাম লেখানো শতাধিক ক্যাডার ভাড়া করে আনেন। বুধবার ভোরে তারা শুরু করে প্রাচীর নির্মাণ। আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন এতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে রবিউল বাহিনীর সিরাজুল, মাসুদ, আলতাফ , আরশাদ, মোকাররম, বাকিবিল্লাহ, যুবলীগের রেজাউলসহ ৫০ জনের বেশি লাঠিয়াল রামদা, ড্যাগার, বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। দখলকারী প্রতিপক্ষের মোকাররম আলি বলেন, আবদুল হামিদ তার অংশের দেড় শতক জমি বিক্রি করেছিলেন মোকাররমের বাবা বাবর আলির কাছে। কিন্তু ওই জমি দখল নেয়া যাচ্ছিল না। চেয়ারম্যান রবিউল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ৪০ জন লোক এনে আমার জমি দখল করিয়ে দিয়েছেন। এ জন্য চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে দুই লাখ টাকা বলে জানান মোকাররম আলি।
×