ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাজীপুরে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসী চক্রের ১৭সদস্য আটক

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ২৩ আগস্ট ২০১৭

গাজীপুরে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসী চক্রের ১৭সদস্য আটক

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসী চক্রের ১৭জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে পাইরেসী ও পর্ণোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত মনিটর, সিপিইউ, সিডি ক্যাসেট, কার্ড রিডার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে র‌্যাব এ তথ্য জানিয়েছে। র‌্যাব-১এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর চম্পাকলি সিনেমা হল মার্কেটে মঙ্গলবার রাতে চলচিত্রে অশ্লীলতা, পাইরেসি ও পর্ণোগ্রাফি বিরোধী অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যরা এসময় পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসী চক্রের ১৭জন সক্রিয় সদস্য আটক করে। আটককৃতদের কাছ থেকে পাইরেসী ও পর্ণোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত ২৭টি মনিটর, ২৭টি সিপিইউ, ৭৩০টি সিডি ক্যাসেট, ৭৫টি কার্ড রিডার, ১৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭ হাজার ৯৯৫ টাকা জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো- মোঃ রুবেল খান (২২), মোঃ মোস্তফা কামাল (২৩), মোঃ বাবু (৩২), মোঃ রিপন ইসলাম (১৮), মোঃ রাজু (২০), মোঃ রফিকুল (১৭), মোঃ মাসুদ রানা (১৮), মোঃ মনির (২৫), মোঃ রবিন (২১), মোঃ সাইফুল ইসলাম (২০), মোঃ তারা মিয়া (৪৫), মোঃ ইসমাইল হোসেন (১৮), মোঃ রাব্বি (১৮), মোঃ মাহবুব হাসান (১৮), মোঃ মোমিন (১২), মোঃ সবুজ (২০) ও মোঃ রব (১৬)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা র‌্যাবকে জানায়, তারা এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীরা সিনেমা হলে গোপন ক্যামেরায় সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো ধারণ করে সেগুলো নকল/কপি করে এবং তা বিক্রয় করে। একাজে কোন কোন সিনেমা হলের কর্মচারীরাও জড়িত থাকে। তারা বিভিন্ন মিউজিক্যাল ষ্টুডিও এবং এ্যাডফার্মের কলাকুশলীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং তাদের নিকট হতে নতুন মিউজিক ভিডিও সমূহ সংগ্রহ করে। এ সকল ভিডিওর সাথে তারা অশ্লীল ছবির অংশ সংযোগ করে নতুন করে সিডি তৈরী করে বাজারে ছাড়ে। র‌্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নায়ক-নায়িকা ও সাধারণ ফেসবুক ব্যবহার কারীদের ছবি সংগ্রহ করে ফটোশপে এডিটিং করে সিডি কভার হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়াও তারা সিডি পেইনড্রাইভ, কার্ড রিডার এর মাধ্যমে মেমোরীতে ডাউনলোড করে বিক্রয়ের মাধ্যমে উঠতি বয়সের তরুন তরুনীদের অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের অসাধু ব্যক্তিদের অপতৎপরতায় বাংলাদেশের ফিল্ম ও মিউজিক ইন্ডাষ্ট্রি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি অশ্লীলতা প্রচারের মাধ্যমে যুব সমাজকে ধবংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে যুবসমাজ দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে মাদকদ্রব্যসহ নানামূখী অপরাধ প্রবনতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা সমাজের ভিতর অপসংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের (সামাজিক আবহমান কালের) বন্ধনকে আঘাত করছে।
×