ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় রুনির

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২৪ আগস্ট ২০১৭

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় রুনির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়স খুব বেশি নয়, মাত্র ৩১ বছর। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়েও এক বছর কম। অথচ এই সময়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন ওয়েন রুনি। ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকেই ইংল্যান্ডের হয়ে রুনির শেষ দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রাণের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে শৈশবের ক্লাব এভারটনে যোগ দিয়ে ফের জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন বুনছিলেন। শৈশবের ক্লাব টানা দুই ম্যাচে গোল করে রুনি বুঝিয়েও দিয়েছিলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। এরপরও থামতেই হলো তাকে। ইংল্যান্ডের বর্তমান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট রুনিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলেও ডেকেছিলেন। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পরপরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ তারকা। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৯ ম্যাচে ৫৩ গোল করা রুনি মঙ্গলবার সাউথগেটের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। কোচ জোশে মরিনহোর অধীনে গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খারাপ সময় পার করার পর ইংল্যান্ড জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারান রুনি। এমনকি জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েন। চলতি মৌসুমে নিজের সাবেক ক্লাব এভারটনে যোগ দেন এ তারকা খেলোয়াড়। অবসর সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বিবৃতিতে রুনি বলেন, আসন্ন ম্যাচগুলোর জন্য কোচ গ্যারেথ সাউথগেট পুনরায় দলে ডেকে আমাকে ফোন করায় আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। সত্যিই এটা প্রশংসনীয়। অনেক ভেবে চিন্তে কোচকে বলেছি নিজের ভালর জন্যই আমি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সত্যিই সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে আমার পরিবার, এভারটনের কোচ ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাটা সবসময়ই আমার জন্য ছিল বিশেষ কিছু। প্রতিবারই দলের একজন খেলোয়াড় কিংবা অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হওয়াটা আমার কাছে ছিল অনেক সম্মানের। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ। তবে আমি মনে করি আমার সময় শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখন আমার একমাত্র চেষ্টা থাকবে এভারটনের হয়ে শিরোপা জয় করা। দেশের জার্সিতে খেলাকে স্পেশাল মুহূর্ত উল্লেখ করে রুনি বলেন, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা সবসময় আমার জন্য বিশেষ মুহূর্ত ছিল। যখনই আমি খেলোয়াড় কিংবা অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি নিজেকে গর্বিত মনে করেছি। যারা আমাকে সাহায্য করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এটিই বিদায় জানানোর সময়। বিদায় বেলায় নিজের আক্ষেপের কথাও জানান রুনি। বলেন, আমার সামান্য আক্ষেপের একটি হলো, ইংল্যান্ডের হয়ে কোন টুর্নামেন্টে সফল হতে না পারা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার সিদ্ধান্তটাও কঠিন ছিল বলে উল্লেখ করেন রুনি। বলেন, ম্যানইউ ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ছিল খুবই কঠিন। তবে আমি জানি নিজ ঘর এভারটনে ফেরার সিদ্ধান্তটা সঠিক। এখন এ ক্লাবের সাফল্যের লক্ষ্যে আমি আমার সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চাই। ২০০৩ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয়েছিল রুনির। ১৮ বছরেই ইউরোর মতো বড় মঞ্চে খেলেছেন। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে কোন সাফল্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। বিদায় বেলায় এ নিয়ে দুঃখ জানাতে ভোলেননি তিনি।
×