ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজাদপুরে পানির মধ্যে কাবিটা প্রকল্পের কাজ চলছে

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২৪ আগস্ট ২০১৭

শাহজাদপুরে পানির মধ্যে কাবিটা প্রকল্পের কাজ চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ২৩ আগস্ট ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কাবিটা প্রকল্পের আত্মসাত করা ১ লাখ ৩২ হাজার ৪শ’ ৪ টাকা আত্মসাতের বিষয় ফাঁস হওয়ায় অবশেষে বন্যার পানির মধ্যেই মাটির কাজ করছে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কমিটির সভাপতি মেম্বর আব্দুল বাছেদ। আর এ অবৈধ কাজটি চলছে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের বাদলবাড়ী এলাকায়। জানা গেছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন থেকে জমা দেয়া ‘বাদলবাড়ী নীলকণ্ঠের বাড়ি হতে মালিক মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ’ নামের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্প দিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার ও মেম্বর আব্দুল বাছেদ কাজ না করেই পিআইও অফিসে ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে প্রকল্পের এক লাখ বত্রিশ হাজার চার শ’ চার টাকা উত্তোলন করে সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাত করেন। শুধু তাই নয়, গত জুন ফাইনালেও কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে মর্মে প্রকল্পটি দেখানো হয়েছে। এদিকে, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পাশাপাশি জনৈক সংবাদকর্মীর কাছে সংবাদটি পৌঁছলে তিনি প্রকল্প স্থানে যান এবং এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বিগত ৩/৪ বছরের মধ্যেও ওইখানে কোন মাটির কাজ হয়নি প্রকল্প জমা দেয়ার পর মার্চ-এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুম পার হওয়ার পরও চেয়ারম্যান-মেম্বর কোন কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করেছিল। বর্তমানে মাটির কাজ করলেও যেহেতু বন্যার পানির মধ্যে মাটি ফেলা হচ্ছে, তাতে করে সামান্য টাকার কাজ করেই সিংহভাগ টাকা আবারও আত্মসাত করার ফন্দি করছে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার ও মেম্বর আব্দুল বাছেদ। আব্দুল মজিদ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আগে কাজ করা হয় নাই, এখন করছি।’ সম্পূর্ণ টাকার কাজ করা হবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অফিস আদালতের ব্যাপারে আপনারা তো সবই জানেন। আর সাংবাদিক হলেও এত কিছু ঘাটাঘাটি করা ঠিক নয়।’কাজ না করেই সরকারী টাকা তুলে অবৈধভাবে কাছে রাখা বা আত্মসাতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে মেম্বর আব্দুল বাছেদ জানান, ‘আমি কাজ করব। তবে আপনারা তো সবই জানেন। তাই, যা লেখা লেখেন, আমার কিছু বলার নাই।’
×