ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিকদের স্পিন কোচ সুনীল যোশি

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৩ আগস্ট ২০১৭

মুশফিকদের স্পিন কোচ সুনীল যোশি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে স্পিন কোচ পেলেন সাকিব, মিরাজ, তাইজুলরা। ভারতের সাবেক স্পিনার সুনীল যোশিকেই স্পিন কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে স্পিন কোচ করতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু পারেনি। বিসিবির প্রথম পছন্দ ছিল ম্যাকগিলই। ম্যাকগিলকে না পেলে দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় ছিলেন যোশি। শেষ পর্যন্ত যোশিকেই বেছে নিয়েছে বিসিবি। তবে খুব বেশিদিন নয় দুই মাসের জন্য স্পিন কোচ হিসেবে যোশিকে পাচ্ছেন সাকিব, মিরাজরা। ভারতের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার দ্রুতই কাজ শুরু করবেন। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘আপাতত দুই মাসের চুক্তি হয়েছে।’ পরে এই চুক্তি বাড়তেও পারে। সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন জালাল ইউনুস। বলেছেন, ‘আলোচনার ভিত্তিতে এ চুক্তি বাড়তেও পারে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে যোশি থাকছেন। এমনকি বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যোশি দলের সঙ্গে থাকবেন। এরপর তাকে আরও রাখা যায় কিনা যোশির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রুয়ান কালপাগে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন। সুনীল যোশির নিয়োগ কিভাবে হলো? ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এক্সট্রা টাইমের খবর অনুযায়ী ভারতের বর্তমান কোচ অনীল কুম্বলের পরামর্শেই নাকি তাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এ ব্যাপারে আগেই বলেছিলেন, ‘অনীল কুম্বলেই আমাদের কাছে সুনীল যোশির নাম বলেছেন। সে বিবেচনায় তাকে প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।’ সেই প্রস্তাব কাজেও লেগেছে। সুনীল যোশি সর্বশেষ আসামের কোচ ছিলেন। সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে এখন বিসিবির কোচ যোশি। ১৫টি টেস্ট ও ৬৯ ওয়ানডে খেলেন যোশি। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। এরপর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি সিরিজ খেলেছিলেন। ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার জম্মু ও কাশ্মীরের কোচ ছিলেন। ছিলেন ওমানেরও স্পিন বোলিং কোচ। গত একবছর ধরেই স্পিন বোলিং কোচহীন হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রুয়ান কালপাগে গত বছর আগস্টে চাকরিতে যোগ দেননি। তাকে গত বছর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু কালপাগে শেষ পর্যন্ত যোগ দেননি। তাই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কালপাগে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের সহকারী ও স্পিন বোলিং কোচ হয়ে আসেন কালপাগে। অন্য কোচদের মতো তার চুক্তির মেয়াদও ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে কালপাগে বাংলাদেশ দলে আর যোগ দেননি। এরপর থেকেই স্পিন কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিবি। কিন্তু মনমতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে যোশিই হলেন স্পিন কোচ। সেই সঙ্গে সাকিব, মিরাজরাও স্পিন কোচ পেলেন। আজকালের মধ্যেই যোশির দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। আম্পায়ার আলিম দার, ইয়ান গোল্ড ও নাইজেল লং
×