ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনা চরের মানুষ নিরাপত্তাহীন

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের ফাইল ৭ বছর হিমঘরে

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৩ আগস্ট ২০১৭

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের ফাইল ৭ বছর  হিমঘরে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সারিয়াকান্দির যমুনার চর এলাকার মানুষের নিরাপত্তার খুবই অভাব। বিশেষ করে বর্ষায়। জলদস্যুদের অপতৎপরতা খুবই বেড়ে যায়। তারা নৌডাকাতি, চরগ্রামের মানুষের গরু ছাগল লুটসহ গৃহস্থ বাড়িতে ডাকাতি করে। কখনও দিনেদুপুরে নৌডাকাতি হয়। চরে কোন পুলিশ ক্যাম্প ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র না থাকায় চরের মানুষ শঙ্কার মধ্যে বাস করে। সবচেয়ে প্রত্যন্ত চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের নান্দিনার চরে প্রায় ৭ বছর আগে ২০১০ সালের ১৯ অক্টোবর একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তার দেয়া হয়। বিষয়টি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান। তারপর থেকে তিনি কয়েক দফায় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরে ওপর মহলে যোগাযোগ করেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনে কোন গতিই আসেনি। ফাইলটি হিমঘরে চাপা পড়ে আছে। যমুনা ও বাঙালীর তীরে ৪০৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা। যেখানে ৪টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ চরগ্রাম এবং ৩টি ইউনিয়ন আংশিক চর। উপজেলা সদর থেকে দুর্গম চরে যাওয়ার বাহন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা। চরে যেতে সময় লাগে দূরত্ব ভেদে ৪৫ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টা। যমুনায় পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদার নয়। সারিয়াকান্দি থানার একটি মাত্র স্পিড বোট কখনও চালু কখনও যান্ত্রিক ত্রুটি। এ সময় পুলিশকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে যেতে হয়। এসব নৌকা স্পিড বোটের মতো দ্রুত নয়। অনেক সময় অপরাধীরা পুলিশের আগমন টের পেয়ে আরেক পথে সটকে পড়ে। রাতের পুলিশী টহল না থাকলে যমুনা অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। চরের মানুষকে রাত জেগে গোয়ালঘর ও নিজেদের ঘর পাহারা দিতে হয়। একদিকে নদীভাঙ্গন আরেকদিকে বর্ষায় উজানের ঢলে নদী ফুলে ফেঁপে উঠলে সারিয়াকান্দি উপজেলার মূল লোকালয় ভূ-খ- ছোট হয়ে পড়ে। নদী এলাকা হয়ে পড়ে অরক্ষিত। আবার বর্ষার পানি নেমে গেলে একের পর এক চর জেগে ওঠে। গত পাঁচ বছরে অন্তত ৯০টি নতুন চর জেগে উঠেছে। চরের জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে জানা যায় গত প্রায় সাত বছরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৫০টিরও বেশি। কয়েকটি নৌডাকাতির ঘটনা ঘটেছে দিনের বেলায়।
×